بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
এক হাদিসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত
আলী রা.-কে লক্ষ্য করে বলেন, ‘হে আলী! তিনটি জিনিসের ক্ষেত্রে বিলম্ব করবে না। ১. নামাজের
যখন সময় আসবে তখন নামাজ আদায় করা থেকে দেরি করবে না। ২. মৃত ব্যক্তির জানাজা যখন উপস্থিত
হবে তখন কাফন-দাফন সম্পন্ন করতে দেরি করবে না। ৩. কোন অবিবাহিতা মেয়ের জন্য যখন কোন
উপযুক্ত পাত্র পাবে তখন তাকে পাত্রস্থ করা থেকে বিলম্ব করবে না।’ -(তিরমিজি ১/২০৬)
সুনানে আবু দাউদে বর্ণিত হয়েছে, ‘হজরত তালহা
ইবনে বারা (রা.) অসুস্থ হলে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে
দেখতে গেলেন। অতপর বললেন,
আমি তালহার মধ্যে মৃত্যুর আলামত দেখতে পাচ্ছি। অতএব (সে মারা গেলে) এ সম্পর্কে
আমাকে অবহিত করবে। আর তোমরা দ্রুত কাফন-দাফনের ব্যবস্থা করবে। কেননা কোনো মুসলমানের
মৃতদেহকে পরিবারস্থ লোকদের মাঝে আটকে রাখা উচিত নয়।’ -(হাদিস: ৩১৫৯)
আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বাক্বীউল গারক্বাদ থেকে যখন ফিরে আসলেন, তখন তিনি আমাকে মাথার যন্ত্রণা অবস্থায়
পেলেন। আমি বলছিলাম,
হ্যায় আমার মাথা ব্যথা! তখন রাসূল সা, বলেছিলেন, আয়েশা! বরং
আমার মাথায় ব্যথা হয়েছে। অতঃপর তিনি বলেন, তোমার কোন সমস্যা নেই। তুমি যদি আমার
পূর্বে মারা যাও তবে আমি তোমার পাশে থাকব, তোমাকে গোসল দিব, তোমাকে কাফন
পরাব এবং তোমার জানাযার ছালাত আদায় করব।’ এতে আয়েশা (রা.) একটু সন্তুষ্ট হলেন, খুশি হলেন।
সহিহ বুখারি, ইবনু
মাজাহ: ১৪৬৫, ‘জানাযা’
অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-
৯; সনদ
হাসান
যখন ফাতিমা বিনতে মোহাম্মদ (রা.)-এর মৃত্যু হয়, তখন আলী ইবনে
আবু তালিব (রা.) নিজেই গোসল দিয়েছেন এবং নিজেই দাফনের কাজ সম্পন্ন করেছেন। এখান থেকে
বোঝা যায়, সালফেস
সালেহিনের আমলেও সাব্যস্ত হয়েছে, রাসুল (সা.)-এর অনুমোদনেও সাব্যস্ত হয়েছে। আসমা বনিত উমাইস
(রাঃ) বলেন, আমি
এবং আলী (রাঃ) রাসূল (ছাঃ)-এর কন্যা ফাতেমাকে গোসল দিয়েছি। (হাকেম হা/৪৭৬৯; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/৬৯০৭))
অন্য দিকে আয়েশা (রাঃ) বলেন,
لَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِىْ
مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا غَسَّلَهُ إِلاَّ نِسَاؤُهُ
‘পরে
যা জানলাম তা যদি আগে জানতাম, তবে রাসূল (ﷺ)-কে তাঁর স্ত্রীরা
ছাড়া কেউ গোসল দিতে পারত না’।আবুদাঊদ হা/৩১৪১, ২/৪৪৮ পৃঃ, ‘জানাযা’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩২; সনদ হাসান, ইরওয়াউল গালীল
হা/৭০২, ৩/১৬২
পৃঃ।
★প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে আলেমারা বলেন, এ ধারণা ভুল।
বিশুদ্ধ মত অনুযায়ী স্বামীর জন্য তার মৃত স্ত্রীর চেহারা দেখা জায়েয। মৃত স্ত্রীর চেহারা
দেখা হারাম বলা ঠিক নয়। কিন্তু স্বামীর জন্য মৃত স্ত্রীকে স্পর্শ করা, গোসল দেওয়া
জায়েয নয়। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ব্যক্তির জন্য তার মৃত স্ত্রীকে গোসল দেওয়া যাবে না। তবে
মৃত স্ত্রীকে দেখা যাবে। -(ইবনে মাজা, ১৪৬৫, বায়হাকি, মারেফাতুস সুনান
ওয়াল আছার ২১৫৭)
২. হাকেম হা/৪৭৬৯; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা
হা/৬৯০৭ উক্ত রেফারেস্নে হাদীসটি পাওয়া যায়।