জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মিসওয়াক করা সুন্নাত।
,
হাদীস শরীফে রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন,
‘যদি আমার উম্মতের জন্য কঠিন না হত, তাহলে প্রতি নামাযের সময় মিসওয়াক করাকে আমি অপরিহার্য করে দিতাম।’ -সহীহ বুখারী, হাদীস ৮৮৭; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫২
অন্য রেওয়ায়েতে বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, ‘কঠিন না হলে, প্রতি অযূর সময়ই আমি মিসওয়াকের নির্দেশ দিতাম।’ -সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১৫৩১; সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস ১৪০
মুসলিম শরীফের এক হাদীসে ইরশাদ হয়েছে, ‘দ্বীন ইসলামের স্বভাবজাত দাবি দশটি, যার অন্যতম প্রধান হল, মিসওয়াক করা।’ -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৬১
আরেক হাদীসে এসেছে, ‘তোমরা মিসওয়াক কর। কেননা, তা মুখের পবিত্রতার উপায় এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম। -ইবনে মাজাহ, হাদীস ২৮৯; সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস ১০৭০
كَانَ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ إِذَا قَامَ مِنَ اللّيْلِ، يَشُوصُ فَاهُ بِالسِّوَاكِ.
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে ঘুম থেকে ওঠার পর, মিসওয়াক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতেন। -সহীহ বুখারী, হাদীস ২৪৫; সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৫
অন্য বর্ণনায় এসেছে-
أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ لَا يَرْقُدُ مِنْ لَيْلٍ وَلَا نَهَارٍ، فَيَسْتَيْقِظُ إِلّا تَسَوّكَ قَبْلَ أَنْ يَتَوَضّأَ.
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত-দিনের যখনই ঘুম থেকে জাগ্রত হতেন ওযুর পূর্বে মিসওয়াক করে নিতেন। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৫৭
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. বর্ণনা করেন,
أَنّ النّبِيّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ كَانَ إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ بَدَأَ بِالسِّوَاكِ.
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশের পর সর্ব প্রথম মিসওয়াক করতেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৩
যায়েদ বিন খালেদ রা. বলেন-
مَا كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلّمَ يَخْرُجُ مِنْ بَيْتِه (شيء) لِشَيْءٍ مِنَ الصّلَوَاتِ حَتّى يَسْتَاكَ.
নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো নামাযের জন্য ঘর থেকে বের হওয়ার সময় মিসওয়াক করে নিতেন। -আল মুজামুল কাবীর, তবারানী, হাদীস ৫২৬১; মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস ২৫৬৯
★শরীয়তের বিধান হলো মিসওয়াকের জন্য কোনো গাছ নির্দিষ্ট নেই।
তবে পিলু গাছ বা যয়তুন গাছের মিসওয়াক উত্তম।
মাজমাউয যাওয়ায়েদ গ্রন্থের ২৫৭৬ নং হাদীসে এসেছে
2576 وعن معاذ بن جبل قال : سمعت رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يقول : " نعم السواك الزيتون من شجرة مباركة ، تطيب الفم ، وتذهب بالحفر ، وهو سواكي وسواك الأنبياء قبلي " .
رواه الطبراني في الأوسط ، وفيه : معلل بن محمد ، ولم أجد من ذكره .
সারমর্মঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন যে উত্তম মিসওয়াক হলো যয়তুন গাছের মিসওয়াক।
কেননা এটা মুখকে পরিস্কার করে,দুর্গন্ধ দুর করে,,,,
,
وفي البناية شرح الهداية (1/ 206) :
"الوجه الثالث: فيما يستاك به وما لا يستاك به، وفي " الدراية ": ويستحب أن يستاك بعود من أراك يابس قد ندي بالماء ويكون لينا، وقد مر في حديث أبي سبرة الاستياك بالأراك وذكرنا أيضا عن الطبراني من حديث معاذ «نعم السواك الزيتون» الحديث.
সারমর্মঃ পিলু গাছের মিসওয়াক মুস্তাহাব,,,,
,
رویٰ الحارث في مسندہ عن ضمیر بن حبیب قال:نہیٰ رسول اللہ ﷺ عن السواک بعودالریحان وقال: إنہ یحرک عرق الجذام وفي النہر:ویستاک بکل عودإلاالرمان والقصب وأفضلہ الأراک ثم الزیتون ،رویٰ الطبراني نعم السواک الزیتون من شجرۃ مبارکۃ وہوسواکي وسواک الأنبیاء من قبلي ۔(شامي:۱؍۷۸)(۱)
রাসুল সাঃ রাইহান গাছের মিসওয়াক ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন।
(সুতরাং ব্যাতিত অন্য যেকোনো গাছের মিসওয়াক ব্যবহার করা যাবে।)
যেকোনো গাছের মিসওয়াক ব্যবহার করা যাবে,তবে ডালিম গাছের মিসওয়াক, বাঁশ,বেত ইত্যাদি ব্যাতিত।
قال النووي:یستحب أن یستاک بعودمن أراک وبمایزیل التغیرمن الخرقۃ الخشنۃ والأصبع إن لم تکن لینۃ ولم یجدغیرہا۔(مرقاۃ المفاتیح: ۱؍۲۹۹)
পিলু গাছের মিসওয়াক মুস্তাহাব।
,
বুঝা গেলো মিসওয়াকের জন্য কোনো গাছ নির্দিষ্ট নেই।
তবে পিলু গাছ বা যয়তুন গাছের মিসওয়াক উত্তম।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত "জায়তুনের মিসওয়াক ছাড়া অন্য গাছের ডাল দিয়ে মিসওয়াক করা হয়, তাহলে সেটা যদি মুখকে পরিস্কার করে,মুখের দুর্গন্ধ যদি তাতে দূর হয়,তাহলে তার দ্বারা সুন্নাহ পালন হবে এবং ফজিলতও পাওয়া যাবে।
,
(০২)
সেই ছবি বাসার দেয়ালে পশ্চিম দিক ছাড়া অন্য কোনো দিকে ঝুলিয়ে রাখা যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৩)
হ্যাঁ এভাবে চিঠি লেখা যাবে।
এতে অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা বারাকাহ দিবেন।
ইনশাআল্লাহ।