আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (51 points)
আসসালামু আলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ। হুজুর এই প্রশ্নগুলো স্বামী যেমনটা বলেছে ঠিক তেমনভাবে লিখেছি।এই উত্তরগুলো জানা খুবই প্রয়োজন।স্বামী স্ত্রী উভয়েই চায় সংসার করতে।

১। স্ত্রীকে অনেক বকা  আর বুঝানোর পর যদি বলে "এইগুলোর পরিণতি তুমার সংসার দ্বিখন্ডিত হবে।তখন তুমি হ্যা কে না করতে পারবে না।খুব সাবধান এই বিষয়গুলো নিয়ে"। এইটা স্ত্রীকে সাবধান করার জন্য বলেছে।শর্ত যুক্ত তালাকের উদ্দেশ্য নয়।এটা বুঝাতে চেয়েছে হয়ত শেষ পরিণতি হিসেবে পরে গিয়ে তালাক দিয়ে দিবে কিন্ত স্ত্রী যদ্দুর বুঝেছে শর্ত যুক্ত তালাকের উদ্দেশ্যে বলে নি ।সাবধান করেছে এখন আপাতত । তাহলে এটা কি শর্ত যুক্ত তালাকের পর্যায়ে পরবে?

২।  ১নং কথাটা বলার পর আরো ১০ ১২ মিনিট কথা হওয়ার পর মেসেজে আর কি স্বামী যদি বলে "কোনদিন যদি আমার চোখে এমন কিছু পরে যা আমি আগে বারন করছিলাম তাহলে সেকেন্ড বার আর সুযোগ পাবে না।" এখানে তহ তালাক হয়ে যাবে বলে নি বা কোনায়া কোন শব্দ বলে নি যেটা দ্বারা শর্ত যুক্ত তালাকের পর্যায়ে পরবে  ।তাহলে স্বামীর উক্ত কথা কি শর্ত যুক্ত তালাকের পর্যায়ে পরবে?  স্ত্রীর মনে হচ্ছে স্বামী সাবধান করতেছে।

৩।উপরের স্বামী এসব কথা বলার আগে মানে অনেক আগে বলেছিল কোনদিন তালাকের ব্যাপারে কথা না বলতে।মানে কেনায়া শব্দ বললেও স্ত্রী নিয়ত জিজ্ঞেস করলে বলত কোনদিন তালাকের নিয়তে বলে নি আর ভবিষ্যতেও বলবে না।বার বার নিয়ত জিজ্ঞেস করলে রেগে যেত।এই প্রশ্নের উত্তরে আপনি বলেছিলেন স্বামী কেনায়া শব্দ বললেও আর নিয়ত জিজ্ঞেস না করতে।তাহলে উপরোক্ত কথা গুলোর নিয়ত জিজ্ঞেস করা কি ঠিক হবে?মেয়েটি ভয়ে কোনদিন কেনায়া শব্দ বললেও নিয়ত জিজ্ঞেস করে নি আর।এতে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...