জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,
إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.
...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬
আল্লাহ তা'আলা অন্যত্র বলেন,
ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﺧَﺎﺋِﻨَﺔَ ﺍﻟْﺄَﻋْﻴُﻦِ ﻭَﻣَﺎ ﺗُﺨْﻔِﻲ ﺍﻟﺼُّﺪُﻭﺭُ
চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন।(সূরা গাফির-১৯)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।
فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কল্পিত কোন ব্যাক্তি নিয়েও এধরণের কল্পনা করা যাবেনা।
(০২)
এক্ষেত্রে উক্ত ছেলে মেয়ে উভয়ে বালেগ বালেগাহ হয়ে থাকলে এবং দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলিম পুরুষকে সাক্ষী রেখে ইজাব কবুল করে থাকলে উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হবে।
(এক্ষেত্রে যেনার গুনাহ হবেনা। শারীরিক সম্পর্ক করা যাবে।)
নতুবা উক্ত বিবাহ শুদ্ধ হবেনা।
(এক্ষেত্রে যেনার গুনাহ হবে,শারীরিক সম্পর্ক সহ কোনো সম্পর্কই জায়েজ হবেনা। এক্ষেত্রে যেহেতু বিবাহই শুদ্ধ হয়নি,তাই তালাকের প্রশ্নই উঠেনা। তারা একে অপরের জন্য গায়রে মাহরাম,দেখা দেয়াও জায়েজ নেই। )