আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (6 points)
১ম ঘটনা:

এর আগের বার ওনার সাথে আমার অনেক ঝগড়া হইসে অনেক।  তো ওনি না খেয়ে শুয়ে ছিলো।  আমার রাগ কমার পরে আমার মায়া লাগতেসিলো তাই আমি তার রাগ ভাংগাতে জোড় করতেছিলাম ,তখন সে বিরক্ত হতে থাকে পরে সে রেগে বলতেছিলো আমাকে ছাড়েন নয়তো উল্টা পাল্টা কিছু হয়ে যাবে তখন আমি বললাম তাহলে কি মারবেন বা ছেড়ে দিবেন?  দেন তাহলে যান তালাক দিয়ে দেন।

★তখন সে বললো আচ্ছা যাও দিয়া দিলাম তালাক ,তালাক।

২য় ঘটনা :

কাল আমার জ্বর ছিলো তো ওনি আমার পা মেস্যাজ করে দিচ্ছিলেন আমি আমার বান্ধুবির পোস্টে হাজব্যান্ড এর রান্না করার পোস্ট দেখে তাকে বললাম দেখো তুমি রান্না পারোনা আমি অসুস্থ হলে কিভাবে রান্না করে খাওয়াবা যাও রান্না শিখো তখন সে বললো যাই তাহলে এই বেডাদের বিয়ে করো আমারে করছো কেন যাও।  তখন আমি বললাম ঠিকাছে ছাইড়া দেও তালাক দিয়ে দেও।  তখন সে বললো যাও তালাক দিলাম। (এটা সম্পূর্ণ ফাইজলামি করতে করতে বলেছে) পরে সে নিজেই বলসে ফাইজলামি করসে আমি পুরা কথা শুনিনাই।

ফজরের পরে সে আমাকে বলতেসে সে আমাকে এর আগের বার একবার বলছে তালাকের কথা আর এবার সে উচ্চারণ করেনি আমি মোবাইল টিপতেছিলাম তাই নোট করিনি।

আমি বললাম মিথ্যা বলবেন না আল্লাহ সাক্ষী সে বললো হ্যা জানি আল্লাহ সাক্ষী পরে আল্লাহর কসম ও কুরআন হাতে নিয়ে সে বললো সে তালাক শব্দ উচ্চারণ করেনি এবং এর আগের বার একবার বলসে আমি হয় খেয়াল করিনি আর না হয় তার থেকে সরার জন্য কৌশল অবলম্বন করেছি । আমি যদি শুনে থাকি কসম কাটতাম পরে আমিও কসম কেটেছি এবং বলেছি যদি আমি ভুল শুনি তবে আল্লাহ মাফ করুক আর যদি কৌশল করি তবে আল্লাহ শাস্তি দিক ।আর যদি আপনি মিথ্যা বলে অস্বিকার করে সংসার করেন তবে এই হারাম সম্পর্কের সব গুনাহ জীনাহ সব দায়ী আপনি নিবেন ওনি বললো হ্যা আমার।কারণ আমি জানি আমি তিন তালাক দেইনি।এবং সে সময়ে তুমি মোবাইল টিপছিলে তাই খেয়াল করোনি ।
এমতা অবস্থায় সে অস্বিকার করলে আমার পরিবার আমাকে বিশ্বাস করবেনা। আর সে যেভাবে কথা বলতেসে আমিও কনফিউজড হয়ে গেসি একবার মনে হচ্ছে আমি ই ভুল । আমার পরিবার ভাববে আমার ভুল আছে বা আমি ই চালাকী করতেসি ধরে নিবে।কারণ তার বেদুইনা হাল হাকিকত নিয়ে আমি অসন্তুষ্ট ছিলাম তবে আমার খুব কেয়ার করত । সেই ক্ষেত্রে তারা আমার জিবন বিষাধর করে দিবে আর এমন কেউ নেই যে বা যারা আমাকে সাথে রাখবে।

এদিকে সে বলতেসে ভরসা করতাম আল্লাহর উপরে সে মিথ্যা বলছে না আমি ভুল করতেসি,ভুল শুনেছি ,আর যদি সে মিথ্যা বলে তার ব্যাবস্থা আল্লাহ করবে সব গুনাহ জিনাহ এর ভাগ সেই নিবে । তাহলে আমি এখন কি করব?তার কথা বিশ্বাস করে থেকে যাবো নাকি নিজের কান কে বিশ্বাস করবো ।  আর যদি চলে যেতে হয় আমি কই যাবো পরিবার আমাকে বলবে আমি মিথ্যুক । উস্তাজ খুব আর্জেন্ট দয়া করে জানান ।

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়ার প্রমাণ হলো,হাদীসে বর্ণিত রয়েছে
عن مجاهد قال كنت عند ابن عباس فجاء رجل فقال إنه طلق امرأته ثلاثا. قال فسكت حتى ظننت أنه رادها إليه ثم قال ينطلق أحدكم فيركب الحموقة ثم يقول يا ابن عباس يا ابن عباس وإن الله قال (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا) وإنك لم تتق الله فلم أجد لك مخرجا عصيت ربك وبانت منك امرأتك
অর্থ: হযরত মুজাহিদ রহঃ. বলেন,আমি ইবনে আব্বাস রাঃ-এর পাশে ছিলাম। সে সময় এক ব্যক্তি এসে বলেন-‘সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ চুপ করে রইলেন। আমি মনে মনে ভাবছিলাম-হয়ত তিনি তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার কথা বলবেন (রুজু করার হুকুম দিবেন)। কিছুক্ষণ পর ইবনে আব্বাস রা. বলেন,তোমাদের অনেকে নির্বোধের মত কাজ কর;[তিন তালাক দিয়ে দাও!] তারপর ‘ইবনে আব্বাস! ইবনে আব্বাস! বলে চিৎকার করতে থাক। শুনে রাখ আল্লাহ তা‘য়ালা বাণী-“যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘য়ালাকে ভয় করে আল্লাহ তা‘য়ালা তার জন্য পথকে খুলে দেন। তুমিতো স্বীয় রবের নাফরমানী করেছো [তিন তালাক দিয়ে]। এ কারণে তোমার স্ত্রী তোমার থেকে পৃথক হয়ে গেছে।{সুনানে আবু দাউদ-১/২৯৯, হাদীস নং-২১৯৯, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৪৭২০, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৪৩}
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/222

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে তিন তালাক হয়ে গেছে। আপনারা আর স্বামী স্ত্রী হিসেবে জীবন যাপন করতে পারবেন না।  বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনাদের করণীয় কি হতে পারে, সেজন্য আপনারা স্থানীয় কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন।অথবা আমাদের সাথে মুবাইলে যোগাযোগ করবেন।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
+1
বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনাদের করণীয় কি হতে পারে, সেজন্য আপনারা স্থানীয় কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করুন।অথবা আমাদের সাথে মুবাইলে যোগাযোগ করবেন।জাযাকুমুল্লাহ।
by (6 points)
যোগাযোগের মাধ্যমটা দিলে ভালো হয় । 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...