আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in সালাত(Prayer) by (49 points)

আসসালামু আলাইকুম 
 

১) দুয়া করার সময় এভাবে কি বলা যাবে যে, আল্লাহ আমার দোয়া অলৌকিকভাবে কবুল করে নেন বা আল্লাহ আমি যেন অলৌকিকভাবে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাই। 


 

২) দোয়া কবুলের সময়গুলোতে দোয়া করার সময় কি এই জিনিসটা মনে মনে চিন্তা করা যাবে যে আল্লাহ আমি দুয়া কবুলের সময় দোয়া করছি আল্লাহ আপনি আমার দোয়াকে কবুল করে নিন।

 

৩) নামাজে সূরা ফাতিহার সাথে যে অন্য একটা সূরা পড়তে হয় সেই সুরার কিছু অংশ তেলাওয়াত করলে কি নামাজ হয়ে যাবে?  নাকি পুরো সুরাটাই তিলাওয়াত করতে হবে? 

 

৪) নামাজের সানা না পড়লেও কি হবে? 


 

জাযাকাল্লাহু খাইরান 



 

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এভাবে বলা যাবে।

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، - وَهُوَ رَجُلٌ صَالِحٌ حَدَّثَنَا صَالِحٌ الْمُرِّيُّ، عَنْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ادْعُوا اللَّهَ وَأَنْتُمْ مُوقِنُونَ بِالإِجَابَةِ وَاعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ لاَ يَسْتَجِيبُ دُعَاءً مِنْ قَلْبٍ غَافِلٍ لاَهٍ "

আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কবুল হওয়ার পূর্ণ আস্থা নিয়ে আল্লাহ তা'আলার কাছে দুআ কর। তোমরা জেনে রাখ যে, আল্লাহ তা'আলা নিশ্চয় অমনোযোগী ও অসাড় মনের দুআ কবুল করেন না।
(তিরমিজি ৩৩৭৯)

আল্লাহ্র প্রতি ভাল ধারণা নিয়ে দোয়া করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার বান্দা আমার প্রতি যেমন ধারণা করে আমি তেমন।”[সহিহ বুখারী (৭৪০৫) ও সহিহ মুসলিম (৪৬৭৫)] 

আবু হুরায়রা (রাঃ) এর হাদিসে এসেছে, “তোমরা দোয়া কবুল হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস (একীন) নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া কর।”[সুনানে তিরমিযি, সহিহুল জামে গ্রন্থ (২৪৫)]

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
দুআ করার সময় প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়টি মনে মনে চিন্তা করা যাবে।

(০৩)
এক্ষেত্রে বড় আয়াত হলে এক আয়াত ছোট আয়াত হলে কমপক্ষে তিন আয়াত পড়া আবশ্যক। 

এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
সানা পড়া সুন্নাত।
নামাজে সানা না পড়লেও হয়ে নামাজ যাবে,তবে তাহা সুন্নাতের খেলাফ হবে।
তাই বিনা ওযরে বা ইচ্ছাকৃতভাবে তাহা ছেড়ে দেয়া কাম্য নয়।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 189 views
...