আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।। আমাদের সমাজে দেখা যায়,জ্বরের জন্য বা জন্ডিস রোগ ইত্যাদির জন্য লাল সুতা দিয়ে গাছ বাধা হয় হাতে।৷ এমন মানুষ কে দিয়ে সুতা বাধায় যার সাথে ৭দিন পর্যন্ত দেখা হবে না।।
(০১) এভাবে গাছ বাধা কি জায়েজ??

(০২)আজকে একটা ছোট্ট ছেলে বাচ্চা এসেছিলো গাছ আর সুতা নিয়ে,,আমি স্বাভাবিক ভাবে নিয়ে বেধে দিয়েছি।। জায়েজ নাকি নাজায়েজ সেটা মাথায় আসে নি।। ছেলেটা চলে যাওয়ার পর আমার মাথায় প্রশ্ন জাগলো এটা কি জায়েজ নাকি শিরক! যদি জায়েজ না হয় তাহলে কি আমি এর জন্য গুনাহগার হবো??যেহেতু আমি জানতাম না

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


https://ifatwa.info/50778/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
সুতোয় গিট দিয়ে কাছপড়া পরা দেয়া ,অথবা বাচ্চাদের গলাতে বা কোমড়ে গিট দেয়া বা মোটা কালো সুতা পরানো হয়, আকিদা বিশুদ্ধ থাকলে এগুলো শিরক হবে না। তবে এমনটা না করাই উত্তম। এগুলোকে বিদ'আত বলা যাবে না।

তাবিজে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক থাকলে এবং তাবিজের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করা হলে। তার ব্যবহার জায়েজ আছে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنَ الْفَزَعِ كَلِمَاتٍ: «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُعَلِّمُهُنَّ مَنْ عَقَلَ مِنْ بَنِيهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْقِلْ كَتَبَهُ فَأَعْلَقَهُ عَلَيْهِ

আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন,তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন  أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫}

বিস্তারিত জানুনঃ 
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলার এটাকে পুরোপুরি নাজায়েজ বলেন।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 

কোনো সমস্যা নেই। 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
হাতে লাল সুতা দিয়ে গাছ বাধার বিধান হলো,
এক্ষেত্রে যদি তাতে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক কিছু পড়া হলে,এবং উক্ত গাছ দ্বারা যদি বাস্তবেই ফায়দা হয়,তাহলে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে সেটি ব্যবহার করা যাবে।

নতুবা এটি জায়েজ হবেনা। 

(০২)
এক নং প্রশ্নের জবাব অনুপাতে সমস্ত শর্ত এক্ষেত্রে পাওয়া গেলে আপনার কাজটি জায়েজ হবে।
সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবেনা।

এক নং প্রশ্নের জবাব অনুপাতে সমস্ত শর্ত এক্ষেত্রে পাওয়া না গেলে আপনার কাজটি জায়েজ হবেনা।
সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।

তবে এতে আপনার ঈমান চলে যাবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...