সুতোয় গিট দিয়ে কাছপড়া পরা দেয়া ,অথবা বাচ্চাদের গলাতে বা কোমড়ে গিট দেয়া বা মোটা কালো সুতা পরানো হয়, আকিদা বিশুদ্ধ থাকলে এগুলো শিরক হবে না। তবে এমনটা না করাই উত্তম। এগুলোকে বিদ'আত বলা যাবে না।
তাবিজে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক থাকলে এবং তাবিজের ক্ষেত্রে মুয়াসসার বিজজাত তথা আরোগ্যের ক্ষমতা আল্লাহ তাআলাকেই মনে করা হলে। তার ব্যবহার জায়েজ আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعَلِّمُهُمْ مِنَ الْفَزَعِ كَلِمَاتٍ: «أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ» وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ يُعَلِّمُهُنَّ مَنْ عَقَلَ مِنْ بَنِيهِ، وَمَنْ لَمْ يَعْقِلْ كَتَبَهُ فَأَعْلَقَهُ عَلَيْهِ
আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সঃ) ইরশাদ করেন,তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।{সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫}
বিস্তারিত জানুনঃ
,
তবে কিছু ইসলামী স্কলার এটাকে পুরোপুরি নাজায়েজ বলেন।
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
হাতে লাল সুতা দিয়ে গাছ বাধার বিধান হলো,
এক্ষেত্রে যদি তাতে কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, দুআয়ে মাসুরা বা শিরকমুক্ত অর্থবোধক কিছু পড়া হলে,এবং উক্ত গাছ দ্বারা যদি বাস্তবেই ফায়দা হয়,তাহলে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে সেটি ব্যবহার করা যাবে।
নতুবা এটি জায়েজ হবেনা।
এক নং প্রশ্নের জবাব অনুপাতে সমস্ত শর্ত এক্ষেত্রে পাওয়া গেলে আপনার কাজটি জায়েজ হবে।
এক নং প্রশ্নের জবাব অনুপাতে সমস্ত শর্ত এক্ষেত্রে পাওয়া না গেলে আপনার কাজটি জায়েজ হবেনা।
সেক্ষেত্রে আপনার গুনাহ হবে।