আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)

বিষয়টা আমার বড় বোনের কাছ থেকে শোনা (আমার জন্মের আগের ঘটনা)। একবার আমাদের বাসায় বাজার থেকে ইলিশ মাছ আনা হয়। ইলিশ মাছ পাকঘরে রেখে আম্মা অন্যদিকে যায়। তখন একটা বিড়াল এসে মাছটা নিয়ে যায়। খোজাখুজি করে দেখা যায় বিড়াল মাছ নিয়ে খাটের নিচে বসে খাচ্ছে। তখন বাসার সবাই বিড়ালটাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় এবং মেরে ফেলে। 

পরে কে যেন বিড়াল মারার জন্য লবণ বা কিছু একটা কাফফারা দিতে বলে (কি এবং কতটুকু সেটা আমার বোনের সঠিক মনে নেই)। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে বিড়াল মারা হলে কি কোন কাফফারা দিতে হয়? হলে কি দিতে হয় এবং কতটুকু দিতে হয়?

1 Answer

0 votes
by (63,440 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ইসলামের দৃষ্টিতে বিশেষ কয়েকটি প্রাণী ছাড়া সব ধরণের প্রাণীকে বিনা কারণে হত্যা করা হারাম।

হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, এক মহিলা বিনা কারণে বন্দী অবস্থায় না খাইয়ে কষ্ট দিয়ে একটি বিড়ালকে মেরে ফেলার কারণে জাহান্নামী হয়েছে। যেমন আবদুল্লাহ রা. হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ

عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ فَدَخَلَتْ فِيهَا النَّارَ لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَسَقَتْهَا إِذْ حَبَسَتْهَا وَلاَ هِيَ تَرَكَتْهَا تَأْكُلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ

একজন মহিলাকে একটি বিড়ালের জন্য আযাব (শাস্তি) দেয়া হয় এজন্য যে, সে বিড়ালটিকে আটকে রেখেছিল, পরিশেষে সেটি মারা গেল। যার জন্য সে জাহান্নামে গেল। যে মেয়ে লোকটি বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছে, নিজেও পানাহার করায়নি আর সেটিকে সে ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে। (সহীহ মুসলিম, হা/5745,অধ্যায়ঃ সালাম (كتاب السلام)-পরিচ্ছদঃ বিড়াল হত্যা করা হারাম-হাদীস একাডেমী)

তবে কেউ যদি নিরাপরাধ কোন বিড়ালকে মেরে ফেলে তাহলে তার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে আল্লাহর নিকট তওবা করা আবশ্যক। সেইসাথে আর কখনো যেন এমন না করে সে জন্য আল্লাহর নিকট অঙ্গীকার করবে। তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দিবেন। এতে তার জন্য আলাদা কোন কাফফারা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...