আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
210 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
closed by

আসসালামু আলাইকুম,
আমার পিতা, ইন্তিকালের পূর্বে, ২০০৫ সালে "প্রাইম ইসলামি লাইফ ইন্সুর‍্যান্স লিমিটেড" নামক একটি বীমা কোম্পানিতে আমার নামে একটি শিশু নিরাপত্তা বীমা করেছিলেন (যার মেয়াদ ছিল ২০২০ সাল পর্যন্ত)। ২০১৭ সালে তাঁর ইন্তিকালের পর উক্ত বীমা হতে আমাকে বাৎসরিক একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে দেওয়া হতো। ২০২০ সালে মেয়াদ পূর্ণ হলে মুনাফাসহ সম্পূর্ণ বিনিয়োগকৃত টাকা আমাকে ফেরত দেওয়া হয়। যেহেতু তাঁদের বক্তব্য অনুসারে তাঁরা শরিয়া মোতাবেক এই বীমা কার্যক্রম পরিচালনা করেন, আমার জন্য কি এই মুনাফা গ্রহণ করা জায়েজ হবে? নিচের লিংকগুলোতে এই বীমা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রদান করেছি।
জীবনবীমা কোম্পানির ওয়েবসাইট
শিশু নিরাপত্তা বীমার বিবরণ
প্রতিষ্ঠানটির শরিয়াহ কাউন্সিল

closed

1 Answer

0 votes
by (633,180 points)
selected by
 
Best answer
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বীমা নাজায়েয ও হারাম।কেননা কম্পানির পক্ষ্য থেকে মাসিক কিস্তিতে যে টাকা উসূল করা হয়, সেটা মূলত কম্পানির নিকট ঋণ হিসেবে থাকে। এবং পরবর্তীতে এ জমাকৃত টাকা তথা ঋণের বিপরিতে যে অতিরিক্ত টাকা গ্রহণ করা হয়,সেটা সুদ। আর সুদ হারাম।

দ্বিতীয়ত বীমার বিষয়টা শর্ত তথা গ্রাহকের কোনো অঘটনের সাথে চুক্তিবদ্ধ। আর শর্তের সাথে কোনো ঋণের আদাণ-প্রদাণ জায়েয না বরং হারাম।

তৃতীয়ত,বীমার টাকা দেড়ীতে গ্রাহকের হস্তগত হওয়ার শর্ত থাকে।আর ঋণের মধ্যে শর্তের মাধ্যমে দেড়ীতে লেনদেনের সমাপ্তি বিশুদ্ধ নয়।
তাছাড়া বীমা কম্পানি গ্রাহকের নিকট থেকে কিস্তিতে টাকা তুলে সেই টাকা দিয়ে সুদি লেনদেনে জড়িয়ে থাকে।

সুতরাং এসমস্ত কারণ বিবেচনায় ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, জীবন বীমা করা এবং বীমা কম্পানিতে চাকুরী করা জায়েয হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৭/২৪) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1204

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বাবা যেই টাকা জমা দিয়েছিলেন, সেই মূল টাকা আপনি নিতে পারবেন।অতিরিক্ত মুনাফা যা আসবে,এগুলো আপনার জন্য জায়েয হবে না।সদকাহ করে দিতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (633,180 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...