বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হায়েয সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُواْ النِّسَاء فِي الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىَ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।(সূরা বাক্বারা-২২২)
এক হায়েয থেকে অারেক হায়েয পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১৫ দিনের ব্যবধান থাকতে পারে।অর্থাৎ একবার হায়েয শুরু হয়ে শেষ হওয়ার পর সর্বনিম্ন ১৫ দিন পর দ্বিতীয় হায়েয শুরু হবে।
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
যেহেতু আপনার ১৬দিন পবিত্র থাকার পর হায়েয শুরু হয়েছে,সুতরাং এই ১৬ দিনের পর শুরু হওয়া স্রাবকে হায়েয হিসেবেই গণ্য করা হবে।এবং তা সর্বোচ্ছ ১০ দিন পর্যন্ত হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে।১০দিন পর যদি আরও অতিরিক্ত স্রাব দেখা যায়,তাহলে সেটাকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭৬)
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)
তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
কারো যদি নিয়ম থাকে যে, মাসে চার বা পাঁচ দিন হায়েয আসে।এই চার বা পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে যে নামাযের ওয়াক্তে রক্ত বন্ধ হবে, সে নামাযের আখের ওয়াক্তে গোসল করে উক্ত নামায পড়বে।অতঃপর আবার হায়েয দেখা দিলে নামায ছেড়ে দিবে।(আহসানুল ফাতাওয়া;২/৬৮)
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পিরিয়ডের ডেটের এক দুইদিন আগে থেকে আপনার খয়েরি ডিসচার্জ শুরু হয়েছে।এটা পিরিয়ড হিসেবে গণ্য হবে। এমতাবস্থায় আপনি সালাত আদায় করবেন না।যখন দশ অতিবাহিত হবে বা বন্ধ হবে,তখনই আপনি সালাত আদায় করবেন।