ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
গান নিয়ে হালাল হারাম আলোচনায় দু'টি বিষয় লক্ষণীয় যথা-
(ক) খালি গলায় গান/সঙ্গিত গাওয়া জায়েয কি না?
এ সম্পর্কে উলামাদের কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে। যাকে আরবীতে তারান্নুম বলা হয়ে থাকে।
(খ)
মিউজিক ব্যবহার করে গান গাওয়া জায়েয কি না?
এ সম্পর্কে চার মাযহাবের সকল ইমামগণ নাজায়েযের ফাতাওয়া প্রদাণ করেছেন।
মিউজিক এবং হানাফি মাযহাব
أن الإمام أبا حنيفة يكره الغناء ويجعله من الذنوب وكذلك مذهب أهل الكوفة [روح المعانی: 11/69]
ইমাম আবু হানিফা রাহ, গান বাজানো মাকরুহে তাহরিমি বা হারাম বলে অভিহিত করেছেন। এবং এটাকে গোনাহ আখ্যায়িত করেছেন। এবং এটাই কুফাবাসীদের মাযহাব।
وَالْمُذْهَبُ حُرْمَتُهُ مُطْلَقًا…وَلَا تُقْبَلُ شَهَادَةُ مَنْ يَسْمَعُ الْغِنَاءَ أَوْ يَجْلِسُ مَجْلِسَ الْغِنَاءِ [الدر المختار و حاشیۃ ابن عابدین: 5/482]۔
হানাফি মাযহাবে গান বাজানো সাধারণত হারাম।যে ব্যক্তি গান শুনবে,বা গানের আসরে বসবে, তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
মিউজিক এবং মালিকি মাযহাব
عن إسحاق بن عيسى الطباع قال: سألت مالك بن أنس عما يترخص فيه أهل المدينة من الغناء؟ فقال: إنما يفعله عندنا الفـُسـّـاق [الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر للخلال: ص142]۔
ইমাম মালিক রাহ, এর কাছে জিজ্ঞাসা করা হল, মদীনা বাসী কি গানকে বৈধ মনে করেন? ইমাম মালিক রাহ প্রতি উত্তরে বললেন, আমাদের দৃষ্টিতে এটা ফাসিদকের কাজ।
মিউজিক এবং শাফেয়ী মাযহাব
وقال الإمام الشافعي: إن الغناء لهو مكروه يشبه الباطل، ومـن استكثر منه فهو سفيه ترد شهادته [الام: 6/209]
ইমাম শাফেয়ী রাহ বলেন, গান বাহানো অনর্থক কাজের মধ্যে শামিল। যে ব্যক্তি গানে আসক্ত হবে,তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না।
মিউজিক এবং হাম্বলি মাযহাব
عن عبد الله بن أحمد بن حنبل قال: سألت أبي عن الغناء فقال: الغناء ينبت النفاق في القلب لا يعجبني [الأمر بالمعروف والنهي عن المنكر للخلال: ص142]
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের ছেলে আব্দুল্লাহ রাহ বলেন, আমি আমার পিতাকে গান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রতি উত্তরে বলেন,গান অন্তরে নেফাকি সৃষ্টি করে, এটা আমার পছন্দ নয়।
মোটকথাঃ-
মিউজিক সহ গান কুরআন সুন্নাহর দৃষ্টিতে নাজায়েয ও হারাম। এবং সম্পর্কে চার মাযহাব একমত।(ইসলাম এবং মিউজিক-২৫, লিখক মু্ফতি শফি রাহ)