ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
বিয়ের ক্ষেত্রে বয়সের কোনো তফাৎ নেই। বরং যে কোনো বয়সের কাউকে যে কেউ বিয়ে করতে পারবে।এমনকি ছোট্ট শিশুসন্তানকেও বিয়ে করা যাবে।যেমন হযরত আয়েশা রাযি এর বিয়ে হয়েছিলো।তবে সহবাসের উপযুক্ত হওয়ার পূর্বে সহবাস করা যাবে না।তারপরও যদি কেউ করে নেয় তাহলে কাযীর দরবারে/কোর্টে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।
বালেগ হওয়ার পর বিয়ে হওয়াটা স্বাভাবিক। পুরুষ সাধারণত ১৫ বছর পর বালেগ হয়।এবং মহিলা ১৩ বছর পর বালেগ হয়।তবে এর পূর্বে ও বালেগ হতে পারে।পুরুষের বালেগ হওয়ার আলামত স্বপ্নদোষ হওয়া।মহিলার বালেগ হওয়ার আলামত ঋতুস্রাব হওয়া।
সাধারণত পুরুষ ১৫ বছর পর বিয়ে করবে এবং মহিলা তের বছর পর বিয়ে করবে।এবং স্ত্রী থেকে স্বামী দু-বছরের বড় হওয়া উত্তম।কেননা জান্নাতে পুরুষরা থাকবে ৩৩ বছরের আর নারীরা থাকবে ৩১ বছরের।যেমনটা সুয়ূতী রাহ, তাফসীরে জালালাইনে উল্লেখ করেছেন।
বর্তমানে আমাদের দেশে সু সাস্থ্য রক্ষার্থে ২১ ও ১৮ বসরের যে আইন রয়েছে, সে আইনকে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা সুরক্ষা হিসেবে মান্য করা উচিৎ। তবে এর পূর্বেও বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে। কারো গোনাহের আশংকা থাকলে,এর পূর্বেও বিয়ে করা তার উপর ওয়াজিব থাকবে।
فتوی نمبر : 144107200690
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن
(২) সমবয়সী এবং দুয়েক বৎসরের ছোট নারীকে বিয়ে করা উত্তম।
(৩) একজন জেনারেল শিক্ষিত ছেলের জন্য বিয়ে করার ক্ষেত্রে মাদরাসা পড়ুয়া কাউকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।এতেকরে স্ত্রীর কাছ থেকেও সে অনেক কিছু শিখতে পারবে। এবং একজন আলেমের জন্য জেনারেল শিক্ষিত দ্বীনদার কাউকে বিয়ে করা উচিৎ।
(৪) দ্রুত বিয়ে হওয়ার জন্য নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়ে আল্লাহর কাছে চাওয়াই উচিৎ।
(৫) একজন সাধারণ মেয়ের মধ্যে পর্দা ও নামায রোযার পাবন্দী থাকলে তাকে দীনদার হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।