আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
237 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম, শায়খ।

১)
কোনো নারী যদি স্কলারদের একটা অংশের মত অনুযায়ী কামনা-বাসনা অনুভূত না হওয়ার শর্তে পুরুষদের দিকে তাকানো বৈধ হওয়ার মতটি অনুসরণ করে, তাহলে তাঁর জন্য এমন হাসির নাটক দেখা কি হারাম হবে যেটা অশ্লীলতা, নারী-পুরুষের সতর উন্মুক্তকরণ, মিউজিক ইত্যাদি হারাম উপকরণ থেকে মুক্ত?

.

কোনো ফানি নাটক এসব হারাম উপকরণ থেকে মুক্ত হওয়ার পরেও সেটা দেখাকে হারাম বলা হলে ডকুমেন্টারি দেখা এবং সংবাদ দেখা হারাম নয় কেন?

.

মূলত, একজন আদর্শ মুসলিমাহ হিসেবে সময়ের অপচয় থেকে শুরু করে আল্লাহর স্মরণে উদাসীনতা তৈরি হওয়া এবং ঈমানী দূর্বলতার শিকার হওয়া থেকে বেঁচে থাকার স্বার্থে এসব অনর্থক বিষয় থেকে বেঁচে থাকা জরুরী এবং এসব বিষয়ে মগ্ন থাকা নিতান্তই অনুত্তম, অপছন্দনীয় এবং অনুচিত কাজ সেটা নিয়ে কোনো দ্বিধার অবকাশ নেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- কেউ যদি হারাম উপকরণ থেকে মুক্ত এমন ফানি নাটক দেখে, তবে কি তার কাজটিকে হারাম কাজ বলা যাবে? নাকি এটাকে অপছন্দনীয় এবং তাকওয়াহর খেলাফ কাজ বলার মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে? অশ্লীলতা, সতর উন্মুক্তকরণ, মিউজিক, হারাম কাজে উদ্বুদ্ধকরণের মতো বিষয় না থাকলেও এরকম নাটক দেখাকে হারাম বলা হলে সেটা হারাম হওয়ার পেছনে দলীল কি তা বিস্তারিতভাবে বুঝিয়ে বললে উপকৃত হতাম। কাজটা অনুত্তম এবং অপছন্দনীয় হওয়া নিয়ে দ্বিধা নেই কিন্তু হারাম বলা যাবে কিনা সেটাই প্রশ্ন মূলত।

.

২) বিধর্মীদের কৃষ্টি-কালচারের প্রতি প্রভাবিত না হওয়ার শর্তে এবং সেগুলো শরীয়াহ কর্তৃক অনুসরণের অযোগ্য হওয়ার ব্যাপারে জ্ঞান রেখে উপরের একই মত অনুসরণকারী কোনো নারীর জন্য বিধর্মীদের সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে নির্মিত কোনো ডকুমেন্টারি দেখা কি বৈধ যেখানে অশ্লীলতা, মিউজিক এবং সতর উন্মুক্তকরণের দৃশ্য নেই?
.

প্রশ্নগুলোর দলীলভিত্তিক উত্তর পেলে নিজের এবং অন্যদের সংশয় দূর করা সহজ হত। জাযাকাল্লাহু খাইরান, শায়খ।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ছবি ভিডিও শরীয়তের দৃষ্টিতে হারাম।হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,
যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী -৫৬১৮)
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/2253

হাদীসে এসেছে,ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে,
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ( لَا تَزُولُ قَدَمُ ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ : عَنْ عُمُرِهِ فِيمَ أَفْنَاهُ ، وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَ أَبْلَاهُ ، وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ ) 
 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামাত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা'আলার নিকট হতে সরতে পারবে না। তার জীবনকাল সম্পর্কে, কিভাবে অতিবাহিত করেছে? তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কি কাজে তা বিনাশ করেছে; তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কোথা হতে তা উপার্জন করেছে এবং তা কি কি খাতে খরচ করেছে এবং সে যত টুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল সে মুতাবিক কি কি আমল করেছে।(সুনানু তিরমিযি-২৪১৬)বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/2125

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
ফানি নাটক দেখা হারাম।কেননা অযথা সময়ের অপচয় হারাম। 

(২)
বিধর্মী সংস্কৃতির ভিটিও ডকুমেন্টারি দেখাও হারাম।কেননা তাতেও অযথা সময় ব্যয় হয়।

দেখুন,আল্লাহ সময়ের মূল্যায়ন দেখাতে গিয়ে সময়ের কসম দিয়ে বলছেন,
وَالْعَصْرِ
কসম যুগের (সময়ের),
إِنَّ الْإِنسَانَ لَفِي خُسْرٍ
নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত;
إِلَّا الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ وَتَوَاصَوْا بِالْحَقِّ وَتَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ
কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।(সূরা আছর)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...