আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
371 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,
কারও মা মারা গেছেন, ওয়ারিশ হিসেবে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পাবে।

যেদিন তার মা মারা গেছেন, সেদিন থেকেই কি তাকে নিসাবের মালিক ধরা হবে, নাকি সম্পদ হাতে পেলে বা ভাগ করার পর?

আর সে কি স্বর্ণের দামে নিসাব ধরতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (626,130 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


আল্লাহ তা’আলা বলেন,
 
 يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا
 
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। (সূরা নিসা-১১)       
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উক্ত আয়াতের ভিত্তিতে ব্যাক্তি মারা যাওয়া মাত্র তার ওয়ারিশগন শরীয়তের নীতি অনুসারে তার সম্পদের মালিক হয়ে যায়।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেদিন তার মা মারা গেছেন, সেদিন থেকেই তাকে সেই সম্পদের মালিক ধরা হবে।
এক্ষেত্রে আগে থেকে সে নেসাবের মালিক না থাকলে তখন থেকেই সে নিসাবের মালিক বলে গন্য হবে।

এক্ষেত্রে তাকে রুপার মূল্য ধরে নিসাবের হিসাব করতে হবে। স্বর্ণের দামে নিসাব ধরতে পারবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (45 points)
হুজুর, শরীয়তে কি বাধ্য করা আছে যে রূপার মূল্যে নিসাব ধরতে হবে?
by (626,130 points)
গরিবদের ফায়েদার দিলে লক্ষ্য করে উলামায়ে কেরামগন রুপার মূল্য ধরাকে এক্ষেত্রে আবশ্যক বলেছেন।
by (79 points)
বর্তমান যুগে ৯০হাজার টাকা হাতে থাকা মানেও তো গরীব ই মনে হয়, জিনিসপত্রের যে দাম।
by
হযরত 
আগে থেকে নেসাবের মালিক না হলে ১২০,০০০ টাকা হাতে পাবার পর থেকে যাকাত হিসাব করতে হবে নাকি এই টাকা অথবা নেসাব পরিমান টাকা ১ বছর হাতে থাকতে হবে?
by (626,130 points)
এই টাকা অথবা নেসাব পরিমান টাকা ১ বছর হাতে থাকতে হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...