আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
589 views
in পবিত্রতা (Purity) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম আমার অনেক বছর ধরে ইস্তিহাযা এর প্রবলেম কখন শুরু শেষ ঠিক নাই 20 নভেম্বর শুরু হওয়ার পর পুরোপুরিভাবে এখন ও কমেনি আগেও মাসব্যাপী হওয়ার ইতিহাস আছে এখন 20 নভেম্বর হওয়ার পর 10 দিন যাওয়ার পর আমি নামাজ শুরু করি এরপরে  গত কিছুদিন আমার ব্লিডিং ছিলোনা বলতে গেলে এবং এই মাসের 2 দিন (জানুয়ারি 5 & 6)হাল্কা ব্লিডিং ছিলো যাকে আমি ইস্তিহাযা ই ধরেছিলাম কারন মাসব্যাপী এর আগেও টানা এমন হয়েছে কিন্তু গত রাত থেকে আমার ব্লিডিং বেড়েছে এবং এর রং প্রকার দেখে মাসিক বলেই মনে হচ্ছে আমি আজকে ফজর পড়িনি আমি বুঝতে পারছিনা মাসিক না ইস্তিহাযা যাদের এমন মাসব্যাপী সমস্যা থাকে আবারব1/2 দিন বন্ধ থেকে আবার শুরু হয় তাদের করণীয় কী?কীভাবে বুঝবো মাসিক না ইস্তিহাযা??এখন আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব:
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েজ (মাসিক) এর সর্বনিম্ন সময় হলো তিন দিন,সর্বোচ্চ সময়সীমা  হলো  দশ দিন।
তিন দিনের কম বা ১০ দিনের বেশি রক্ত আসলে তা ইস্তেহাযা বা অসুখ বলে গন্য হবে।

হাদীস শরীফে এসেছে     

عن ابی امامة الباھلی قال قال رسول اللہ ۖ لایکون الحیض للجاریة والثیب الذی قد ایئست من الحیض اقل من ثلاثة ایام ولا اکثر من عشرة ایام فاذا رأت الدم فوق عشرة ایام فھی مستحاضة فمازاد علی ایام اقرائھا قضت ودم الحیض اسود خائر تعلوہ حمرة ودم المستحاضة اصفر رقیق (دار قطنی ، نمبر ٨٣٤) 

অন্যত্রে এসেছে
( ٢)عن واثلة بن الاسقع قال قال رسول اللہ ۖ اقل الحیض ثلاثة ایام و اکثرہ عشرة ایام ۔(دار قطنی، کتاب الحیض ، ج اول ،ص ٢٢٥ ٨٣٦)

যার সারমর্ম হলো  হায়েজ (মাসিক) এর সর্বনিম্ন সময় হলো তিন দিন,সর্বোচ্চ সময়সীমা  হলো  দশ দিন।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ، جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي " .

আহমাদ ইবনু ইউনূস ......... আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিন্তে আবূ হুবায়েশ (রাঃ) রাসূল্লুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে উপস্হিত হয়ে বলেন, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলা। দীর্ঘদিন যাবত আমার রক্তস্রাব বন্ধ হচ্ছে না। এ সময় কি আমি নামায ত্যাগ করব? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এটা বিশেষ শিরা হতে নির্গত রক্ত, হায়েযের রক্ত নয়। অতএব তোমার যখন হায়েযের নির্ধারিত সময় উপস্হিত হবে তখন নামায ত্যাগ করবে এবং ঐ সময় অতিক্রাস্ত হলে প্রত্যেক নামাযের পূর্বে রক্ত ধৌত করে অযু
 করে নামায আদায় করবে।
(আবু দাউদ ২৮২)

★★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার পূর্বের যে নিয়ম ছিলো,মাসের যত তারিখে আসতো,এখন মাসের ঐ তারিখ আসলে,ঐ দিন থেকে নিয়ে দশ দিন পর্যন্ত কমবেশী যা কিছুই আসুক না কেন,যে কোনো কালারের আসুক না কেন,সবগুলোই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।এবং পরবর্তী দিন সমূহ ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।

সেই সময়ে নামাজ মাফ নয়,নামাজ পড়তেই হবে।
তাই বর্তমান জানুয়ারির শুরুর  এই দিন গুলো ইস্তেহাযা।
এটি হায়েজ নয়।
এই সময়ের নামাজ আপনাকে পড়তে হবে।
,
যদি আপনি এই ইস্তেহাযা চালাকালিন সময়ে  মাযুর হোন,অর্থাৎ এত বেশি রক্ত নির্গত হতে থাকে যে, কোন নামাজের সম্পূর্ন ওয়াক্তের মাঝে এত টুকু সময় বিরত হয়না যার মাঝে আপনি তাড়াতাড়ি করে অজুর ফরজ অংঙ্গগুলো ধুয়ে ফরজ নামাজ আদায় করতে পারেন।

এরুপ হলে আপনি মাজুর (অক্ষম) বলে গন্য হবেন এবং মাজুর ব্যাক্তির বিধান আপনার উপর আরোপ হবে।

এক্ষেত্রে শুধু  প্রতি ওয়াক্ত এর জন্য অজু করবেন…
এবং অজুর পূর্বে স্রাব ধুয়ে নিবেন।
এবং পাক পায়জামা পড়বেন।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আগে পবিত্রতার সময় ছিল ১৫দিন, কিন্তু এখন ১বার হল১৪দিন পর, আরেকবার হল১১দিন পর, কোনটাকে হায়াজ আর কোনটাকে ইস্তিহাজা ধরমো?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 1,947 views
...