জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ফরজ নামাজে সুরার তরতিব (সিরিয়াল) ঠিক রাখতে হবে।
ইচ্ছাপূর্বক ভাবে তারতিবের খেলাফ পড়া তথা এলোমেলো করে পড়া মাকরুহ,তবে এক্ষেত্রেও নামাজ হয়ে যাবে।
অনিচ্ছায় এমন হয়ে গেলে কোনো সমস্যা হবেনা।
নফল,সুন্নাত নামাজের ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃতভাবে এর খেলাফ হলেও কোনো সমস্যা নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ
★তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে ইচ্ছাপুর্বক ভাবেও তরতিবের খেলাফ হওয়াতে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَنْصُورٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ الْمُسْتَوْرِدِ بْنِ الأَحْنَفِ، عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ، عَنْ حُذَيْفَةَ، قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً فَافْتَتَحَ الْبَقَرَةَ فَقُلْتُ يَرْكَعُ عِنْدَ الْمِائَةِ فَمَضَى فَقُلْتُ يَرْكَعُ عِنْدَ الْمِائَتَيْنِ فَمَضَى فَقُلْتُ يُصَلِّي بِهَا فِي رَكْعَةٍ فَمَضَى فَافْتَتَحَ النِّسَاءَ فَقَرَأَهَا ثُمَّ افْتَتَحَ آلَ عِمْرَانَ فَقَرَأَهَا يَقْرَأُ مُتَرَسِّلاً إِذَا مَرَّ بِآيَةٍ فِيهَا تَسْبِيحٌ سَبَّحَ وَإِذَا مَرَّ بِسُؤَالٍ سَأَلَ وَإِذَا مَرَّ بِتَعَوُّذٍ تَعَوَّذَ ثُمَّ رَكَعَ فَقَالَ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ " . فَكَانَ رُكُوعُهُ نَحْوًا مِنْ قِيَامِهِ ثُمَّ رَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . فَكَانَ قِيَامُهُ قَرِيبًا مِنْ رُكُوعِهِ ثُمَّ سَجَدَ فَجَعَلَ يَقُولُ " سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى " . فَكَانَ سُجُودُهُ قَرِيبًا مِنْ رُكُوعِهِ .
হুসায়ন ইবনু মানসূর (রহঃ) ... হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একরাত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাত আদায় করলাম। তিনি সূরা বাকারা শুরু করলেন, আমি মনে মনে বললাম যে, হয়তো তিনি একশত আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করে থেমে যাবেন। কিন্তু তিনি তিলাওয়াত চালিয়েই যেতে থাকলেন, আমি মনে মনে বললাম, হয়তো তিনি দু’শত আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করে রুকুতে যাবেন, কিন্তু তিনি তিলাওয়াত চালিয়েই যেতে থাকলেন। আমি মনে মনে বললাম, হয়তো তিনি পূর্ণ সূরা এক রাকআতেই তিলাওয়াত করে ফেলবেন। কিন্তু তিনি তিলাওয়াত চালিয়ে যেতে থাকলেন এবং সূরা “নিসা” শুরু করে তাও তিলাওয়াত করে ফেললেন। তারপর সূরা "আলে ইমরান" ও শুরু করে তাও তিলাওয়াত করে ফেললেন। তিনি ধীরে ধীরে তিলাওয়াত করতেন। যদি তিনি এমন কোন আয়াত তিলাওয়াত করে ফেলতেন যাতে কোন তাসবীহ রয়েছে তবে তাসবীহ পাঠ করতেন, যদি কোন যাঞ্ছা করার আয়াত তিলাওয়াত করে ফেলতেন তবে যাঞ্ছা করতেন। যদি কোন বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনার আয়াত তিলাওয়াত করে ফেলতেন, তবে অশ্রেয় প্রার্থনা করতেন। তারপর রুকু করতেন এবং বলতেন, "সুবহানা রাব্বিয়াল আজীম" তার রুকু প্রায় তাঁর কিয়ামের সমান হত। পরে তার মাথা উঠাতেন এবং বলতেন "সামিআল্লাহু লিমান হামিদা"। তার দাঁড়ানো প্রায় তার রুকুর সমান হত। তারপর সিজদা করতেন এবং বলতেন, "সূবহানা রাব্বিয়াল আলা" তার সিজদা প্রায় তার রুকুরে সমান হত।
[সহীহ। সহীহ আবু দাউদ হাঃ ৮১৫, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ১৬৯১]
উক্ত হাদীসে সুরা নিসা পাঠ করে আল ইমরান পাঠ করা হয়েছে।
আরো জানুনঃ-
(০২)
সুন্নাত নফলের ক্ষেত্রে এক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছাখুশী তিলাওয়াত করা যাবে,কোনো সমস্যা নেই।
এক্ষেত্রে ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে সুন্নাত হলোঃ-
ফজরের ফরজ এর ১ম রাকাতের তুলনায় ২য় রাকাতে কম তিলাওয়াত করতে হবে।
আর অন্যান্য ফরজ নামাজের রাকাত গুলো সমানতালে তিলাওয়াত করতে হবে।
উল্লেখ্য, এই নিয়ম মেইনটেইন করা সুন্নাত। এর খেলাফ হয়ে গেলে নামাজই হবেনা,বিষয়টি এমন নহে।
বরং সেক্ষেত্রে সুন্নাত আদায় হবেনা।
(০৩)
যারা আত্মহত্যা করে তারা জাহান্নামে শাস্তি ভোগের পর নিজ ঈমানের কারনে একসময় জান্নাতে যাবে।
কেউ আত্মহত্যা করলে তার নাজাত এবং মাগফিরাতের জন্য দোয়া করা যাবে।
এক্ষেত্রে কিছু সুরা পাঠ করে,যিকির আযকার করে ছওয়াব পাঠিয়ে তার মাগফিরাত এর জন্য দোয়া করতে পারেন।
তার জন্য দান সদকাহ করতে পারেন।
(০৪)
এক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে, নিজের এলাকার আশেপাশে কোনো মহিলা মাদ্রাসায় যোগাযোগ করার জন্য।
(০৫)
উক্ত এলাকার সংশ্লিষ্ট কাহারো থেকে বিষয়টি জেনে নেয়ার পরামর্শ রইলো।