জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান মতে স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরয হবে।মনে থাকুক বা নাই থাকুক।যদি জাগ্রত হওয়া পর বীর্যের আছর পরিলক্ষিত হয়,তাহলেও এক্ষেত্রে গোসল ফরয হবে।
আরো জানুনঃ
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেটা বীর্য নাকি আঠা জাতীয় অন্য কিছু,এটা জানার অনেক পদ্ধতি রয়েছে।
ঘুমানোর আগ দিয়ে নিজ কাপড়ে আঠা লাগে,এমন কোনো কাজ আপনি করছিলেন কিনা,যদি না হয়,তাহলে তো নিশ্চিত যে সেটা বির্যই ছিলো।
,
আপনি সেটার গন্ধের মাধ্যেমেও বীর্য কিনা,সেটা বুঝতে পারবেন।
ঘুমানোর আগে আপনার কাপড়ে আঠা লাগা সম্পর্কে আপনি যদি নিশ্চিতও হোন,তারপরেও এটার গন্ধ যদি বীর্যের ন্যায় হয়,তাহলেও গোসল ফরজ হবে।
,
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার ভিত্তিতে যদি আপনার উপর গোসল ফরজ হয়ে থাকে,তাহলে গোসল করে আপনার সেই সালাত পূনরায় আদায় করতে হবে।
ওয়াক্ত চলে গেলে সেটার কাজা আদায় করতে হবে।
আগের নামাজ আদায় হয়নি।
(০২)
সব সময়ই মনে রাখতে হবে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ।
এক্ষেত্রে তীব্র লজ্জা কিংবা গোসলের পরিবেশ নাই মনে করা শরিয়তসম্মত ওজর নয়। (বাদায়েউস সানায়ে : ১/১৫১)
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ”
مَنْ فَاتَتْهُ الصَّلَاةُ فَكَأَنَّمَا وُتِر أَهْلَهُ وَمَالَهُ
হজরত নওফেল বিন মুআবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল ﷺ বলেছেন, যার নামাজ কাজা হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ : ২৩৬৪২)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত "শীতকালে স্বপ্নদোষ হওয়ার কারণে গোসলের ভয়ে + লজ্জায় যদি ফজর কাজা করা হয়,তাহলে গুণাহগার হতে হবে।
,
সমস্যা হলে প্রয়োজনে গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।