আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,458 views
in পবিত্রতা (Purity) by (50 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ

১। ঘুম থেকে উঠে কিছু আচ করতে পারি নাই। গোপনাঙ্গে কোন প্রকার আলামত ছিলো না আর না পরিধেয় বস্ত্র থেকে কিছু বুঝা যাচ্ছিলো। মনেও কোন প্রকার সংশয় আসে নাই। এভাবেই সালাত আদায় করি। পরে খেয়াল করে দেখি বস্ত্রে এমন কিছু লেগে। তবে সেটা শুকিয়ে ছিলো আর দেখেও বুঝা যাচ্ছিলো না যে, এটা বী* নাকি আঠা জাতীয় অন্য কিছু। এরপর সেই সালাত আর পুনরায় আদায় করি নাই। সালাতটা কি হয়েছে? নাকি কাযা করা লাগবে?

২। শীতকালে স্বপ্নদোষ হওয়ার কারণে গোসলের ভয়ে + লজ্জায় যদি ফজর কাযা করি তবে কি গুণাহগার হবো?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান মতে স্বপ্নদোষের কারণে গোসল ফরয হবে।মনে থাকুক বা নাই থাকুক।যদি জাগ্রত হওয়া পর বীর্যের আছর পরিলক্ষিত হয়,তাহলেও এক্ষেত্রে গোসল ফরয হবে।

আরো জানুনঃ 
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে  সেটা বীর্য নাকি আঠা জাতীয় অন্য কিছু,এটা জানার অনেক পদ্ধতি রয়েছে।
ঘুমানোর আগ দিয়ে নিজ কাপড়ে আঠা লাগে,এমন কোনো কাজ আপনি করছিলেন কিনা,যদি না হয়,তাহলে তো নিশ্চিত যে সেটা বির্যই ছিলো।
,
আপনি সেটার গন্ধের মাধ্যেমেও বীর্য কিনা,সেটা বুঝতে পারবেন।

ঘুমানোর আগে আপনার কাপড়ে আঠা লাগা সম্পর্কে আপনি যদি নিশ্চিতও হোন,তারপরেও এটার গন্ধ যদি বীর্যের ন্যায় হয়,তাহলেও গোসল ফরজ হবে।
,
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার   ভিত্তিতে যদি আপনার  উপর গোসল ফরজ হয়ে থাকে,তাহলে গোসল করে আপনার সেই সালাত পূনরায় আদায় করতে হবে।
ওয়াক্ত চলে গেলে সেটার কাজা আদায় করতে হবে।
আগের নামাজ আদায় হয়নি।

(০২)

সব সময়ই মনে রাখতে হবে, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। 

এক্ষেত্রে তীব্র লজ্জা কিংবা গোসলের পরিবেশ নাই মনে করা শরিয়তসম্মত ওজর নয়। (বাদায়েউস সানায়ে : ১/১৫১)
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ نَوْفَلِ بْنِ مُعَاوِيَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” 
مَنْ فَاتَتْهُ الصَّلَاةُ فَكَأَنَّمَا وُتِر  أَهْلَهُ    وَمَالَهُ                                                                     
হজরত নওফেল বিন মুআবিয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল ﷺ বলেছেন, যার নামাজ কাজা হয়ে গেল, যেন তার পরিবার ও সম্পদ সবই ধ্বংস হয়ে গেল। (মুসনাদে আহমাদ : ২৩৬৪২)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত "শীতকালে স্বপ্নদোষ হওয়ার কারণে গোসলের ভয়ে + লজ্জায় যদি ফজর কাজা করা হয়,তাহলে  গুণাহগার হতে হবে।
,
সমস্যা হলে  প্রয়োজনে গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...