আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (3 points)
edited by
আসসালমুআলাইকুম হুজুর,

https://ifatwa.info/81806/  আগের লিংক।
১. হুজুর বিষয় হলো, আমি একটা ওষধ কোম্পানি তে চাকরী করি। যখন কোনো কাস্টমার আসে তাকে আমাকে কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী নমস্কার বলতে হবে।
আবার কোনো কাস্টমার যখন আমাকে ফোন করবে আমাকে ফোন ধরে শুরুতে  নমস্কার বলতে হবে ।
হুজুর আমি কি চাকরির জন্য এই ভাবে কাস্টমার এর সঙ্গে ফোনে  কথা বলার শুরুতে নমস্কার বলতে পারি??  বা কোনো কাস্টমার আসলো তখন তাকে নমস্কার বলতে হবে আমি কি তখন নমস্কার বলতে পারি??

২. আমি যদি কাস্টমার কে ফোন এ কথা বলার শুরুতে নমস্কার বলি তাহলে কি আমার ঈমান চলে যাবে?? কাস্টমার কি বললো সেটা বিষয় না আমাকে নমস্কার বলতে হবে পরে যদি নমস্কার এর উত্তর কাস্টমার দেই সেটা কাস্টমার এর বিষয়। কিন্তু আমাকে কাস্টমার আসলে তাকে নমস্কার বলে সম্মধন করতে হবে। এবং ফোন করলে ফোন ধরে নমস্কার বলতে হবে.।

আমি কি চাকরির জন্য নমস্কার বলতে পারবো??
আমার ঈমান চলে যাবে না তো??

৩. আমার বিবেক এ কেমন লাগছে , নমস্কার বললে আমার ঈমান এর কোনো ক্ষতি হবে না তো?? বা গুনহা  হবে না তো?

## নমস্কার শব্দের অর্থ।

নম কথাটির অর্থ 'প্রণাম', 'অভিবাদন', 'সম্মাননা' বা 'নত হওয়া'(ঈশ্বরের কাছে) এবং কার কথার অর্থ 'কার্য' বা 'করা' ('কৃ' ধাতুর কর্ম কারক)। অর্থাৎ, নমস্কার কথাটির আভিধানিক অর্থ হল "প্রণাম করা", "সম্মান করা" অথবা "ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নত হওয়া"।।

৪. আমি কি বিনা দ্বিধায় কাস্টমার কে নমস্কার বলতে পারি। শুধুমাত্র চাকরির জন্য?
৪.১ বা কাস্টমার ফোন এ নমস্কার বললো এর উত্তরে আমাকে নমস্কার বলতে হবে কোম্পানি এর নিয়ম তাহলে কি আমি নমস্কার বলতে পারবো??

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّه رَضِىَ اللهُ عَنْهُمْ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ:لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَيْرِنَا لَا تَشَبَّهُوا بِالْيَهُودِ وَلَا بِالنَّصَارٰى فَإِنَّ تَسْلِيمَ الْيَهُودِ الْإِشَارَةُ بِالْأَصَابِعِ وَتَسْلِيمَ النَّصَارَى الْإِشَارَةُ بِالْأَكُفِّ. رَوَاهُ التِّرْمِذِىُّ

আমর ইবনু শু‘আয়ব তাঁর পিতার মাধ্যমে তাঁর পিতামহ হতে বর্ণনা করেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাদের ছাড়া অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা ইয়াহূদী ও খ্রিষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য করো না। কেননা ইয়াহূদীরা অঙ্গুলির ইশারায় সালাম দেয়, আর খ্রিষ্টানরা হাতের তালু দ্বারা সালাম করে।

(হাদীসটির হুকুম হাসান : তিরমিযী ২৬৯৫, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ২১৯৪, আল জামি‘উস্ সগীর ৯৫৬৫, সহীহুল জামি‘ ৫৪৩৪, আল মু‘জামুল আওসাত্ব ৭৩৮০, ইরওয়া ১২৭০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৭২৩।)
,
 قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : " مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ " 
আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদেরই অন্তরভুক্ত (হয়ে যাবে)।
(হাদিস টির হুকুম হাসান : আবূ দাঊদ ৪০৩১, মুসনাদে আহমাদে এরূপ শব্দে হাদীসটি নেই; আল জামি‘উস্ সগীর ১১০৯৪, সহীহুল জামি‘ ৬১৪৯, ইরওয়া ২৬৯১।

অমুসলিমদের সাথে সাক্ষাৎ হলে সৌজন্য প্রদর্শন স্বরূপ তার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে বা  অন্য কোনভাবে যেমন হাতের দ্বারা ইশারা করে কুশলবিনিময় করার অবকাশ রয়েছে। তাকে দাদা আদাবও বলা যেতে পরে। তবে কোন ভাবেই তাকে নমস্কার বা নমস্তে বলা যাবে না। (রহীমীয়া, ৬/১২৬  কিফায়াতুল মুফতী ৯/১০৬)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

কেউ নমস্কার বললে আপনার জন্য করনীয় হলো,আপনি নমস্কারের কোনো জবাবই দেবেননা বা নমস্কারের জবাবে "আসসালামু আ'লা মানিত্তাবা'আল হুদা" বলবেন।

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
না,আপনি নমস্কার বলতে পারেননা।
এটি বলা জায়েজ নয়।

(০২)
আপনি চাকরির জন্য নমস্কার বলতে পারবেননা।
তবে বললে এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবে না। তবে গুনাহ হবে।

(০৩)
এর জন্য আপনার ঈমান চলে যাবে না। তবে গুনাহ হবে।

(০৪)
না,বলতে পারেননা।

(আপনার জন্য করনীয় সম্পর্কে জানতে প্রশ্নে উল্লেখিত পূর্বের ফতোয়ার লিংক দ্রষ্টব্য।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...