আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (7 points)

একটি হাদিস নিম্নে উল্লেখ করছি - 

 

আলকামা বিন ওয়াইল তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন। এক মহিলা [ফজরের] নামাজের জন্য বের হলে একজন পুরুষ তার সাথে মিলিত হল। লোকটি  তার জামা মহিলার উপর ছুঁড়ে দিয়ে তাকে কাবু করে নিল। তারপর তার প্রয়োজন মেটাল (অর্থাৎ তাকে ধর্ষণ করল), তারপর চলে গেল। তারপর ওখানে আরেক ব্যক্তি আসল। মহিলাটি তাকে বললেন, ‘ঐ ব্যক্তি আমার সাথে এটা এটা করেছে’ (অর্থাৎ ধর্ষণ করেছে)। লোকটি তখন সেই লোকের খুঁজে ছুটল। তারপর (মদিনাবাসী) আনসারদের কিছু লোক সেই মহিলার নিকটে গিয়ে হাজির হল। মহিলা তাদেরকে বললেন,  ‘একটি লোক আমার সাথে এটা এটা করেছে’ (অর্থাৎ ধর্ষণ করেছে)। তারপর তারাও সেই লোকের সন্ধানে ছুটে গেল এবং সেই ব্যক্তিকেই পাকড়াও করে নিয়ে এল যে ব্যক্তিটি আগে ধর্ষকের সন্ধানে ছুটে গিয়েছিল। তারা তাকে নবীর (সা) কাছে নিয়ে গেল। সেখানে মহিলাটি বলল, ‘এ’ই সেই লোক’ (অর্থাৎ ধর্ষক)। তারপর, নবী যখন তাকে পাথর মেরে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন, তখন যে ব্যক্তি (মহিলাকে মূলত) ধর্ষণ করেছিল সে বলল, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ, আল্লাহর শপথ আমিই সেই ব্যক্তি।’ তারপর, নবী (সা) মহিলাকে লক্ষ্য করে বললেন, ‘আল্লাহ তোমাকে মাফ করুন, তুমি চলে যাও’, এবং (অভিযুক্ত) ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে কিছু ভাল কথা বললেন [তাকে সান্ত্বনা দিতে, কেননা তাকে তো মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেয়া হয়েছিল]। তারপর  (উপস্থিতদের কাছ থেকে) নবীকে (সা) লক্ষ্য করে বলা হল, ‘হে আল্লাহর নবী, আপনি কি তাকে পাথর মেরে হত্যা করবেন না?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘এই ব্যক্তি এমন তওবা করেছে যে এই তওবা যদি গোটা মদিনাবাসীও করত, তবে তাদের কাছ থেকে তা গৃহীত হত।’   ইবন আয-যুবাইর বলেন যে দোষ-স্বীকার-করা লোকটির উপর ‘হদ’ (শাস্তি) প্রয়োগ করা হয় নি, এবং এই (না-হওয়ার) বর্ণনাটিই সঠিক। আসবাত বিন নাসর সাম্মাক (বিন হারব) থেকেও অনুরূপ বর্ণনা করেন –একই ভাষ্যে (وقد صرح ابن الزبير عن سماك بأن الحد لم يقم على المعترف, وهو الصواب, قد رواه أسباط بن نصر عن سماك بمثله, ولفظه) (তবে সেই বর্ণনায় ওমর (রা) রাসূলুল্লাহকে দোষ স্বীকার-করা লোকটিকে শাস্তি দিতে বলেন, কিন্তু নবী (সা) সেটা করতে যান নি, বরং উপরোক্ত কথাই বলেন)।   

নাসির উদ্দিন আল-আলবানি, (১৯৯৫), সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সাহিহাহ, (২য় খন্ড), রিয়াদ: মাক্তাবতুল মাআরিফ লিন-নাশরি ওয়াত তাওযি, পৃষ্ঠা ৫৬৭-৫৬৮।  

 

---

(১) রাসুল(স.) উক্ত লোককে শাস্তি দেন নি কেন? অথচ অন্য এক জায়গায় উল্লেখ আছে যে পরকীয়া কিংবা যিনা করলে শাস্তি ( রজম/বেত্রাঘাত)  করতে হয়। তাহলে এখানে শাস্তি দেয়া হয় নি কেন? তওবা করলেও তো শাস্তি দেওয়ার কথা। 

(২) ধর্ষণের ক্ষেত্রে চার জন সাক্ষী না পাওয়া গেলে কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنْهُ: أَنَّ امْرَأَةً خَرَجَتْ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تُرِيدُ الصَّلَاةَ فَتَلَقَّاهَا رَجُلٌ فَتَجَلَّلَهَا فَقَضَى حَاجَتَهُ مِنْهَا فَصَاحَتْ وَانْطَلَقَ وَمَرَّتْ عِصَابَةٌ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ فَقَالَتْ: إِنَّ ذَلِكَ الرَّجُلَ فَعَلَ بِي كَذَا وَكَذَا فَأَخَذُوا الرَّجُلَ فَأَتَوْا بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَهَا: «اذْهَبِي فَقَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكِ» وَقَالَ لِلرَّجُلِ الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهَا: «ارْجُمُوهُ» وَقَالَ: «لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا أَهْلُ الْمَدِينَةِ لَقُبِلَ مِنْهُمْ» . 

ওয়ায়িল ইবনু হুজর (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যুগে জনৈকা মহিলা সালাতের উদ্দেশে বের হলো। এমন সময় এক ব্যক্তি তাকে ধরে নিয়ে জোরপূর্বক যিনা করলে মহিলাটির চিৎকারে পুরুষটি পালিয়ে যায়। তখন মুহাজিরদের একটি দল সেখান দিয়ে যাচ্ছিল। তখন মহিলাটি বলল, ঐ লোকটি আমার সাথে এরূপ এরূপ করেছে। তারা তখন ঐ লোকটিকে গ্রেফতার করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত করল। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ঐ মহিলাটিকে বললেন, চলে যাও আল্লাহ তা’আলা তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। আর যে লোকটি মহিলাটির সাথে যিনা করেছিল। যিনাকারীর ব্যাপারে হুকুম করলেন, একে পাথর নিক্ষেপে হত্যা কর। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, লোকটি এমনভাবে তওবা্ করেছে যদি মদীনার সকল লোক এরূপ তওবা্ করত, তাহলে তাদের সকলের পক্ষ থেকে তা কবুল করা হতো। 
(আবূ দাঊদ ৪৩৭৯, তিরমিযী ১৪৫৪,আহমাদ ২৭২৪০, সহীহাহ্ ৯০০, সহীহ আত্ তারগীব ২০২৩।)

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، حَدَّثَنَا سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ الْكِنْدِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ امْرَأَةً، خَرَجَتْ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تُرِيدُ الصَّلاَةَ فَتَلَقَّاهَا رَجُلٌ فَتَجَلَّلَهَا فَقَضَى حَاجَتَهُ مِنْهَا فَصَاحَتْ فَانْطَلَقَ وَمَرَّ عَلَيْهَا رَجُلٌ فَقَالَتْ إِنَّ ذَاكَ الرَّجُلَ فَعَلَ بِي كَذَا وَكَذَا . وَمَرَّتْ بِعِصَابَةٍ مِنَ الْمُهَاجِرِينَ فَقَالَتْ إِنَّ ذَاكَ الرَّجُلَ فَعَلَ بِي كَذَا وَكَذَا . فَانْطَلَقُوا فَأَخَذُوا الرَّجُلَ الَّذِي ظَنَّتْ أَنَّهُ وَقَعَ عَلَيْهَا وَأَتَوْهَا فَقَالَتْ نَعَمْ هُوَ هَذَا . فَأَتَوْا بِهِ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا أَمَرَ بِهِ لِيُرْجَمَ قَامَ صَاحِبُهَا الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهَا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنَا صَاحِبُهَا . فَقَالَ لَهَا " اذْهَبِي فَقَدْ غَفَرَ اللَّهُ لَكِ " . وَقَالَ لِلرَّجُلِ قَوْلاً حَسَنًا وَقَالَ لِلرَّجُلِ الَّذِي وَقَعَ عَلَيْهَا " ارْجُمُوهُ " . وَقَالَ " لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ تَابَهَا أَهْلُ الْمَدِينَةِ لَقُبِلَ مِنْهُمْ "

আলকামা ইবনু ওয়াইল (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায় একজন মহিলা নামায আদায়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলো। রাস্তায় একজন লোক তার সামনে পড়ে এবং সে তাকে তার পোশাকে ঢেকে নিয়ে (জাপটে ধরে) নিজের প্রয়োজন মিটায় (ধর্ষণ করে)। মহিলাটি চিৎকার করলে লোকটি পালিয়ে গেল। তারপর আর একজন লোক তার সম্মুখ দিয়ে যাচ্ছিল। মহিলাটি বলল ঐ লোকটি আমার সাথে এই এই করেছে। ইতোমধ্যে মুহাজির সাহাবীদের একটি দলও সে স্থান দিয়ে যাচ্ছিল। মহিলাটি বলল, ঐ লোকটি আমার সাথে এই এই করেছে। যে লোকটি তাকে ধর্ষণ করেছে বলে সে ধারণা করল, তারা (দৌড়ে) গিয়ে তাকে ধরে ফেলেন। তাকে নিয়ে তারা মহিলাটির সামনে ফিরে আসলে সে বলল, হ্যাঁ, এই সেই লোক।

তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট তাকে নিয়ে আসেন। তিনি যখন তাকে রজমের (পাথর মেরে হত্যা) হুকুম দিলেন, সে সময়ে তার আসল ধর্ষণকারী উপস্থিত হয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তার ধর্ষণকারী (ঐ লোকটি নয়)। তিনি মহিলাটিকে বললেনঃ যাও, তোমাকে আল্লাহ তা’আলা মাফ করে দিয়েছেন। তিনি (সন্দেহজনকভাবে) ধৃত লোকটির সম্বন্ধে ভাল কথা বললেন। মহিলাটির আসল ধর্ষণকারীর সম্পর্কে তিনি হুকুম করলেনঃ একে রজম কর। তিনি আরো বললেনঃ সে এমন ধরণের তাওবা করেছে, যদি মদীনার সকল জনগণ এমন তাওবা করে তবে তাদের সেই তাওবা কুবুল করা হবে।

(তিরমিজি ১৪৫৪ মিশকাত (৩৫৭২) সহীহাহ (৯০০)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
উপরোক্ত দুটি হাদীস দ্বারা প্রমানিত হয় যে উক্ত ঘটনার ক্ষেত্রে তওবা করা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ সাঃ রজম করারই আদেশ দিয়েছিলেন।
,
(০২)
যদি যেনার ক্ষেত্রে চার জন সাক্ষি নাও পাওয়া যায়,তাহলেও কেবল সে পুরুষ অথবা মহিলা যেকোনো একজনের সাক্ষির ভিত্তিতেও যেনার শাস্তি দেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে তাদের কেউ শরীয়াহ মোতাবেক স্বীকার করলে চার সাক্ষির প্রয়োজনীয়তা থাকেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ: أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ؟ قَالَ: وَمَا بَلَغَكَ عَنِّي؟ قَالَ: بَلَغَنِي عَنْكَ أَنَّكَ وَقَعْتَ عَلَى جَارِيَةِ بَنِي فُلَانٍ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ، فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ صحيح

ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঈয ইবনু মালিককে ডেকে বললেনঃ তোমার সম্বন্ধে যে সংবাদ আমার কানে পৌঁছেছে তা কি সত্য? সে বললো, আমার সম্বন্ধে আপনার নিকট কিরূপ সংবাদ পৌঁছেছে? তিনি বললেনঃ তুমি নাকি অমুক গোত্রের জনৈক বাঁদীর সঙ্গে যেনা করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। অতঃপর সে চারবার একথার স্বীকারোক্তি করে। সুতরাং তিনি তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করার আদেশ দেন। অতঃপর তাকে পাথর মারা হয়।

(আবু দাউদ ৪৪২৫)
,
حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ وَهُوَ جَالِسٌ عَلَى مِنْبَرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللَّهَ قَدْ بَعَثَ مُحَمَّدًا صلى الله عليه وسلم بِالْحَقِّ وَأَنْزَلَ عَلَيْهِ الْكِتَابَ فَكَانَ مِمَّا أُنْزِلَ عَلَيْهِ آيَةُ الرَّجْمِ قَرَأْنَاهَا وَوَعَيْنَاهَا وَعَقَلْنَاهَا فَرَجَمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَرَجَمْنَا بَعْدَهُ فَأَخْشَى إِنْ طَالَ بِالنَّاسِ زَمَانٌ أَنْ يَقُولَ قَائِلٌ مَا نَجِدُ الرَّجْمَ فِي كِتَابِ اللَّهِ فَيَضِلُّوا بِتَرْكِ فَرِيضَةٍ أَنْزَلَهَا اللَّهُ وَإِنَّ الرَّجْمَ فِي كِتَابِ اللَّهِ حَقٌّ عَلَى مَنْ زَنَى إِذَا أَحْصَنَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ إِذَا قَامَتِ الْبَيِّنَةُ أَوْ كَانَ الْحَبَلُ أَوْ الاِعْتِرَافُ .

আবূ তাহির ও হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়াহ্ (রহঃ) ..... 'আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, "উমর ইবনু খাত্তাব (রাযিঃ) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মিম্বারের উপর বসা অবস্থায় বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সত্য দীনসহ পাঠিয়েছেন এবং তার উপর কিতাব (কুরআন) অবতীর্ণ করেছেন। আল্লাহর নাযিলকৃত বিষয়ের মধ্যে آيَةُ الرَّجْمِ (ব্যভিচারের জন্য পাথর নিক্ষেপের আয়াত) রয়েছে। তা আমরা পাঠ করেছি, স্মরণ রেখেছি এবং হৃদয়ঙ্গম করেছি। সুতরাং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব্যভিচারের জন্য রজম করার হুকুম বাস্তবায়ন করেছেন। তার পরবর্তী সময়ে আমরাও (ব্যভিচারের জন্য) রজমের হুকুম বাস্তবায়িত করেছি। আমি ভয় করছি যে, দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর কেউ এ কথা হয়তো বলবে যে, আমরা আল্লাহর কিতাবে (ব্যভিচারের শাস্তি) রজমের নির্দেশ পাই না। তখন আল্লাহ কর্তৃক নাযিলকৃত এ ফরয কাজটি পরিত্যাগ করে তারা মানুষদেরকে পথভ্রষ্ট করে ফেলবে। নিশ্চয়ই আল্লাহর কিতাবে বিবাহিত নর-নারীর ব্যভিচারের শাস্তি رجم (পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা) এর হুকুম সাব্যস্ত। যখন সাক্ষ্য দ্বারা তা প্রমাণিত হয়, কিংবা গর্ভবতী হয়, অথবা সে নিজে স্বীকার করে।
 (মুসলিম ৪৩১০ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৪২৭১, ইসলামিক সেন্টার ৪২৭১)

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...