আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।
আমার জাওযের ছোট ভাই আমার চেয়ে ছয় বছরের ছোট,কলেজে পড়ে। যেহেতু আমি নিকাব করি,গাইরে মাহরাম মেনে চলার চেষ্টা করি,পর্দায় থাকার চেষ্টা করি,তার সাথে কথা বলি না,শশুড়বাড়িতে বেড়াতে গেলেও। অনেক আগে,আমার আব্বুর বাসায় যখন শশুড় আব্বু,শাশুড়ি আম্মু আর সাহেবের ছোট ভাই আসতো,যেহেতু মেহমান সবাই অনেক জোরাজুরি করতো বলে মেহমানের রুমে গিয়ে নিকাব করে শুধু কেমন আছো,আর সালাম-এরপর চলে আসতাম কিংবা একবার খাবার নিয়ে যেতাম। সচরাচর কোনো কথা হয়না,শশুড়বাড়ি গেলেও আমি আলাদা রুমে থাকি,খাবার আলাদা রুমেই দেয়া হয় আমাকে।তো,জাওযের ছোট ভাই একবার পরীক্ষা দেয়ার সময় আমার কাছে ফোন করে দুয়া চাইতে। কিন্তু আর কখনোই করেনাই। কথাও বলেনা। তখন আমি কল ধরিনি,নাম্বার সেভ করা আছে ফ্যামিলির সবার। জাওয সাহেব আমাকে বলেন কেন ধরিনি এবং জোর করে কল করান যে শুধু কথা বলে রেখে দাও।(বুঝিয়েছি বেশি বলা লাগবে না,একটু বলে কেটে দিতে)
এতে কি তিনি জুলুম করেছেন কি না,আর আমার এরকম পরিস্থিতিতে কি করা উচিত?
আমি বুঝছি না তিনি আমাকে কেন জোর করলেন। হতে পারে,ছোট ভাইয়ের জন্য মায়া যে কল দিলো ধরলামই না,নাহয় বাসার চাপ তার পরিবারের দ্বীনি বুঝ নাই। বিয়ের পর উনি কিছুটা এসেছেন দ্বীনে,আমার জোর বা নাসীহাহতে কিনা জানি না। আমি মনে মনে ভেঙে পড়েছি,প্রকাশ করতে পারি না। এই চিন্তায় যে আমার এতে গুনাহ হয় কিনা কথা বলায়।
আপনি মুফতি, শাইখ। অনেক বড় মানুষ,হয়তো আল্লাহর অনেক পছন্দের,খাস করে দুয়া চাই যেন আমার জাওযের ও আমার পরিবারের সদস্যরা হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়,দ্বীনকে বুঝে। জাওযও যেন প্রকৃতভাবে দ্বীন পালন করে। নাহয়,আমার জন্য জুলুম হয়ে পড়ে একা দ্বীনের জন্য কষ্ট করা।