বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জবাবঃ-
বিয়ে শাদীকে অভিভাবকদের দায়িত্বে দিয়ে দেয়াই উত্তম।গ্রহণযোগ্য চারটি মাযহাবের মধ্যে হানাফি মাযহাব ব্যতীত অন্যান্য মাযহাব মতে মহিলাদের আলোচনা দ্বারা বিয়েই সংগঠিত হয় না।শুধুমাত্র হানাফি মাযহাবে রয়েছে,যদি ঘটনাক্রমে কখনো কোনো বালিগ মহিলা তার সমপর্যায়ের কারো নিকট নিজে নিজে বিয়ে বসে যায়,তাহলে সেই বিয়ে সংগঠিত হয়ে যায়।এর অর্থ এ নয় যে,মহিলারা ব্যাপকহারে নিজে নিজে বিয়ে বসবে।বা অভিভাবক ব্যতীত মহিলাদের নিকট সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেয়া হবে।
পাত্রী স্বয়ং বিয়ের প্রস্তাব দিলে,এখানে লজ্জাহীনতার প্রশ্ন চলে আসে।সুতরাং অনেক কারণে মহিলার জন্য সরাসরি কাউকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়য়া কখনো সমুচিত হবে না।হ্যা যদি কোনো মহিলার কোনো প্রকার অভিভাবক না থাকে,তাহলে তাকে দেয়া যেতে পারে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2451
(২)
হ্যা আপনার কথাই ঠিক,পরিবারের মাধ্যমে প্রস্তাব দেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ ও ফিতনামুক্ত উপায়।তবে প্রয়োজনে মহিলারাও তাদের নিজেদের বিয়ের প্রস্তাব নিজেরা দিতে পারবে।জায়েয রয়েছে।
(৩)
সাহল ইবনু সা‘দ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
কোন এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বলল, আমি আমার নিজেকে আপনার কাছে দান করলাম। এরপর সে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকল। তখন একজন লোক বলল, আপনার দরকার না থাকলে, আমার সঙ্গে এর বিয়ে দিয়ে দিন। রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামতাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাছে মাহর দেয়ার মতো কি কিছু আছে? লোকটি বলল, আমার এ তহবন্দ ছাড়া আর কিছুই নেই। রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবললেন, যদি তুমি তহবন্দখানা তাকে দিয়ে দাও, তাহলে তোমার কিছু থাকবে না। কাজেই তুমি অন্য কিছু খুঁজে আন। লোকটি বলল, আমি কোন কিছুই পেলাম না। নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবললেন, খুঁজে দেখ, যদি একটি লোহার আংটিও পাও। সে কিছুই পেল না। নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামজিজ্ঞেস করলেন, কুরআনের কিছু অংশ তোমার জানা আছে কি? লোকটি বলল, হ্যাঁ! অমুক অমুক সূরা আমার জানাআছে এবং সে সূরাগুলোর নাম বলল। নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামবললেন, কুরআনের যা তোমার জানা আছে, তার বিনিময়ে আমি তাকে তোমার নিকট বিয়ে দিলাম। [২৩১০; মুসলিম ১৬/১২, হাঃ ১৪২৫, আহমাদ ২২৯১৩](আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৫৯)(সহীহ বুখারী-৫১৩৫)
দেখুন,রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জমানা ফিতনামুক্ত ছিল,যেজন্য মহিলা নিজেই নিজের প্রস্তাব রাসূলুল্লাহ সাঃ কে দিয়েছেন।মহিলারা প্রস্তাব দিলে সেটা নাজায়েয হবে না, কেননা তখন মহিলার প্রস্তাবকে রাসূলুল্লাহ শরীয়ত অনুমোদিত নয়,সেটা বলেননি।কাজেই বুঝা গেল,মহিলাদের প্রস্তাবেও বিয়ে হয়।