জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এ কথা ভিত্তিহীন।
(০২)
عَائِش [عيش]
['আ'ইশ] আঈশা শব্দের অর্থঃ-
জীবিত
সুখী জীবন যাপনকারী
সচ্ছল
نَوَّرَ(تَنْوِير) [نور]
[নাওওয়ারা] শব্দের অর্থঃ-
আলোকিত করা
(প্রদীপ) জ্বালানো
মুকুলিত হওয়া
ফুল ধরা
নাওয়ার নামের অর্থ দীপ্তিশীল, উজ্জ্বল ।
ঈশাল নামের অর্থ চমৎকার, সুন্দর,জান্নাতের ফুল।
★সুতরাং " আয়িশা নাওয়ার ঈশাল" নাম রাখা যাবে।
(০৩)
"আয়িশা নাওয়ার" নাম রাখা যাবে।
(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: لَا تَغْتَسِلُوا بِالْمَاءِ الْمُشَمَّسِ فَإِنَّهُ يُورِثُ البرص.
’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রোদে গরম করা পানি দিয়ে গোসল করো না। কারণ এ পানি শ্বেত ও কুষ্ঠ রোগ সৃষ্টি করে।
(দারাকুত্বনী ১/৩৯, বায়হাক্বী ১/৬, মিশকাত ৪৮৯.তালখীসুল হাবীর ৬, ৭ নং পৃঃ।)
نَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَآخَرُونَ ، قَالُوا : حَدَّثَنَا سَعْدَانُ بْنُ نَصْرٍ ، نَا خَالِدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَخْزُومِيُّ ، نَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ : دَخَلَ عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَقَدْ سَخَّنْتُ مَاءً فِي الشَّمْسِ ، فَقَالَ : " لَا تَفْعَلِي يَا حُمَيْرَاءُ فَإِنَّهُ يُورِثُ الْبَرَصَ "
আল হুসায়ন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঘরে প্রবেশ করলেন, তখন আমি সূর্যের তাপে পানি গরম করছিলাম। তিনি বললেন, হে হুমায়রা! তা করো না। কারণ তাতে শ্বেতরোগের সৃষ্টি হয়।
(সুনানে দারা কুতনি ৮২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত হাদীস দুটিকে মুহাদ্দিসিনে কেরামগন জয়ীফ বলেছেন।