জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হ্যাঁ, এই কথা সত্য।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يُحْشَرُ النَّاسُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا» . قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ الرِّجَالُ وَالنِّسَاءُ جَمِيعًا يَنْظُرُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ؟ فَقَالَ: «يَا عَائِشَةُ الْأَمْرُ أَشَدُّ مِنْ أَنْ يَنْظُرَ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (6527) و مسلم (56 / 2859)، (7198) ۔
’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন মানুষদেরকে খালি পায়ে, খালি দেহে ও খতনাবিহীন অবস্থায় সমবেত করা হবে। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! নারী পুরুষ সকলে কি একজন আরেকজনের লজ্জাস্থান দেখতে থাকবে না? তিনি (সা.) বললেন, হে ’আয়িশাহ্! সে সময়টি এত ভয়ঙ্কর হবে যে, কেউ কারো প্রতি দৃষ্টি দেয়ার সুযোগ পাবে না।
(সহীহ: বুখারী ৩৪৪৭, মুসলিম ৫৬-(২৮৫৯), তিরমিযী ২৪২৩, নাসায়ী ২০৮৩, সহীহুল জামি ৫২৩৫, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ৩৫৭৬, সিলসিলাতুস সহীহাহ ৩৪৬৯, মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ্ ৩৪৩৯৫, মুসনাদে আবদ ইবনু হুমায়দ ৪৮৩, মুসনাদে বাযযার ২০২৩, মুসনাদে আহমাদ ২৪৩১০, আবূ ইয়া'লা ২৫৭৮, সহীহ ইবনু হিব্বান ৭৩১৬, শুআবূল ঈমান ৩৫৯, আস্ সুনানুল কুবরা লিন্ নাসায়ী ২২০৮, দারিমী ২৮০০, হিলইয়াতুল আওলিয়া ৩/২৭০, আল মু'জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ১২১৪৩, আল মু'জামুল আওসাত্ব ৫১, আল মুসতাদরাক লিল হাকিম ৮৭১৫।)
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّكُمْ مَحْشُورُونَ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا» ثُمَّ قَرَأَ: (كَمَا بَدَأْنَا أَوَّلَ خَلْقٍ نُعِيدُهُ وَعْدًا عَلَيْنَا إِنَّا كُنَّا فاعلين) وَأَوَّلُ مَنْ يُكْسَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِبْرَاهِيمُ وَإِنَّ نَاسًا مِنْ أَصْحَابِي يُؤْخَذُ بِهِمْ ذَاتَ الشِّمَالِ فَأَقُولُ: أُصَيْحَابِي أُصَيْحَابِي فَيَقُولُ: إِنَّهُمْ لَنْ يَزَالُوا مرتدين على أَعْقَابهم مذْ فَارَقْتهمْ. فَأَقُول كَمَا قَالَ الْعَبْدُ الصَّالِحُ: (وَكُنْتُ عَلَيْهِمْ شَهِيدًا مَا دمت فيهم) إِلى قَوْله (الْعَزِيز الْحَكِيم) مُتَّفق عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (3349) و مسلم (58 / 2860)، (7201) ۔
ইবনু আব্বাস (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: (হে লোক সকল!) কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে খালি পায়ে, খালি দেহে ও খতনাবিহীন অবস্থায় একত্রিত করা হবে। তারপর তিনি (সা.) এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন- (کَمَا بَدَاۡنَاۤ اَوَّلَ خَلۡقٍ نُّعِیۡدُهٗ ؕ وَعۡدًا عَلَیۡنَا ؕ اِنَّا کُنَّا فٰعِلِیۡنَ) “আমি তোমাদেরকে আবার আমার কাছে ফিরিয়ে আনব যেমন প্রথমবার তৈরি করেছিলাম, এটা আমার প্রতিশ্রুতি, যা আমি অবশ্যই পূরণ করব"- (সূরাহ আল আম্বিয়া ২১: ১০৪)। [অতঃপর রাসূল (সা.) বললেন,] সর্বপ্রথম যাকে কাপড় পরিধান করানো হবে, তিনি হবেন ইবরাহীম আলায়হিস সালাম। তিনি (সা.) আরো বলেছেন, আমি দেখব যে, আমার উম্মতের কিছুসংখ্যক লোককে গ্রেফতার করে বামদিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন আমি বলব, তারা যে আমার উম্মতের কিছু লোক, তারা যে আমার উম্মতের কিছু লোক। (কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?) তখন আল্লাহ বলবেন, যখন থেকে আপনি তাদেরকে রেখে পৃথক হয়ে চলে এসেছেন, তখন হতেই তারা দীনকে পরিত্যাগ করে উল্টা পথে চলেছিল। তিনি (সা.) বলেন, তখন আল্লাহর নেক বান্দা ’ঈসা আলায়হিস সালাম যেমন বলেছিলেন অনুরূপ বলব, ’আমি যতদিন তাদের মাঝে ছিলাম ততদিনই আমি তাদের অবস্থা অবহিত ছিলাম..... আপনি সর্বশক্তিমান ও মহাজ্ঞানী’ পর্যন্ত।
(সহীহ: বুখারী ৩৪৪৭, মুসলিম ৫৬-(২৮৫৯), তিরমিযী ২৪২৩, নাসায়ী ২০৮১, সহীহুল জামি ৭৮৭০, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত তারহীব ৩৫৭৬, সিলসিলাতুস সহীহাহ ৩৪৬৯, মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ৩৪৩৯৫, মুসনাদে ‘আবদ ইবনু হুমায়দ ৪৮৩, মুসনাদে বাযযার ২০২৩, মুসনাদে আহমাদ ১৯৫০।)
(০২)
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,إِذَا دَخَلَ أَهْلُ الْجَنَّةِ الْجَنَّةَ قَالَ : يَقُولُ اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالٰى تُرِيدُونَ شَيْئًا أَزِيدُكُمْ؟ فَيَقُولُونَ أَلَمْ تُبَيِّضْ وُجُوهَنَا أَلَمْ تُدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَتُنَجِّنَا مِنَ النَّارِ؟ قَالَ : فَيَكْشِفُ الْحِجَابَ، فَمَا أُعْطُوا شَيْئًا أَحَبَّ إِلَيْهِمْ مِنَ النَّظَرِ إِلٰى رَبِّهِمْ عَزَّ وَجَلَّ ثُمَّ تَلاَ : لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنٰى وَزِيَادَةٌ- ‘জান্নাতবাসীরা জান্নাতে প্রবেশের পর আল্লাহ তাদের জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা কি অতিরিক্ত আরও কিছু চাও? তারা বলবে, আপনি কি আমাদের চেহারা উজ্জ্বল করেননি? আপনি কি আমাদের জান্নাতে প্রবেশ করাননি এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেননি? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, অতঃপর আল্লাহ স্বীয় পর্দা উন্মোচন করবেন। তখন তাঁকে দেখার চাইতে প্রিয়তর কোন বস্ত্ত আর থাকবে না’। আর এটিই হ’ল ‘অতিরিক্ত’। অতঃপর তিনি পাঠ করলেন,لِلَّذِيْنَ أَحْسَنُوا الْحُسْنٰى وَزِيَادَةٌ، ‘যারা সৎকাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত ও আরও কিছু অতিরিক্ত অর্থাৎ আল্লাহর দর্শন লাভ’ (ইউনুস ১০/২৬)।
(মুসলিম হা/১৮১; মিশকাত হা/৫৬৫৬, রাবী ছোহায়েব রূমী (রাঃ)।)
হযরত জাবের (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে এসেছে, ‘আল্লাহ সেদিন উজ্জ্বল চেহারায় হাসতে হাসতে মুমিনদের সাক্ষাৎ দিবেন...(মুসলিম হা/১৯১)।
আবু হুরায়রা ও আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ)-এর বর্ণনায় এসেছে, লোকেরা বলল,يَا رَسُولَ اللهِ هَلْ نَرٰى رَبَّنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- هَلْ تُضَارُّونَ فِى الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ؟ قَالُوْا لاَ يَا رَسُولَ اللهِ. قَالَ : فَهَلْ تُضَارُّونَ فِى الشَّمْسِ لَيْسَ دُونَهَا سَحَابٌ؟ قَالُوْا لاَ يَا رَسُولَ اللهِ. قَالَ : فَإِنَّكُمْ تَرَوْنَهُ كَذٰلِكَ- ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি আমাদের প্রতিপালককে ক্বিয়ামতের দিন দেখতে পাব? তিনি বললেন, মেঘমুক্ত আকাশে সূর্য বা পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে কি তোমাদের কোন অসুবিধা হয়? তারা বলল, না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, তোমরা অনুরূপভাবেই তোমাদের প্রতিপালককে সেদিন দেখতে পাবে’।
(বুখারী হা/৭৪৩৭, ৭৪৩৯; মুসলিম হা/১৮২, ১৮৩; মিশকাত হা/৫৫৫৫, ৫৫৭৮।)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নিঃসন্দেহে আল্লাহর দীদার ও তার দর্শন কেবল জান্নাতীরাই লাভ করবে, জাহান্নামীরা নয়।
আল্লাহ বলেন,
كَلَّآ إِنَّهُمْ عَنْ رَّبِّهِمْ يَوْمَئِذٍ لَّمَحْجُوْبُوْنَ- ثُمَّ إِنَّهُمْ لَصَالُو الْجَحِيْمِ-
‘কখনই না। তারা সেদিন তাদের প্রতিপালকের দর্শন হ’তে বঞ্চিত থাকবে’। ‘অতঃপর তারা অবশ্যই জাহান্নামে প্রবেশ করবে’ (মুত্বাফফেফীন ৮৩/১৫-১৬)।
ফলে কাফের-মুশরিক ও মুনাফিকরা আল্লাহর দর্শন থেকে বঞ্চিত হবে।
(০৩)
শেষ বিচারের দিন সব মানুষরা (মানে ইমানদার,কাফের, মুশরিক) নবী রাসুলদের দেখতে পাবে।
(০৪)
আখিরাতে কাফের,মুশরিক,মুনাফিকদেরও বিচার হবে। তাদেরও হিসাব নিকাশ হবে।
(০৫)
হ্যাঁ, এটি সত্য।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
وَ بَیۡنَهُمَا حِجَابٌ ۚ وَ عَلَی الۡاَعۡرَافِ رِجَالٌ یَّعۡرِفُوۡنَ کُلًّۢا بِسِیۡمٰهُمۡ ۚ وَ نَادَوۡا اَصۡحٰبَ الۡجَنَّۃِ اَنۡ سَلٰمٌ عَلَیۡکُمۡ ۟ لَمۡ یَدۡخُلُوۡهَا وَ هُمۡ یَطۡمَعُوۡنَ ﴿۴۶﴾
আর তাদের মধ্যে থাকবে পর্দা এবং আ‘রাফের উপর থাকবে কিছু লোক, যারা প্রত্যেককে তাদের চিহ্ন দ্বারা চিনবে। আর তারা জান্নাতের অধিবাসীদেরকে ডাকবে যে,‘তোমাদের উপর সালাম’। তারা (এখনো) তাতে প্রবেশ করেনি তবে তারা আশা করবে।
(সুরা আ'রাফ ৪৬)
وَ نَادٰۤی اَصۡحٰبُ الۡاَعۡرَافِ رِجَالًا یَّعۡرِفُوۡنَهُمۡ بِسِیۡمٰهُمۡ قَالُوۡا مَاۤ اَغۡنٰی عَنۡکُمۡ جَمۡعُکُمۡ وَ مَا کُنۡتُمۡ تَسۡتَکۡبِرُوۡنَ ﴿۴۸﴾
আর আ‘রাফের অধিবাসীরা এমন লোকদেরকে ডাকবে, যাদেরকে তারা চিনবে তাদের চিহ্নর মাধ্যমে, তারা বলবে, ‘তোমাদের দল এবং যে বড়াই তোমরা করতে তা তোমাদের উপকারে আসেনি’।
(সুরা আ'রাফ ৪৯)
আরাফবাসী কারাঃ বিভিন্ন বর্ণনায় এসেছে যে, আরাফবাসী ঐ সমস্ত লোকেরা যাদের সৎ এবং অসৎকর্ম সমান হয়ে যাবে। কেউ কেউ বলেনঃ কিছু লোক এমনও থাকবে, যারা জাহান্নাম থেকে তো মুক্তি পাবে, কিন্তু তখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। তবে তারা জান্নাতে প্রবেশ করার আশা পোষণ করবে। তাদেরকেই আরাফবাসী বলা হয়। ইবন জারীর বলেন, তাদের সম্পর্কে এটা বলাই বেশী সঠিক যে, তারা হচ্ছে এমন কিছু লোক যারা জান্নাতী ও জাহান্নামীদেরকে তাদের নিদর্শনের মাধ্যমে চিনতে পারবে। [তাবারী]
হাশরের ময়দানে তিনটি দল হবে। (এক) সুস্পষ্ট কাফের ও মুশরিক। (দুই) মুমিনের দল। তাদের সাথে ঈমানের আলো থাকবে। (তিন) মুনাফেকের দল। এরা দুনিয়াতে মুসলিমদের সাথে মিলে থাকত। হাশরের ময়দানেও প্রথম দিকে সাথে মিলে থাকবে এবং পুলসেরাত চলতে শুরু করবে। তখন একটি ভীষণ অন্ধকার সবাইকে ঘিরে ফেলবে। মুমিনরা ঈমানের আলোর সাহায্যে সামনে এগিয়ে যাবে। মুনাফেকরা ডেকে ডেকে তাদেরকে বলবেঃ একটু আস। আমরাও তোমাদের আলো দ্বারা উপকৃত হই। এতে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন ফিরিশতা বলবেঃ পেছনে ফিরে যাও এবং সেখানেই আলো তালাশ কর। এ আলো হচ্ছে ঈমান ও সৎকর্মের। এ আলো হাসিল করার স্থান পেছনে চলে গেছে। যারা সেখানে ঈমান ও সৎকর্মের মাধ্যমে এ আলো অর্জন করেনি, তারা আজ আলো দ্বারা উপকৃত হবে না। এমতাবস্থায় মুমিন ও মুনাফেকদের মধ্যে একটি প্রাচীর বেষ্টনী দাঁড় করিয়ে দেয়া হবে। এতে একটি দরজা থাকবে। দরজার বাইরে কেবলই আযাব দৃষ্টিগোচর হবে এবং ভেতরে মুমিনরা থাকবে। তাদের সামনে আল্লাহর রহমত এবং জান্নাতের মনোরম পরিবেশ বিরাজ করবে।
ইবন জারীর ও অন্যান্য তাফসীরবিদের মতে এ আয়াতে উল্লেখিত أعراف বলে ঐ প্রাচীর বেষ্টনীকেই বুঝানো হয়েছে। এ প্রাচীর বেষ্টনীর উপরিভাগের নামই আরাফ। কেননা, أعراف শব্দটি عرف এর বহুবচন। এর অর্থ প্রত্যেক বস্তুর উপরিভাগ। এ ব্যাখ্যা থেকে জানা গেল, জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী প্রাচীরবেষ্টনীর উপরিভাগকে আরাফ বলা হয়। আয়াতে বলা হয়েছে যে, হাশরে এ স্থানে কিছুসংখ্যাক লোক থাকবে। তারা জান্নাত ও জাহান্নাম উভয় দিকের অবস্থা নিরীক্ষণ করবে এবং উভয়পক্ষের লোকদের সাথে প্রশ্নোত্তর ও কথাবার্তা বলবে। ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আরাফ উঁচু টাওয়ারের মত যা জান্নাত এবং জাহান্নামের মাঝখানে থাকবে। গোনাহগার কিছু বান্দাকে সেখানে রেখে দেয়া হবে। কেউ কেউ বলেনঃ আরাফ নামকরণ এজন্য করা হয়েছে যে, এখান থেকে তারা একে অপরকে চিনতে পারবে।
(সংগৃহীত।)
(০৬)
মশার রক্ত নাপাক নয়।