জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
বিবাহের পরদিন (বাসর রাত পর) পাত্রের পক্ষ থেকে ওলিমা করা সুন্নত।
,
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে ওলিমা করেছেন এবং সাহাবিদের করতে বলেছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) জয়নব বিনতে জাহাশ (রা.)-কে বিয়ে করার পরদিন ওলিমা করেছিলেন।
(বুখারি, হাদিস নম্বর-৫১৭০)
হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) আবদুর রহমান ইবনে আওফের গায়ে হলুদ রঙের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কী? তিনি বললেন, আমি এক খেজুর আঁটির ওজন স্বর্ণ দিয়ে একজন মহিলাকে বিবাহ করেছি। রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ তোমার বিবাহে বরকত দান করুক। একটি ছাগল দ্বারা হলেও তুমি ওলিমা করো।’ (বুখারি: ৫১৫৫; মুসলিম ও মিশকাত, হাদিস নম্বর-৩২১০)।
হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) জয়নব (রা.)-কে বিয়ে করার পর যত বড় ওয়ালিমা করেছিলেন, তত বড় ওলিমা তিনি তাঁর অন্য কোনো স্ত্রীর বেলায় করেননি।
(বুখারি: ৫১৬৮; মুসলিম: ২৫৬৯; মিশকাত, হাদিস নম্বর-৩২১১)।
হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন জয়নব বিনতে জাহাশকে বিবাহ করলেন, তখন ওলিমা করলেন এবং মানুষকে রুটি-গোশত দিয়ে তৃপ্তিসহকারে খাওয়ালেন।
(বুখারি: ৪৭৯৪; মিশকাত, খণ্ড: ২, হাদিস নম্বর-৩২১১)।
,
মেয়ে পক্ষ থেকে কোনো ওলিমা নেই।
হ্যাঁ, তারা যদি কোনো চাপে নয়,বরং সন্তুষ্টি চিত্তে শরয়ী সীমারেখার আওতায় থেকে দাওয়াতের আয়োজন করে,তাহলে তাহা জায়েজ আছে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৮/২৭৫)
,
তবে মেয়েপক্ষের ওপর আপ্যায়নের যে চাপ সৃষ্টি করা হয়, তা সম্পূর্ণ হারাম।
সর্বোপরি শর্ত আরোপ করে বরযাত্রীর নামে বরের সঙ্গে অধিকসংখ্যক লোক নিয়ে যাওয়া এবং কনের বাড়িতে মেহমান হয়ে কনের পিতার ওপর বোঝা সৃষ্টি করা আজকের সমাজের একটি জঘন্য কুপ্রথা, যা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা আবশ্যক।
কনেপক্ষের অনিচ্ছাকৃত বা চাপের মুখে বাধ্যতামূলক আপ্যায়ন ও মেহমানদারি সম্পূর্ণ নাজায়েজ। এতে অংশগ্রহণ করাও হারাম ও পাপ কাজ। কারও ওপর জোর প্রয়োগ করে কোনো খাবার গ্রহণ করা জুলুমের শামিল।
এমনিতেই যদি তারা সন্তুষ্টি চিত্তে দাওয়াতের আয়োজন করে, তাহলে সেই দাওয়াত জায়েজ আছে।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ১৭/৩৬৮.কিতাবুন নাওয়াজেল ৮/২৭৯)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি কনে পক্ষ যদি কাহারো চাপে পরে নয়,বরং এমনিতেই সন্তুষ্টি চিত্তে দাওয়াতের আয়োজন করে, তাহলে পর্দা মেইনটেইনের শর্তের ভিত্তিতে সেই দাওয়াতে যাওয়া যাবে।
তবে কোনো অনৈসলামিক কর্মকান্ড যেনো না হয়,সেই দিক থেকে সতর্ক থাকতে হবে।