আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
733 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
কনে পক্ষ থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে কি যাওয়া যাবে(ছেলে-মেয়েদের বসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে)?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


বিবাহের পরদিন (বাসর রাত পর) পাত্রের পক্ষ থেকে  ওলিমা করা সুন্নত। 
,
রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে ওলিমা করেছেন এবং সাহাবিদের করতে বলেছেন। 

রাসুলুল্লাহ (সা.) জয়নব বিনতে জাহাশ (রা.)-কে বিয়ে করার পরদিন ওলিমা করেছিলেন।
(বুখারি, হাদিস নম্বর-৫১৭০)

হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবী (সা.) আবদুর রহমান ইবনে আওফের গায়ে হলুদ রঙের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কী? তিনি বললেন, আমি এক খেজুর আঁটির ওজন স্বর্ণ দিয়ে একজন মহিলাকে বিবাহ করেছি। রাসুল (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ তোমার বিবাহে বরকত দান করুক। একটি ছাগল দ্বারা হলেও তুমি ওলিমা করো।’ (বুখারি: ৫১৫৫; মুসলিম ও মিশকাত, হাদিস নম্বর-৩২১০)।

হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) জয়নব (রা.)-কে বিয়ে করার পর যত বড় ওয়ালিমা করেছিলেন, তত বড় ওলিমা তিনি তাঁর অন্য কোনো স্ত্রীর বেলায় করেননি।
 (বুখারি: ৫১৬৮; মুসলিম: ২৫৬৯; মিশকাত, হাদিস নম্বর-৩২১১)। 

হজরত আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন জয়নব বিনতে জাহাশকে বিবাহ করলেন, তখন ওলিমা করলেন এবং মানুষকে রুটি-গোশত দিয়ে তৃপ্তিসহকারে খাওয়ালেন। 
(বুখারি: ৪৭৯৪; মিশকাত, খণ্ড: ২, হাদিস নম্বর-৩২১১)।
,
মেয়ে পক্ষ থেকে কোনো ওলিমা নেই।
হ্যাঁ, তারা যদি কোনো চাপে নয়,বরং সন্তুষ্টি চিত্তে শরয়ী সীমারেখার আওতায় থেকে দাওয়াতের আয়োজন করে,তাহলে তাহা জায়েজ আছে। 
 (কিতাবুন নাওয়াজেল ৮/২৭৫)
,
 তবে মেয়েপক্ষের ওপর আপ্যায়নের যে চাপ সৃষ্টি করা হয়, তা সম্পূর্ণ হারাম।
 সর্বোপরি শর্ত আরোপ করে বরযাত্রীর নামে বরের সঙ্গে অধিকসংখ্যক লোক নিয়ে যাওয়া এবং কনের বাড়িতে মেহমান হয়ে কনের পিতার ওপর বোঝা সৃষ্টি করা আজকের সমাজের একটি জঘন্য কুপ্রথা, যা সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা আবশ্যক। 

কনেপক্ষের অনিচ্ছাকৃত বা চাপের মুখে বাধ্যতামূলক আপ্যায়ন ও মেহমানদারি সম্পূর্ণ নাজায়েজ। এতে অংশগ্রহণ করাও হারাম ও পাপ কাজ। কারও ওপর জোর প্রয়োগ করে কোনো খাবার গ্রহণ করা জুলুমের শামিল। 

এমনিতেই যদি তারা সন্তুষ্টি চিত্তে দাওয়াতের আয়োজন করে, তাহলে সেই দাওয়াত জায়েজ আছে।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ ১৭/৩৬৮.কিতাবুন নাওয়াজেল ৮/২৭৯)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি কনে পক্ষ যদি কাহারো চাপে পরে নয়,বরং এমনিতেই সন্তুষ্টি চিত্তে দাওয়াতের আয়োজন করে, তাহলে পর্দা মেইনটেইনের শর্তের ভিত্তিতে সেই দাওয়াতে যাওয়া যাবে।
তবে কোনো অনৈসলামিক কর্মকান্ড যেনো না হয়,সেই দিক থেকে সতর্ক থাকতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...