জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদিস শরিফে বলা হয়েছে,
‘যখন তোমাদের কারও রাগ আসে, তখন সে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন বসে পড়ে। তাতে যদি রাগ দমে না যায়, তাহলে সে যেন শুয়ে পড়ে। ’ -তিরমিজি
আবু দাউদ শরীফের একটি হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাগ আসে শয়তানের কাছ থেকে। শয়তান আগুনের তৈরি। আর আগুন নেভাতে লাগে পানি। তাই যখন তোমরা রেগে যাবে, তখন অজু করে নেবে।
অনেক উলামায়ে কেরামগন রাগ উঠলে
‘আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজীম’ পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
,
রক্ত মানুষ বলতেই রাগ আসবেই,এটাই স্বাভাবিক।
সুস্থ স্বাভাবিক অবস্থায় রাগ সম্পর্ণ দূর করা সাধারণত সম্ভব নয়।
,
(০২)
"পাপকে ঘৃণা করো, পাপীকে নয়" এ কথাটি ইসলাম সমর্থন করে না।
যিনার শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহ বলেন:
الزانية والذاني فاجلدوا كل واحد منهما مأة جلدة
ব্যাভিচার পুরুষ এবং ব্যবভিচারিনী নারীকে একশ দোররা প্রদান করো৷
চুরির শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহ বলেন:
السارق والسارقة فاقطعوا ايديهما
চোর পুরুষ হোক আর নারী হোক তাদের হাত কেটে দাও৷
সব জায়গাই চোর ও যিনাকার ও ব্যাভিচরিনীকে শাস্তি দেয়া কথা বলছে৷ চুরি যিনা ও অপরাধ কে শুধু ঘৃনা করার মধ্যে সীমিত করে দেয় নি।
বরং পাপিকে দুনিয়াতেই মানুষের হাতে শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছেন।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺑْﻐَﺾَ ﻋَﺒْﺪًﺍ ﺩَﻋَﺎ ﺟِﺒْﺮِﻳﻞَ، ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ : ﺇِﻧِّﻲ ﺃُﺑْﻐِﺾُ ﻓُﻠَﺎﻧًﺎ ﻓَﺄَﺑْﻐِﻀْﻪُ، ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻴُﺒْﻐِﻀُﻪُ ﺟِﺒْﺮِﻳﻞُ، ﺛُﻢَّ ﻳُﻨَﺎﺩِﻱ ﻓِﻲ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺒْﻐِﺾُ ﻓُﻠَﺎﻧًﺎ ﻓَﺄَﺑْﻐِﻀُﻮﻩُ، ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻴُﺒْﻐِﻀُﻮﻧَﻪُ ﺛُﻢَّ ﺗُﻮﺿَﻊُ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺒَﻐْﻀَﺎﺀُ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ
অর্থ: আল্লাহ তাআলা যখন কোনো লোককে অপছন্দ করেন তখন জিবরিল আ. কে ডাক দিয়ে বলেন, আমি অমুক বান্দাকে অপছন্দ করি তুমিও তাকে অপছন্দ কর, তখন জিবরিল আ. তাকে অপছন্দ করেন।তারপর তিনি আকাশবাসীদেরকে ডাক দিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা অমুক বান্দাকে অপছন্দ করেন, তাই আপনারাও অপছন্দ করুন, তখন লোকেরা তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। অত:পর পৃথিবীতে তার জন্য ঘৃণা লিখে দেওয়া হয়।
সহিহ মুসলিম (২৬৩৯)
,
ﺑﻐﺾ শব্দ এসেছে, যার অর্থ ঘৃণা করা , বিদ্বেষ পোষণ করা, অপছন্দ করা।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত "পাপকে ঘৃণা করো, পাপীকে নয়" এ কথাটি ইসলাম সমর্থিত কথা নয়।
,
(০৩)
বিজ্ঞ উলামায়ে কেরামগন আমাদের দেশে বর্তমান যেসব হক্কানী মাশায়েখদের কথা বলেছেন,
তাদের মাঝে রয়েছেন–
১- সাইয়্যেদ হুসাইন আহমাদ মাদানী রহঃ এর খলীফাগণ।
২- হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ এর খলীফাগণ।
৩- সাইয়্যেদ আস’আদ মাদানী রহঃ এর খলীফাগণ।
৪- হাকীম আখতার রহঃ এর খলীফাগণ।
৫- হারদুই রহঃ এর খলীফাগণ।
৬- চরমোনাইয়ের পীর।
৭- মুফতী আহমদ শফী রহঃ এর খলিফাগন ।
৮- মাওলানা আব্দুল মতীন দা.বা. ঢালকানগর মাদরাসা।
৯- মাওলানা ইদ্রিস শায়েখে সন্দিপী রহঃ এর খলীফাগণ।
১০- হাফেজ্জী হুজুর রহঃ এর খলীফাগণ।
১১- উজানীর পীর।
১২- মাওলানা আব্দুল হামীদ মধুপুর।
এছাড়া আরো অনেক পীর মাশায়েখ রয়েছেন আমাদের দেশে। যারা মাজারপূজা, কবরপূজা, পীরপূজা ও বাউলগান, গান-বাজনা করার শিক্ষা নয়, বরং আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্বের দিকে আহবান করেন।
তাদের যে কাউকে মুরব্বি বানাতে পারেন।
,
স্থানীয় কোনো কওমী মাদ্রাসার ওস্তাদদের থেকেও এই বিষয়ে সহায়তা পরামর্শ নিতে পারেন।
,
(০৪)
আপনি দ্বীনদার হলে দ্বীনদার পরহেযগার একজন স্ত্রী পাবেন, ইনশা আল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা বলেন
الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ وَالْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ ۖ وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَاتِ ۚ أُولَٰئِكَ مُبَرَّءُونَ مِمَّا يَقُولُونَ ۖ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ [٢٤:٢٦
দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। [সূরা নূর-২৬]
প্রশ্নে উল্লেখত কথা কোনো রিয়া নয়।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত টেনশন অন্তর থেকে ঝেড়ে ফেলুন।
মন দিয়ে ইবাদত করুন।