আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (21 points)
edited by

السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
 

শাইখ, আমি একটা call center-এ job করি আপাতত student অবস্থায় নিজের হাত খরচের জন্য,

এর ধরণ মূলত B2B(এক business এর সাথে আরেক business-এর) appointment fixed করে দেওয়া- এই চুক্তি নিশ্চিতকরণের কাজটুকুই আমাদের কাজের ধরণ, উদাহরণবশত, একটা business cleaning এর জন্য client খুঁজি যে কিনা নিজের business-এর পরিষ্কারের জন্য business cleaning types খুঁজে...

এখন এটা রাতের কাজ...দ্বিতীয়ত american'দের একটা policy হচ্ছে তারা যখন দেখে এই ব্যক্তিটার নাম তাদের region-এ familiar না, তখন এই চুক্তির offer-টা নেয় না বিধায় তাদের দেশের নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে একটা নাম রাখতে বলা হয়,

কথার কথা আমার নাম- তানিম, কিন্তু আমাকে পরিচয় দিয়ে বলতে হচ্ছে, 'Hi, my name is Ean/I'm Ean/Hi, this is Ean'; এখন Ean এর অর্থ হচ্ছে 'God is gracious'[মাঝে মধ্যে অন্য নামে নিজেকে পরিচয় দিতে বলে, কারণ এই নামগুলোতেই তাদের account create করা এবং american'দের কাছে acceptable, ভিন্ন নামে স্বাভাবিকভাবেই তারা deal নিতে চাইবে না....নিজের দেশের মানুষ নয়....কে না কে এমন...]

এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন হলো,

১। আমি এরকম ছদ্ম নাম রেখে job'টি করতে পারবো কিনা?, আবার কোথা থেকে বলছি বা কোম্পানির নাম কি বললে, 'I'm calling you from/ and my company name is/ I'm with (সেই দেশের cleaning company'র নাম যাদের appointment create করে দেই অন্য company 'দের সাথে....অথচ আমি একটা call center freelancing type company 'তে job করছি এবং আমার নামও ভিন্ন,-এগুলো কোনো প্রকারের প্রতারণার sector-এ পড়ছে কিনা?

২। অধিকাংশ সময় নারীরা phone call recieve করে এবং কথা বলতে হয় আমাকে নম্র/সুন্দর/আকর্ষণীয় কন্ঠে(gentle & polite),- আর ঐদিক থেকে অনেকে আবার হাশি-খুশিচ্ছলে কথা বলে, হয় তারা receptionist/incharge/manager, আর অনেক সময় পুরুষ ধরে, এখানে অনেকে আবার মন্দভাবেও কথা বলে/treat করে, আবার call ringing এর সময় বা hold এর সময়টুকুতে গান বাজে....- এসবে চাকুরীতে প্রভাব পড়বে কিনা?(জায়েজ-নাজায়েজ / হালাল-হারাম হবে কি না)?

৩। রাতের ৮টা - ভোর ৪টা বিধায় করা যাবে কিনা?-যেহেতু কুরআনে আল্লাহ তায়ালা রাতকে মানুষের ঘুমানোর জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে বলেছেন...এতে কোনো প্রকারের অসুবিধা আছে কি না?(এশারের নামাজ জামাতে পড়ে অফিসেই, সময় দেওয়া হয় রাত ১০.৩০টা থেকে)

 

দ্বিত্বীয়ত, freelancing এর একটা sector আছে SEO(Search Engine Optimization) যার মূল কাজ হচ্ছে dealer-এর প্রয়োজনীয় বিষয় search engine এর top trend এ রাখা-এ বিষয়টা হারাম কাজ তখন হবে যদি সেই website-ই হারাম দ্বারা গঠিত এবং আমি সেটা promote করি- তবে আমার কাজটাই হারাম-এটা সাধারণ বিষয় বুঝে আসে বিধায় বুঝে-শুনে খুঁজে সঠিকগুলো promote & top trend করা...

প্রশ্ন হচ্ছে, SEO 'টা কাজ করার সময় এর আলাদা একটা website আছে যেখান থেকে কাজটা করতে হয়, এখন সেই website-এ ই অনেকসময়(বলতে গেলে থাকেই) অশ্লীল ছবিযুক্ত -বেপর্দা মহিলা ad আসে, এতে করে কি এই ইনকাম টা হারাম হয়ে যাবে? করাটা উচিত হবে?

 

উত্তরগুলো জানিয়ে উপকৃত করবেন

 

جزاك الله خيرًا يا شيخ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লামা ইবনূল কাইয়ূম রাহ বলেনঃ
ﻳﺠﻮﺯ ﻛﺬﺏ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻋﻠﻰ ﻧﻔﺴﻪ، ﻭﻋﻠﻰ ﻏﻴﺮﻩ ﺇﺫﺍ ﻟﻢ ﻳﺘﻀﻤﻦ ﺿﺮﺭ ﺫﻟﻚ ﺍﻟﻐﻴﺮ ﺇﺫﺍ ﻛﺎﻥ ﻳﺘﻮﺻﻞ ﺑﺎﻟﻜﺬﺏ ﺇﻟﻰ ﺣﻘﻪ،
একমাত্র মিথ্যার মাধ্যমে হক্ব(অধিকার রক্ষা)পর্যন্ত পৌছা নির্দিষ্ট হলে নিজের উপর বা অন্যর উপর মিথ্যা বলা জায়েয যখন এতে অন্যর কোনোপ্রকার ক্ষতি হয় হবে না।(যাদুল মা'আদ-২/১৪৫)

ইমাম বাগাবী রাহ লিখেন,
" ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺍﻟﺨﻄﺎﺑﻲ : ﻫﺬﻩ ﺃﻣﻮﺭ ﻗﺪ ﻳﻀﻄﺮ ﺍﻹﻧﺴﺎﻥ ﻓﻴﻬﺎ ﺇﻟﻰ ﺯﻳﺎﺩﺓ ﺍﻟﻘﻮﻝ ، ﻭﻣﺠﺎﻭﺯﺓ ﺍﻟﺼﺪﻕ ﻃﻠﺒﺎً ﻟﻠﺴﻼﻣﺔ ﻭﺭﻓﻌﺎً ﻟﻠﻀﺮﺭ ،ﻭﻗﺪ ﺭﺧﺺ ﻓﻲ ﺑﻌﺾ ﺍﻷﺣﻮﺍﻝ ﻓﻲ ﺍﻟﻴﺴﻴﺮ ﻣﻦ ﺍﻟﻔﺴﺎﺩ ، ﻟﻤﺎ ﻳﺆﻣﻞ ﻓﻴﻪ ﻣﻦ ﺍﻟﺼﻼﺡ ،
আবু সুলাইমান খাত্তাবী রাহ বলেছেনঃ
কিছু বিষয় এমন রয়েছে যেথায় অনেক সময়
ক্ষতি দূরকরণার্তে ও সুষ্ঠ সমাধান তলব করতে
মানুষ কিছু বাড়িয়ে ও সত্য-মিত্যার সংমিশ্রণে কথা বলতে বাধ্য হয়, ।এমন পরিস্থিতিতে ইসলাহের আশা কিছু বিষয়ে সামান্য বেশকম করে মিথ্যা বলা জায়েয আছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/466

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আমেরিকানদেকে ধোকা বা প্রতারণা করতে নয় বরং নিজে কাজ পাওয়ার নিমিত্বে নিজেকে এমন কোনো নামে পরিচয় দেয়া, যা শিরক বা কুফর সংশ্লিষ্ট নয়, এমন হলে অবশ্যই রুখসত থাকবে।

(২)
রাতকে আল্লাহ ঘুমের জন্য নির্ধারণ করেছেন, তাই রাতের চেয়ে দিনের চাকুরী-ই অধিক কল্যাণকর।হ্যা, প্রয়োজনে রাতে ও চাকুরী করা যাবে।

দ্বিতীয় যে কাজের কথা বলেছেন, আপনার ব্যখ্যামতে সেই কাজ করতে গিয়ে যদি হারাম ছবি আসে, তাহলে সাথে সাথেই দৃ্ষ্টি ফিরিয়ে নিবেন। এছাড়া যদি আর কোনো হারাম না থাকলে,তাহলে ঐ চাকুরী করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...