বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শরীয়তে মূলনীতি হল,
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ফিস যদি না থাকে,তাহলে ছেলেদের জন্য জায়েয যদি শরীয়ত বিরোধী কোনো কর্মকান্ড তাতে না থাকে।যদি ফিস থাকে তবে জায়েয হবে না।কেননা তখন এটা জুয়া হয়ে যাবে,যা পরিস্কার হারাম।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।(সূরা মায়েদা-৯০)
তবে মেয়েদের জন্য ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে অংশগ্রহণ করা জায়েয হবে না,কেননা এতে বেপর্দাসহ নানা প্রকার ফিতনার আশংকার রয়েছে।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/434
যদি কলেজ কর্তৃক বাধ্যতামূলক হয়,অংশগ্রহণ ব্যতীত অন্যকোনো উপায় না থাকে,তাহলে পূর্ণ পর্দার সাথে তাতে অংশগ্রহণ করা যাবে।কেননা আমরা উপরোক্ত লিংকে দেখেছি যে, ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থে মেয়েদের জন্য শিক্ষার প্রয়োজনিয়তা রয়েছে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের, বিবরণ অনুযায়ী, যেহেতু সবার নিকট থেকে উসূলকৃত টাকা দ্বারাই পুরুস্কার দেয়া হয়,যদিও কিছু সংখ্যক অংশ গ্রহণ করুক।আর কিছু সংখ্যক না করুন।সর্বাবস্থায়ই এটা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে।
বিকল্প পদ্ধতি এটা হতে পারে,
পরুস্কার না দেয়া।অথবা তৃতীয় কোনো পক্ষ্য কর্তৃক সম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্র পরুস্কার দেয়া।বা যারা অংশগ্রহণ করেছে,তাদের টাকা এ পুরুস্কারে দেয়া হবেনা সেটাকে প্রতিষ্টানিকভাবে ঘোষণা দেয়া।এবং কারো নিকট থেকে জোরজবরদস্তি মূলক উক্ত চাদা উসূল না করা।