আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
535 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম।
আমাদের দেশের স্কুল-কলেজগুলোতে সাধারণত দেখা যায় যে সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভন্ন রকমের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সকল সাধারণ ইসলামিক বিধি-বিধান মেনেও যদি এসবের আয়োজন করা হয়, একটা বিষয় তো থেকেই যায়, তা হল এসবের বিজয়ীদের জন্য নির্ধারিত পুরষ্কার বাবদ খরচের টাকার উৎস। কিছুক্ষেত্রে (হয়ত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই) এই টাকা শিক্ষার্থীদের থেকেই বছরের শুরুতে আদায় করা হয়। এখন এই বিষয়টি কি বাজি বা জুয়া খেলা, যেখানে সকল অংশগ্রহণকারীর চাঁদার টাকায় পুরষ্কার কিনা হয় এবং সবশেষে জয়ী ব্যক্তি বা দল সেটার মালিক হয়, এর মতো হয়ে গেল না?
"তবে একটা উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আছে এই দুইটি বিষয়ের মাঝে, জুয়া বা বাজির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অংশগ্রহণকারীরা অর্থ সরবরাহ করে, কিন্তু এক্ষেত্রে সকল শিক্ষার্থীই চাঁদা দেয় কিন্তু একটা নির্দিষ্ট অংশ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।"

এই পার্থক্যের পরেও কি এই ক্ষেত্রটিও জুয়া খেলার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণই থেকে যাবে নাকি জায়েয বলে বিবেচিত হবে?

আর যদি বিষয়টি নাজায়েয হয় তাহলে এর বিকল্প ইসলামিক পদ্ধতি কী হতে পারে?

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শরীয়তে  মূলনীতি হল,
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ফিস যদি না থাকে,তাহলে ছেলেদের জন্য জায়েয যদি শরীয়ত বিরোধী কোনো কর্মকান্ড তাতে না থাকে।যদি ফিস থাকে তবে জায়েয হবে না।কেননা তখন এটা জুয়া হয়ে যাবে,যা পরিস্কার হারাম।

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।(সূরা মায়েদা-৯০)

তবে মেয়েদের জন্য ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে অংশগ্রহণ করা জায়েয হবে না,কেননা এতে বেপর্দাসহ নানা প্রকার ফিতনার আশংকার রয়েছে।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/434

যদি কলেজ কর্তৃক বাধ্যতামূলক হয়,অংশগ্রহণ ব্যতীত অন্যকোনো উপায় না থাকে,তাহলে পূর্ণ পর্দার সাথে তাতে অংশগ্রহণ করা যাবে।কেননা আমরা উপরোক্ত লিংকে দেখেছি যে, ইসলাম ও মুসলমানের স্বার্থে মেয়েদের জন্য শিক্ষার প্রয়োজনিয়তা রয়েছে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের, বিবরণ অনুযায়ী, যেহেতু সবার নিকট থেকে উসূলকৃত টাকা দ্বারাই পুরুস্কার দেয়া হয়,যদিও কিছু সংখ্যক অংশ গ্রহণ করুক।আর কিছু সংখ্যক না করুন।সর্বাবস্থায়ই এটা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে।



বিকল্প পদ্ধতি এটা হতে পারে,
পরুস্কার না দেয়া।অথবা তৃতীয় কোনো পক্ষ্য কর্তৃক সম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্র পরুস্কার দেয়া।বা যারা অংশগ্রহণ করেছে,তাদের টাকা এ পুরুস্কারে দেয়া হবেনা সেটাকে প্রতিষ্টানিকভাবে ঘোষণা দেয়া।এবং কারো নিকট থেকে জোরজবরদস্তি মূলক উক্ত চাদা উসূল না করা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (17 points)
জাযাকাল্লহু খইরন, শাইখ

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...