بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
১-২. তালাক হচ্ছে স্বামীর
অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ
حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ
عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ
فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ
أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه
وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ
عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ
لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন, এক
ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো,
হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে
আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়।
রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন,
অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ
আচরণ কেন যে, সে
তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়?
নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ,
তালাকের অধিকার তার। (সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী
৯/১৫৭, ইরওয়াহ
২০৪১।)
বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/35539/
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে,
যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে
থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে
হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা
পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে
তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে, আর
স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর
তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে। আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/12329/
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
قال لھا:
طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد
المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة
زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,
তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,
কোনো নিয়ত না করে,
অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,
অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,
তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।
https://ifatwa.info/7229/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ যদি কেউ এমনিতেই স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়,তাহলে সেটা মজলিস তথা বৈঠক পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে।কিন্তু
যদি কেউ বলে,যখনই
তুমি তালাক চাইবে,তখনই
তুমি তালাক দিতে পারবে,তাহলে
সেটা মজলিসের উপর সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং যে কোনো সময়ই তালাক দেয়া যাবে।
وَإِنْ قَالَ
لَهَا: طَلِّقِي نَفْسَكِ مَتَى شِئْتِ فَلَهَا أَنْ تُطَلِّقَ فِي الْمَجْلِسِ
وَبَعْدَهُ وَلَهَا الْمَشِيئَةُ مَرَّةً وَاحِدَةً وَكَذَا قَوْلُهُ: مَتَى مَا
شِئْتِ وَإِذَا مَا شِئْتِ وَلَوْ قَالَ: كُلَّمَا شِئْتِ كَانَ ذَلِكَ لَهَا
أَبَدًا حَتَّى يَقَعَ ثَلَاثًا كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
যদি স্বামী তার স্ত্রীকে বলে,তুমি যখন চাইবে তখন
তুমি নিজেকে তালাক দিতে পারবে,তখন স্ত্রী তার নিজেকে মজলিসের ভিতর এবং মজলিসের বাহিরে উভয় অবস্থায় তালাক দিতে পারবে।এবং
মহিলা শুধুমাত্র একবারই তালাক দিতে পারবে।কিন্তু যদি স্বামী তার স্ত্রীকে বলে,যখনই তুমি চাইবে,তখন তুমি নিজেকে তালাক দিতে পারবে,তাহলে স্ত্রী নিজেকে তিন তালাক পর্যন্ত দিতে পারবে।এবং
এ তালাক সর্বদাই স্ত্রী দিতে পারবে।(আস-সিরাজুল ওয়াহহাজ) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া।১/৪০৩)
৩. তালাক সম্পর্কে জানার জন্য তালাক শব্দটি বলার
বা লেখার দ্বারা তালাক পতিত হবে না।