আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
১.আসসালামু আলাইকুম শায়েখ স্বামী ঝগড়ার সময় বলছে খালাক নিয়ে নাও। আমি ভাবছি তালাক বলছে নাকি খালাক বলছে। আমি সকালে জিজ্ঞেস করছি তালাক নিয়ে নাও বলছেন সে বলছে হ্যা নিয়ে নাও বলছি। আমি বলছি তালাক শব্দ বলছেন সে বলছে না। তারপর আমি বলছি আমাকে অধিকার দিছেন তালাকের সে বলছে না। তাহলে তো কোন তালাক বা তালাকের অধিকার নেই তাই তো শায়েখ?
২.আমি তাকে আবার জিজ্ঞেস করছি হ্যা নিয়ে নাও মানে কি বলছেন। তালাক শব্দ বলছিলেন কি সে তালাক নিয়ে নাও বললে কি বুঝায়। হ্যা তালাক নিয়ে নাও বললে কি হয়।আমি বলছি আপনি দিয়ে দেবেন আমি নিয়ে নিবো। অধিকার দেয়া বুঝায়। আর তালাক শব্দ না বললে এখন হ্যা বললে তো মিথ্যা স্বীকারোক্তি বুঝায়। সে বলছে না অধিকার দেয়া বুঝায় না তালাক নিয়ে নাও বলতে। একটা জিনিস পরে আছে ইচ্ছে করলে নিতে পারো এটা বুঝায়। আমি বলছি আমার কি কোন অধিকার আছে। আপনি তালাক শব্দ বলছিলে। সে বলছে না অধিকার নেই আর তালাক বলি নাই খালাক বলছি। আর হ্যা বলতে নিয়ে নাও বলছি সেটা বুঝাইছি। তালাক বলি নাই খালাক বলছি।  আল্লাহ র কসম দিয়ে বলেন আমি বলছি। সে বলছে আল্লাহর কসম। কোন তালাক হবে কি? তালাকে অধিকার নেই তাই তো শায়েখ?
৩. জানার জন্য প্রশ্ন তালাক নিয়ে নাও বললে কি তালাক হয়?

আমার স্বামী আমাকে বলছে আমার কোন তালাক এর অধিকার নেই। তালাক নিয়ে নাও বলতে সে বুঝায় তার কাছে তালাক চাইলে সে তারপর তালাক দিলে তালাক হবে না দিলে হবে না। আমি তালাক চাই না।

1 Answer

0 votes
by (57,240 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

১-২. তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার। (সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

বিস্তারিত জানুনঃ  https://ifatwa.info/35539/

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।

এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক। 

সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে, আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে। আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/12329/

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ

قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔

সারমর্মঃ

কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে, তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও, কোনো নিয়ত না করে, অথবা এক তালাকের নিয়ত করে, অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়, তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।

https://ifatwa.info/7229/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  যদি কেউ এমনিতেই স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দেয়,তাহলে সেটা মজলিস তথা বৈঠক পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে।কিন্তু যদি কেউ বলে,যখনই তুমি তালাক চাইবে,তখনই তুমি তালাক দিতে পারবে,তাহলে সেটা মজলিসের উপর সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং যে কোনো সময়ই তালাক দেয়া যাবে।

وَإِنْ قَالَ لَهَا: طَلِّقِي نَفْسَكِ مَتَى شِئْتِ فَلَهَا أَنْ تُطَلِّقَ فِي الْمَجْلِسِ وَبَعْدَهُ وَلَهَا الْمَشِيئَةُ مَرَّةً وَاحِدَةً وَكَذَا قَوْلُهُ: مَتَى مَا شِئْتِ وَإِذَا مَا شِئْتِ وَلَوْ قَالَ: كُلَّمَا شِئْتِ كَانَ ذَلِكَ لَهَا أَبَدًا حَتَّى يَقَعَ ثَلَاثًا كَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.

যদি স্বামী তার স্ত্রীকে বলে,তুমি যখন চাইবে তখন  তুমি নিজেকে তালাক দিতে পারবে,তখন স্ত্রী তার নিজেকে মজলিসের ভিতর  এবং মজলিসের বাহিরে উভয় অবস্থায় তালাক দিতে পারবে।এবং মহিলা শুধুমাত্র একবারই তালাক দিতে পারবে।কিন্তু যদি স্বামী তার স্ত্রীকে বলে,যখনই তুমি চাইবে,তখন তুমি নিজেকে তালাক দিতে পারবে,তাহলে স্ত্রী নিজেকে তিন তালাক পর্যন্ত দিতে পারবে।এবং এ তালাক সর্বদাই স্ত্রী দিতে পারবে।(আস-সিরাজুল ওয়াহহাজ) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া।১/৪০৩)

৩. তালাক সম্পর্কে জানার জন্য তালাক শব্দটি বলার বা লেখার দ্বারা তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...