আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
143 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)

আসসালামুআলাইকুম!

জিন দ্বারা যেসব হজুর এবং কবিরাজরা চিকিৎসা করে বা সাহায্য নেয় এটা আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারি যে, কেউ কেউ বলেছে হারাম আবার কেউ কেউ বলেছে করা যেতে পারে এরকম। কিন্তু কথা হলো, আমি অনেক জনের সাথে এথা বললাম জিন কিভাবে হাজির করে বা বশ করে এসব নিয়ে এবং তা বৈধ কিনা! 

তো একজনের সাথে ভালো সম্পর্ক হওয়ায় তার থেকে জানতে পারি যে তার জানা মতে কুফুরি বা শিরক বা হারাম কাজ করা ছাড়া জিন হাজির বা বস করা যায় না (সে যতটুকু জানে)। যেও একজন রাকি, রুকইয়া করেন। 

আরেকজন রাকি বললো জ্বীনদের কথা যে বিশ্বাস করতেছে এর কি নিশ্চয়তা আছে যে সে সত্যি বলতেছে! সে যতই বলুক মুসলিম বা দ্বীনদার জিন কিন্তু সে যে জাদু করতেছে না এর তো কেউই গ্যারান্টি দিতে পারবেনা। 

ইউটিউবে একজন পাকিস্তানি রাকিও বললো একটা উত্তরে জ্বীন হাজির, বশ, এইসবের জায়েজ কোন উপায় নেই। হারাম কাজের মাধ্যমেই করতে হয়। 

বাংলাদেশি কেয়েকজন রাকির ভিডিতেও বললো যে এগুলো ধোঁকাবাজির মতো কারণ জিন তো সবসময় সহ্য বলবে না বা আন্দাজে বলবে। কিন্তু তার কথা মতোই তো হজুর বলবে। এগুলো তো গনকের মতো হয়ে যায়। 

এছাড়াও একজন বললো, জিনরা আল্লাহর তৈরি স্বাধীন এক মাখলুক। আমরা যদি কোন ভাবে তাকে বশও করতে পারি তাহলো তো তার ইচ্ছায় হচ্ছে না। এটা তো তার উপর জুলুম।

উস্তাদ হাফিজ আল মুনাদির রুকইয়াহ কোর্সেও হারামই বললো। 

এছাড়াও কিছু হাদিস পয়েছি একটু দেখবেন ঠিক আছে কিনা। এগুলোও বিভিন্ন রাখির পোস্ট থেকে কালেক্ট করা:

এই হাদিসটি ইংরেজিতে। আমি বাংলায় পাইনি। হাদিসটি sunnha.com থেকে নেয়া। জন্য দুঃখিত: 

(১) Narrated Abu Huraira:

The Prophet (ﷺ) said, "A strong demon from the Jinns came to me yesterday suddenly, so as to spoil my prayer, but Allah enabled me to overpower him, and so I caught him and intended to tie him to one of the pillars of the Mosque so that all of you might see him, but I remembered the invocation of my brother Solomon: 'And grant me a kingdom such as shall not belong to any other after me.' (38.35) so I let him go cursed." (Sahih al-Bukhari 3423)

(২) মুসলিম জ্বীনেরা কখনোই মানুষের সামনে আবির্ভূত হয় না!
উমার (রাঃ) মিম্বারে দাড়িয়ে বলতেন, জ্বীনেরা তোমাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করার পূর্বেই তোমরা তাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করো। এদের মধ্যকার মুসলিম জ্বীনেরা কখনোই তোমাদের সামনে আবির্ভূত হবে না।
আল-আদাবুল মুফরাদ: হাদিস নাম্বারঃ ৪৪৮

এটি এক রাতের পোস্ট থেকে নেওয়া। 

 

এখন আমার কথা হলো তালে লি জ্বীন দ্বারা চিকিৎসা বা জ্বীন বশ করা আদোও জায়েজ?

1 Answer

0 votes
by (574,200 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস গুলি সঠিক।

১ম নং হাদীসঃ-

حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ عِفْرِيْتًا مِنْ الْجِنِّ تَفَلَّتَ الْبَارِحَةَ لِيَقْطَعَ عَلَيَّ صَلَاتِيْ فَأَمْكَنَنِي اللهُ مِنْهُ فَأَخَذْتُهُ فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْبُطَهُ عَلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ حَتَّى تَنْظُرُوْا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ فَذَكَرْتُ دَعْوَةَ أَخِيْ سُلَيْمَانَ رَبِّ هَبْ لِيْ مُلْكًا لَّا يَنْبَغِيْ لِأَحَدٍ مِّنْم بَعْدِيْ (ص : 35) فَرَدَدْتُهُ خَاسِئًا عِفْرِيْتٌ مُتَمَرِّدٌ مِنْ إِنْسٍ أَوْ جَانٍّ مِثْلُ زِبْنِيَةٍ جَمَاعَتُهَا الزَّبَانِيَةُ

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একটি অবাধ্য জ্বিন এক রাতে আমার সালাতে বাধা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে আমার নিকট আসল। আল্লাহ্ আমাকে তার উপর ক্ষমতা প্রদান করলেন। আমি তাকে ধরলাম এবং মসজিদের একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখার ইচ্ছে করলাম, যাতে তোমরা সবাই স্বচক্ষে তাকে দেখতে পাও। তখনই আমার ভাই সুলায়মান (আঃ)-এর এ দু‘আটি আমার মনে পড়লো। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমাকে এমন রাজ্য দান করুন, যা আমি ছাড়া আর কারও ভাগ্যে যেন না জোটে- (সোয়াদ ৩৫)। অতঃপর আমি জ্বিনটিকে ব্যর্থ এবং লাঞ্ছিত করে ছেড়ে দিলাম। জ্বিন কিংবা মানুষের অত্যন্ত পিশাচ ব্যক্তিকে ইফ্রীত বলা হয়। ইফ্রীত ও ইফ্রীয়াতুন যিব্নীয়াতুন-এর মত এক বচন, যার বহু বচন যাবানিয়াতুন। (বুখারী শরীফ ৩৪২৩.৪৬১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১৮০)

২য় নং হাদীসঃ-

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ: حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، قَالَ: حَدَّثَنَا ابْنُ عَجْلاَنَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ عُمَرُ يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، أَصْلِحُوا عَلَيْكُمْ مَثَاوِيكُمْ، وَأَخِيفُوا هَذِهِ الْجِنَّانَ قَبْلَ أَنْ تُخِيفَكُمْ، فَإِنَّهُ لَنْ يَبْدُوَ لَكُمْ مُسْلِمُوهَا، وَإِنَّا وَاللَّهِ مَا سَالَمْنَاهُنَّ مُنْذُ عَادَيْنَاهُنَّ.

যায়েদ ইবনে আসলাম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। উমার (রাঃ) মিম্বারে দাড়িয়ে বলতেন, হে লোকসকল! তোমরা তোমাদের বাসস্থানসমূহ সংস্কার করো এবং এই জিনেরা তোমাদেরকে ভীতি প্রদর্শনের পূর্বেই তোমরা তাদের ভীতি প্রদর্শন করো। এদের মধ্যকার মুসলিমরা তোমাদের সামনে আবির্ভূত হবে না। আল্লাহর শপথ! যখন থেকে তাদের সাথে আমার শত্রুতা হয়েছে তারপর আর কোন দিন তাদের সাথে আমি আপোষ করিনি।
(আল আদাবুল মুফরাদ ৪৪৮)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
https://ifatwa.info/80562/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ : مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ اِلَّا وَقَدْ وُكِّلَ بِه قَرِينُه مِنْ الْجِنِّ وَقَرِينُه مِنَ الْمَلَائِكَةِ قَالُوا : وَإِيَّاكَ يَا رَسُولَ اللهِ؟ قَالَ : وَإِيَّايَ، وَلَكِنَّ اللهَ أَعَانَنِيْ عَلَيْهِ فَأَسْلَمَ فَلَا يَأْمُرُنِي اِلَّا بِخَيْرٍ. رَوَاهُ مُسْلِمٌ

ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই যার সাথে তার একটি জিন্ (শায়ত্বন (শয়তান)) ও একজন মালাক (ফেরেশতা) সঙ্গী হিসেবে নিযুক্ত করে দেয়া হয়নি। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসূল! আপনার সাথেও কি? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আমার সাথেও, তবে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে জিন্ শায়ত্বনের (শয়তানের) ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। ফলে সে আমার অনুগত হয়েছে। ফলে সে কক্ষনও আমাকে কল্যাণকর কাজ ব্যতীত কোন পরামর্শ দেয় না। 

(সহীহ : মুসলিম ২৮১৪, আহমাদ ৩৮০২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৬৪১৭, সহীহ ইবনু খুযায়মাহ্ ৬৫৮।)
,
আরো  জানুনঃ 

★জ্বীনের সাহায্য নেয়ার মাসয়ালা হলো এক্ষেত্রে জীন যদি কুরআন হাদীসের আলোকে কাজ করে,কোনো কুফরি শিরকি কিছু না করে,কাহারো ক্ষতি ইত্যাদি না করে,তাহলে সেক্ষেত্রে জীনের সাহায্য নেয়ার অনুমতি রয়েছে। 

নতুবা জায়েজ হবেনা।

فتسخیر الجن ان کان بالعزائم الشرکیۃ أو غیر مفہومۃ المعنی لایجوز مطلقا وان کان بکتاب اللہ تعالی أو أسمائہ ، فان کان دفعا للمضر ۃ وازالۃ لمکائد الجن وأذاہ عن نفسہ أو عن غیرہ جاز الخ ۔ (احکام القرآن: ۳/۵۱۴، اشرفیہ ، دیوبند
সারমর্মঃ-
জীনকে বশিভূত করা,নিজ কাজে নিয়োজিত করা, যদি শিরকি বাক্য বা অর্থবোধক নয়,এমন বাক্য দ্বারা হয়,তাহলে কোনোভাবেই তাহা জায়েজ নেই।
আর যদি আল্লাহর কিতাব,বা আল্লাহর নাম দিয়ে হয়,আর তাহা যখন ক্ষতি দূরকরনের জন্য হয়,এবং জীনদের কষ্ট,চক্রান্ত ইত্যাদি দূর করনের জন্য হয়,তাহলে তাহা জায়েজ আছে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইচ্ছাকৃতভাবে জীন রাখা/পালার ক্ষেত্রে যদি নিজের ক্ষতি দূরকরণ,অন্যান্য জীনদের চিক্রান্ত থেকে হেফাজত,নিজের নফসকে বা অন্যকে জীনদের কষ্ট পৌছানো হতে বাঁচানোর উদ্দেশ্য হয়,তাহল সেক্ষেত্রে জীনকে বশিভূত করা,যদি শিরকি বাক্য বা অর্থবোধক নয়,এমন বাক্য দ্বারা হয়,তাহলে কোনোভাবেই তাহা জায়েজ নেই।
আর যদি আল্লাহর কিতাব,বা আল্লাহর নাম দিয়ে হয়,তাহলে এটি জায়েজ হবে।

https://ifatwa.info/45891/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

জিন থেকে সাহায্য নেওয়া তাদেরকে কাজে লাগানো ইত্যাদি জায়েজ কিনা,এই বিষয়ে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।       

কিছু কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেন জিন থেকে সাহায্য নেওয়াতাদেরকে কাজে  লাগানো জায়েজ।

 জিনকে  নিজের কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন মানুষকে সাহায্যকারী বা শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগানো যায়তেমনি জিনকেও  শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো যাবে। কাজ করিয়ে  তার পাওনা দিয়ে দিতে হবে। এটি জায়েজ আছে।

 

সোলায়মান (আ.) জিনদের নিয়ে বাহিনী তৈরি করেছিলেন এবং তাদের দিয়ে নির্মাণকাজ করিয়েছেন। সুতরাং জিনদের সাহায্য নেওয়া নাজায়েজ নয়। তবে এটি বৈধ প্রক্রিয়ায় হতে হবে। জিনকে দিয়ে হারাম কাজ করা যাবে নাআবার জিনের কোনো শর্তও মানা যাবে না। তবে আরো অনেক উলামায়ে কেরামগন ভিন্নমত পোষণ করেছেন।

তারা বলেন যে জিনদের সাহায্য চাওয়া কখনও শুধু হারামকখনও এর সাথে শিরককখনও কুফর। এটা কিভাবে সাহায্য চাইছেকিভাবে সাহায্য করছে এর ওপর নির্ভর করে।”

 

সুরা জিনে আল্লাহ তায়ালা বলেন –

وَأَنَّهُ كَانَ رِجَالٌ مِّنَ الْإِنسِ يَعُوذُونَ بِرِجَالٍ مِّنَ الْجِنِّ فَزَادُوهُمْ رَهَقًا

অনেক মানুষ অনেক জিনের আশ্রয় নিতফলে তারা জিনদের অহংকার বাড়িয়ে দিত। (সুরা জিনআয়াত ৬)

 

সুতরাং “জিনদের সাহায্য চাওয়া হারাম” তবে স্বাভাবিকভাবেই শয়তান/জিনরা তো এমনিতেই আমার কাজ করবে না। শয়তান বা জিনদের থেকে ফায়দা নিতে হলেতাদের কথা অনুযায়ী স্যাটানিক রিচ্যুয়াল পালন করতে হয়সেক্রিফাইস করতে হয়আল্লাহর নামে না করে তাদের নামে পশু জবাই করতে হয়। ইত্যাদি ইত্যাদি।

 

অনেক কবিরাজকে দেখা যায়,তারা বলে- গরু লাগবেমুরগি লাগবেছাগল লাগবে। তাদের অনেকে নিজে এসব শয়তানের নামে বলি দেয়আর অনেকে বলে “জবাই করার পর রক্তটা আমাকে দিয়েন।” তাঁরা এই রক্ত শয়তানের উপাসনায় ব্যবহার করে। যাদুবিদ্যায় বিভিন্ন মৃত প্রাণীর রক্ত ব্যবহার করে।

 

আল্লাহ তায়ালা বলেন

وَيَوْمَ يَحْشُرُهُمْ جَمِيعًا يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ قَدِ اسْتَكْثَرْتُم مِّنَ الْإِنسِ ۖ وَقَالَ أَوْلِيَاؤُهُم مِّنَ الْإِنسِ رَبَّنَا اسْتَمْتَعَ بَعْضُنَا بِبَعْضٍ وَبَلَغْنَا أَجَلَنَا الَّذِي أَجَّلْتَ لَنَا ۚ قَالَ النَّارُ مَثْوَاكُمْ خَالِدِينَ فِيهَا إِلَّا مَا شَاءَ اللَّهُ ۗ إِنَّ رَبَّكَ حَكِيمٌ عَلِيم.

যেদিন আল্লাহ সবাইকে একত্রিত করবেনহে জিন সম্প্রদায়তোমরা মানুষের মাঝে অনেককে তোমাদের অনুগামী করে নিয়েছ। মানুষদের মাঝে তাদের বন্ধুরা বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, “আমরা পরস্পরে পরস্পরের মাধ্যমে উপকার লাভ করেছি।” আর এখন আপনি আমাদের জন্যে যে সময় নির্ধারণ করেছিলেনআমরা তাতে উপনীত হয়েছি।


 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

https://ifatwa.info/13377/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
জিনদের কাছ থেকে বৈধ যে কোনো প্রকার ফায়দা গ্রহণ করা যেতে পারে।
(তবে এটি বৈধ প্রক্রিয়ায় হতে হবে,আকীদা বিশুদ্ধ রেখে কাজ করতে হবে।) 

অন্যায়মূলক কোনো প্রকার ফায়দা গ্রহন করা যাবে না।
তাদেরকে বশ করার ব্যাপারে উলামাদের মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।সিংহভাগ আলেমের বক্তব্য হল,তাদেরকে বশ করা জায়েয।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...