আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
edited by
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত এক ব্যাক্তি স্বপ্নে দেখল যে তার কর্মক্ষেত্রে কিছু চোর ঢুকেছে এবং সেই ব্যাক্তি চোরদের ধরে ফেলে পুলিশে সোপর্দ করতে নিচ্ছে। এই অবস্থায় ঘুম ভেংগে গেল।

এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা খুঁজতে ইন্টারনেট গুগলে সার্চ করে প্রথমেই যেই রেজাল্ট পেল সেটার সাথে নিজেকে মিলানোর চিন্তা অটোমেটিকভাবে মাথায় আসল। ব্যাখ্যার সাথে মিল খোঁজার চিন্তা করল। কিছু মিলে গেল কিনা সেটা নিয়ে কিছু ধারণা পোষণ করল ও দ্বিধাদ্বন্দে ছিল। তবে সেটাতে কোনো দৃঢ় ধারণা বা বিশ্বাস পোষণ করেনাই।

পরে খেয়াল করে দেখা গেল সেটা একটা চাইনিজ জ্যোতিষ সাইট। সাথে সাথে ওই ব্যাক্তি সেই সাইট দেখা বন্ধ করল। ঐ ব্যাক্তি তো জ্যোতিষী সংক্রান্ত বিষয়াদি অপছন্দ করে।

ওই সাইটের লিংক/বিষয়বস্তু এই প্রশ্নে উল্লেখ করবে ভেবে আরেকবার ইন্টারনেট সার্চ করে গুগলে ওই সাইটের লিংক এবং কিছু কন্টেন্ট বের করল। পরে সেগুলো এই প্রশ্নে উল্লেখ করা অপ্রয়োজনীয় মনে করে আবার ব্রাউজার বন্ধ করল।

ইন্টারনেট কন্টেন্টের ঐরুপ উৎস খেয়াল না করে সেটা থেকে স্বপ্নের ব্যাখ্যার ব্যাপারে কিছু ধারণা পোষণ করলে ঈমানে কি কোনো সমস্যা হবে? পরবর্তীতে জ্যোতিষ সংক্রান্ত সাইট জানার পরে সেটাকে অর্থহীন এবং অপ্রয়োজনীয় ভাবলে।

সামগ্রিক ঘটনায় কি ঈমানে কোনো সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (684,920 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


জ্যোতিষী/গণকের কাছে এসে তাকে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করা এবং তার কথায় বিশ্বাস করা, এটা আল্লাহর সাথে কুফুরী করার অন্তর্ভুক্ত। কারণ, সে ইলমে গায়েবের দাবীতে গণককে বিশ্বাস করেছে। মানুষ ইলমে গায়েব জানে বলে বিশ্বাস করলে আল্লাহর কথাকে অবিশ্বাস করা হবে। 
,
আল্লাহ তায়ালা বলেন,

﴿قُل لَّا يَعۡلَمُ مَن فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلۡأَرۡضِ ٱلۡغَيۡبَ إِلَّا ٱللَّهُۚ﴾ [النمل: ٦٥]
“বলুন, আকাশ এবং জমিনে আল্লাহ ছাড়া গায়েবের সংবাদ অন্য কেউ জানে না।” [সূরা আন-নামল, আয়াত: ৬৫]

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى الْعَنَزِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ - عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ صَفِيَّةَ، عَنْ بَعْضِ، أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ أَتَى عَرَّافًا فَسَأَلَهُ عَنْ شَىْءٍ لَمْ تُقْبَلْ لَهُ صَلاَةٌ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً " .

মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না আনায়ী (রহঃ) ..... নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতক স্ত্রীর সানাদে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে লোক গণকের নিকট গেল এবং তাকে কোন ব্যাপারে প্রশ্ন করল, চল্লিশ রাত্রি তার কোন সলাত (সালাত/নামাজ/নামায) গ্রহণযোগ্য হবে না। (মুসলিম শরীফ ৫৭১৪.ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৬২৭, ইসলামিক সেন্টার ৫৬৫৬)

সহীহ হাদীসে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

«مَنْ أَتَى كَاهِنًا فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أُنْزِلَ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّه عَلَيْهِ وَسَلَّمَ»

“যে ব্যক্তি কোনো গণকের নিকট গমন করে তার কথায় বিশ্বাস করল, সে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অবতীর্ণ বিষয় (কুরআন ও সুন্নাহ)-এর সাথে কুফুরী করল।”
(তিরমিযী, অধ্যায়: কিতাবুত তাহারাহ।)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সামগ্রিক ঘটনায় উক্ত ব্যাক্তির ঈমানে কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...