বাচ্চা মারা গেলে মায়েরা আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকার কি কোন নিয়ম রয়েছে?

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আমার নানুর কিছু সন্তান শিশু অবস্থায় মারা গিয়েছিল। তিনি জানতে পেরেছেন যে উনার মৃত সন্তানেরা আসরের পর খাবার পায় , এ সময় যদি তিনি পানাহার করেন তবে উনার সন্তানেরা খাবার পাবে না। তাই তিনি পানাহার থেকে বিরত থাকেন। এটা কতটা শরিয়ত সম্মত?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

আপনার নানুর কিছু সন্তান শিশু অবস্থায় মারা গিয়েছিল। তিনি জানতে পেরেছেন যে উনার মৃত সন্তানেরা আসরের পর খাবার পায়, এ সময় যদি তিনি পানাহার করেন তবে উনার সন্তানেরা খাবার পাবে না। তাই তিনি পানাহার থেকে বিরত থাকেন।

এমন মনোভাব স্পষ্টত কুরআন হাদীস বিরোধী। ইসলামে এমন কোনো কথা নেই।সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মনগড়া কাহিনি।এটা সম্পূর্ণ কুসংস্কার।সুতরাং অন্তরকে এমন মনোভাব থেকে পাকপবিত্র রাখতে হবে।

عن أمِّ المؤمنين أم عبدالله عائشةَ رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ((من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رَدٌّ))؛ [رواه البخاري ومسلم]، وفي رواية لمسلم: ((من عمِل عملًا ليس عليه أمرنا فهو رَدٌّ)).

মর্মার্থ-দ্বীনে ইসলামে নতুন কিছু আবিস্কার করা,সংযোজিত করার নামই হল বিদআত।এবং বিদ'আত পরিত্যাজ্য।

(أخرج الإمام الترمذيُّ رقم:266 و ابوداؤدَ في سُنَنِهما);

عَنْ أَبِي نَجِيحٍ الْعِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَرَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: وَعَظَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم مَوْعِظَةً وَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ، وَذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ، فَقُلْنَا: يَا رَسُولَ اللَّهِ! كَأَنَّهَا مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَأَوْصِنَا، قَالَ: أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ، وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ تَأَمَّرَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ، فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ فَسَيَرَى اخْتِلَافًا كَثِيرًا، فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِي وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الرَّاشِدِينَ الْمَهْدِيِّيْنَ، عَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ، وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الْأُمُورِ؛ فَإِنَّ كُلَّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٌ.

মর্মার্থ-বিদআতের পরিণতি গোমরাহি,আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া,জাহান্নামের শাস্তিভোগ করা।

সুতরাং এমন মনোভাব থেকে আমাদের সবাইকে বেঁচে থাকতে হবে।আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুক।আমীন।