আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
204 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (60 points)
edited by

শায়েখ একটা বিষয়ে ifatwa থেকে জানতে গিয়ে একটা জিনিস দেখলাম সেখানে বলা হয়েছে,  " কেও আক্ষেপ করে যদি বলে যিনা,খুন খারাবী যদি হালাল হতো তবে সে কাফের হয়ে যাবে,কারণ তা কখনোই হালাল ছিলো না"  ইহা একটি গ্রহণযোগ্য ফতোয়া।  আমি সমাজের প্রায়শয়ই মানুষকে এ ধরনের কথার কাছাকাছি কথা বলতে শুনি তাই কিছু বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছিলাম, আপনি সাহায্য করলে উপকার হবে। আর দয়া করে শেষ জবাব টা দেখবেন প্লিজ। 

 

১. এই সাইট থেকেই জেনেছি,  "কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা।কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}""

এখন উপরোক্ত কথায় কি শতভাগ কুফরীই প্রকাশ করে? যে এই কথা বললো সে তো হারাম কে হালাল মানছে না, তাও ঠিক কোন দলিল বা কারণের ভিত্তি করে তাকে কাফের সাব্যস্থ করা হবে? 

(যদি এধরনের কথা ফিকহি উসুল অনুযায়ী কুফরি না হয়, তবে তো না, এই সম্পর্কে (২-৫) উত্তর হয়ে যাবে, আর  কুফর হলে আরো কিছু বিষয় বিস্তারিত জানতে চাই, ২-৫,)

২. আমরা বুঝবো কিভাবে কি কি আগে হালাল ছিলো আর ছিলো না? সব গুলো তো অনেকেই জানে না।

৩. সকল হারামই কি এইভাবে বললে সে কাফের হয়ে যাবে?, যদিও সে জানে এবং মানে এটা হারাম। যেমন কেও যদি বলে," সুদ হালাল হলে ভালো হতো" সে মানছে সুদ হারাম, দূরে থাকার চেষ্টা ও করছে।

৪. কেও যদি জানে না এভাবে বললে কুফর হয় সেও কি এই ক্ষেত্রে কাফের হয়ে যাবে? বা জানে কিন্তু বলার সময় মনে ছিলো না এইভাবে বলাটা কুফর এতে করেও কি সে কাফের হবে?

৫. অনেকে বিভিন্ন হারাম কাজ কে, হারাম বা গুনাহের কাজ জেনেও ভালো বলে, যেমন " একটা প্রেম করলে ভালো হবে" "লটারি কিনে ফেলো ভালো হবে"  "গান বা নাচ শিখো ভালো হবে" ইত্যাদি।  এতেও কি কুফর হবে?

৬. আমি যদি আমার পরিবারের মানুষকে এসব বলা কুফরী তা না জানাই, এটা ভেবে যে যদি তারা না জেনে বলে হয়তো কুফরী হবে না, এতে কি আমার গুনাহ হবে?

.আমার বউকে আজকে বলি আমাকে সবাই ব্যাংকে চাকরীর অফার করে, সে চায় না আমি ব্যাংকে চাকরী করি সে এটাকে হারাম মানে, কিন্তু,  বলেফেলে "হারাম না হলে ভালো হতো" পরে জিগ্যেস করি "কি হারাম না হলে?" সে বলে ব্যাংকের চাকুরী (উল্লেখ্য সে মনে করে ব্যাংকের সকল চাকরীই কোনো না কোনো ভাবে সুদের সাথে সম্পৃক্ত তাই সব ই হারাম)

সে কি এতে কাফের  হয়ে যাবে? আমদের বিয়ের কি হবে?

৮. আজকে ছোট ভাইকে বলি তুই কি হতে চাস, সে বলে বসে "বাবা রাম" বলে হেসে দেয়, পরে শুনলাম ইস্তেগফার পাঠ করছে, যা মনে হলো বেখেয়ালি হঠাৎ করে বলে ফেলেছে। তার কি এতে কুফর হবে?

(উল্লেখ্য বাবা রাম নামে একজন ব্যক্তি আছেন যিনি ইয়োগা শিখান হিন্দুদের)

1 Answer

0 votes
by (564,060 points)
بسم الله الرحمن الرحيم


ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। 

বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না । 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন। 

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে। 

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...