আসসালামু আলাইকুম। তারিখগুলো একটু গুরুত্বপূর্ণ, তাই দেওয়া।
২ ফেব্রুয়ারি ২০২১: স্বামী হিসেবে প্রায় ৬ বছর যোগাযোগ না রাখা ও কোনো দায়িত্বই পালন না করায় নাজনীন ফয়সালকে তালাকের নোটিশ পাঠায়। লক্ষ্য করুন: নোটিশে উকিল লিখেন- ফয়সালকে নাজনীন তিন তালাক দিয়েছেন (নিজের নফসের ওপর নয়)। নাজনীন সেই নোটিশ স্বাক্ষর করে ফয়সালের ঠিকানায় পাঠান। ফয়সাল বিষয়টা জানলেও কিছু বলেনি।
১২ জানুয়ারি ২০২২: নাজনীন এবং আকাশ ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে বিয়ে করে।
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: আকাশ জানতে পারে স্ত্রী তিন তালাক দিলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আকাশ ঢাকা থেকে ফোনে নাজনীনকে ফয়সালের নাম উল্লেখ করে নিজের নফসের ওপর এক তালাক, দুই তালাক ও তিন তালাক নিতে বলে। নাজনীন ফয়সালের কাছ থেকে নিজের নফসের ওপর তিন তালাক নেয়।
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩: আকাশ ও নাজনীনের মধ্যে ঝগড়া হয়। আকাশ ঢাকা কাজী অফিস থেকে কক্সবাজারে নাজনীনের কাছে এক তালাকের (বায়েন) নোটিশ পাঠায়।
১৭ জুলাই ২০২৩: আকাশ তিন মাসের বেশি সময় পর ঢাকা কাজী অফিসে বায়েন তালাক রেজিস্ট্রি করে। নাজনীনকেও সেটা জানায়।
১৯ জুলাই ২০২৩: আকাশ নাজনীনকে মুখে উচ্চারণ করে তিন তালাক দেয়। নাজনীন সেটা শোনে।
প্রশ্ন:
১. ফয়সাল ও নাজনীনের তালাক হয়েছিল কি-না?
২. নাজনীন ও আকাশের বিয়ে সঠিক ছিল কি-না?
৩. নাজনীন দ্বিতীয় স্বামী আকাশের কথায় প্রথম স্বামী ফয়সালের কাছ থেকে নিজের নফসের ওপর যেভাবে তালাক দিয়েছে সেটা সঠিক হয়েছে কি-না?
৪. আকাশের তালাকের নোটিশ, ইদ্দত শেষে তালাক রেজিস্ট্রি ও তিন তালাকের পর তাদের সম্পর্ক আসলে ঠিক কী পর্যায়ে আছে? আকাশ ও নাজনীনের বিয়ে ও তালাক সঠিক ছিল কি-না?
৫. আকাশ ও নাজনীন আবার বিয়ে করতে চাইলে কী করতে হবে?
বি. দ্র. ফয়সাল-নাজনীন এবং আকাশ-নাজনীন, কোনো সংসারেই সন্তান হয়নি।