বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সূরা কাওসারের প্রথম আয়াতে كَوثَر শব্দটির শেষে ر এ পরিবর্তেس উচ্চারণ করলে সালাত হয়ে যাবে।কেননা এখানে অর্থে মারাত্বক কোনো পরিবর্তন ঘটছে না।
(২) আমাদের সমাজে যে মেয়েদের বিয়ে হতে দেরি হয় বা বিয়ে হতে সমস্যা হয় তাদেরকে সাধারণত বিয়ের গোসল দিয়ে থাকে যেন বিয়েটা তাড়াতাড়ি সহজ ভাবে হয়ে যায়, এটা সম্পূর্ণ শরীয়ত বিরোধী।
(৩)
মাখরাজ স্থান স্পর্শ না করলে এবং তাকরার না করলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।