আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
252 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (6 points)
সেনাবাহিনীতে ceremonial কাজ বা অফিস কাজের সময় ইউনিফর্ম টাখনুর নিচে থাকে। সেনাবাহিনীতে কর্মরতদের এমতাবস্থায় করণীয় কি। চাকরি ছেড়ে দিয়ে অন্য চাকরি খোজা উচিত নাকি চাকরি চালিয়ে এই নিয়ম বদলানোর চেষ্টা করা উচিত। আবার সেনাবাহিনীতে দেশপ্রেমে উদ্দুদ্ধ হয়ে যেতে চায় মুসলিমদের জন্য কাজ করতে চায় এমন তরুণদের করণীয় বা কি। তাদের কি সেনাবাহিনীতে যাওয়া উচিত নাকি অন্য চাকরি খোজা উচিত।

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/26822/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বাংলাদেশে সেনা, নৌ বাহিনীবিমান বাহিনীর অধিকাংশই যদি ইসলামপন্থি হয়ে যায়, তাহলে দেশের অবস্থায় আমূল পরিবর্তন চলে আসবে।

সুতরাং দ্বীনদ্বার ব্যক্তিবর্গর জন্য এসব বাহিনীতে  যোগ দেওয়া অত্যন্ত অপরিহার্য। বিশেষ করে যাদের ইসলাম নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে। যারা ইসলামের স্বার্থকে সর্বদা মাথায় রাখেন, তাদের জন্য এসব বাহিনী তে যোগ দেওয়া সময়ের দাবী।

শরীয়তের বিধান হলো সরকারী  চাকুরী করা জায়েয। তবে কুরআন হাদীস বিরোধী কোনো কিছু বাস্তবায়ন করার কাজ হলে বা এমন কোনো চাকুরী যেখানে গেলে কুরআন-হাদীসকে সঠিকভাবে অনুসরণ করা যায় না। তাহলে এমন চাকুরী কখনো বৈধ হবে না। (কিতাবুন নাওয়াজেল ১৭/৫০৪)

পূর্বের কিছু ফতোয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে সরকারী নিরাপত্তা বাহিনী তথা সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাব এ চাকরি করা জায়েজ আছে। তবে চাকরি করতে গিয়ে যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল, দীন ও শরীয়ত বিরোধী কোন আদেশ জারি করা হয় তাহলে তা মানা জায়েজ নয়। তবে যদি এমন চাকরি হয়, যার কাজই হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এবং দীন ও শরীয়ত বিরোধী কাজ করা তাহলে এমন চাকরি করা বৈধ হবে না।

হাদীস শরীফে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেছেন-

لا طاعة لمخلوق في معصية الخالق

'সৃষ্টিকর্তা তথা আল্লাহ তা'আলার অবাধ্যাচরণে কোন মাখলুকের আনুগত্য নেই।'

কোন কোন বর্ণনায় এসেছে-

انما الطاعة في المعروف

'ভালো কাজের ক্ষেত্রেই কেবল আনুগত্য হবে।' (সহিহ বুখারী : ৭২৫৭, সহিহ মুসলিম : ১৮৪০, সুনানে তিরমিজি)

সুতরাং সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে শরীয়তের দৃষ্টিকোন থেকে কোনো সমস্যা নেই।

বেতন হালাল থাকবে। তবে সর্বদা হারাম ও নাজায়েয জিনিষ হতে বেঁচে থাকতে হবে। নাজায়েজ কাজের আদেশ মানা যাবেনা, মানলে  গুনাহ হবে। নামাযসহ যাবতীয় ইবাদত আন্তরিকভাবে পালন করতে হবে।

আরো জানুনঃ https://www.ifatwa.info/10733/

প্রশ্নে উল্লেখিত গুনাহের ক্ষেত্রে নিয়মিত তওবা ইস্তেগফার চালিয়ে যেতে হবে। যদি আপনি কোন ভাবে উক্ত নিয়মে পরিবর্তন আনতে তথা টাখনুর উপরে ইউনিফর্ম পরতে পারেন ও অন্যান্য বিষয়ে পূর্ণ ইসলাম মেনে চলতে পারেন তাহলে আপনার জন্য উক্ত চাকুরী চালিয়ে যাওয়া জায়েয আছে। তবে যদি এগুলো বাধ্যতামূলক হয়, যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, এবং কোন ভাবেই শরীয়তের নির্দেশ পালন করা সম্ভব না হয় তাহলে এহেন চাকুরী না করে অন্য কোনো শরীয়ত সম্মত চাকুরী করাই তাকওয়ার দাবী।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...