ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)আপনার বাবা যদি "আল্লাহর ওয়াস্তে ওই মালগুলো আনিস" - এভাবে আপনাকে মালগুলো আনার কথা বলে, তাহলে আপনার ব্যবসার ইনকাম হারাম হবে না। এবং ব্যবসাও নষ্ট হবে না। যদিও আপনি মালগুলো না আনেন?
(২) আপনার বাবা যদি আপনাকে দোকানের জন্য কোনো কাজ করতে বলে এবং সেই কাজটি/কাজগুলো যদি "আল্লাহর ওয়াস্তে" শব্দ ব্যবহার করে করতে বলে এবং আপনি যদি সেই কাজ না করেন, তাহল ব্যবসা নষ্ট হবে না বা ইনকাম হারাম হবে না।তবে আপনার উচিৎ সেই কাজটি যত্নসহকারে করা।
(৩) আপনার উচিৎ সেই কাজটি করা।তবে দোকানের জন্য ভালো বিবেচনায় যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
(৪) যেহেতু আপনি ওয়াদা করেছেন, তাই ওয়াদাকে পূর্ণ করা উচিত। তবে বিশেষ কোনো কারণে তাকে টাকা দেওয়া সম্ভব না হলে, তখন টাকা না দেয়ার রুখসত আপনার থাকবে।
(৫) তাহলে বাবার পরামর্শ অনুযায়ী আগামী ঈদ পর্যন্ত পাঞ্জাবী বিক্রি করেন।এটাই ভালো ও উত্তম হবে।
(৬) আপনার স্ত্রী আপনাকে বলেছিল, সে (স্ত্রী) আপনাকে আল্লাহর ওয়াস্তে কখনো তার কাছে আসতে বলবে না।
এখন যদি সে আপনাকে(স্বামী) তার কাছে কখনো আসতে বলে, তাহলে যেতে পারবেন।
(৭) না, কোনো সমস্যা হবে না।
(৮) অহংকারবোধ হলে সাথে সাথেই তাওবাহ ইস্তেগফার করে নিবেন।
(৯)বাবাকে সর্বদা সম্মান করবেন।কাছে হোক বা দূরে, সর্বদাই বাবাকে সম্মান দিবেন।
(১০) অহংকারবোধের এরকম চিন্তাভাবনার আসাটা ভালো। আল্লাহ আপনার বিনয়ী মনোভাবকে আরো উন্নতির দিকে অগ্রসর করুক।আমীন।
(১১) যেহেতু সে বুঝেনি, তাই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেই হবে।
আল্লাহ আপনার ইলমকে বাড়িয়ে দিক।মনকে শান্ত রাখুক।