আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)

আসসালামু আলাইকুম।

আমি ফাইন্যান্স এন্ড একাউন্টিং সম্পর্কিত বিষয়ে পড়াশোনা করছি এবং একজন ফাইন্যান্স/একাউন্ট ম্যানেজার হিসেবে আমি আমার ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুক। আমার কোনো ফ্যাইন্যান্সিয়াল কোম্পানিতে চাকুরি করার ইচ্ছা নেই যেহেতু তারা সরাসরি সুদের কারবারে জড়িত, যেমন: ব্যাংক বা অন্যান্য ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি।

আমি নন-ফাইন্যান্সিয়াল কোনো কোম্পানিতে ফাইন্যান্স/একাউন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে চাই, যেমন: গার্মেন্টস বা যে কোনো ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি। কিন্তু একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায় যে, প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানই (এমনকি একটি গার্মেন্টসও) সাধারনত কোনো না কোনো নন-ইসলামিক ব্যাংকের সাথে লেনদেন করে থাকে। হতে পারে সেটা ছোটোখাটো লোন নেয়া কিংবা স্যালারি পে-মেন্ট টা ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া।

এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই কর্মরত একজন ফাইন্যান্স/একাউন্ট ম্যানেজার হিসেবে আমাকে ঐ নন-ইসলামিক ব্যাংকের সাথে কাজ করতে হবে। আমার প্রতিষ্ঠান যদি কোনো লোন নিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে একজন হিসাবরক্ষক হিসেবে সেই লোনের খরচটি লোন ইন্টারেস্ট এক্সপেন্স বা ঋণ সুদের খরচ হিসেবে আমাকে আমার হিসাবরক্ষণের খাতায় তুলতে হবে।

কিন্তু আমরা জানি,

জাবির ও আব্দুল্লাহ্ বিন্ মাস্ঊদ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন:

لَعَنَ رَسُوْلُ اللهِ  آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ، وَقَالَ: هُمْ سَوَاءٌ.

‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত (অভিসম্পাত) করেন সুদের সাথে সংশ্লিষ্ট চার ব্যক্তিকে। তারা হচ্ছে: সুদখোর, সুদদাতা, সুদের লেখক ও সুদের সাক্ষীদ্বয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেছেন: তারা সবাই সমপর্যায়ের দোষী’’।

(মুসলিম ১৫৯৮; তিরমিযী ১২০৬; আবূ দাউদ ৩৩৩৩)

এক্ষেত্রে আমার প্রশ্নটি হচ্ছে, হাদিস অনুযায়ী, আমি কি ঐ "সুদের লেখক" এর কাতারে পড়বো কিনা?
এই সকল দিক বিবেচনায় আমার জন্য কি সাধারণ একটি গার্মেন্টস বা ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির ফাইন্যান্স/একাউন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করাও নাজায়েজ হবে কিনা?<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/share/clipdata_230803_183900_982.sdoc-->

বারাক আল্লাহু ফিক। 

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
গোনাহের কাজে সরাসরি সাহায্য করা নিষেধ। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা-মায়েদা-২)

তবে সরাসরি গোনাহের কাজে সাহায্য সহযোগিতা না হলে, তখন সেই কাজ নাজায়েয হবে না।যেহেতু আপনার প্রধাণতম কাজ সুদের হিসাব সংরক্ষণ নয়, বরং কম্পানির ম্যানেজমেন্ট। তাই আপনার জন্য ঐ কাজের রুখসত থাকবে। আপনার কাজের যত পার্সেন্ট সুদের হিসাব লিখার কাজে ব্যয় হবে, সেই পরিমাণ টাকা বেতন থেকে সদকাহ করে দিবেন। সুদি লেনদেনের গোনাহ কম্পানির মালিকের হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 120 views
...