বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মানুষ মৃত্যুর পূর্বে তার পূর্ণ সম্পত্তিতে সে একচ্ছত্র মালিক।সে তার পূর্ণ সম্পত্তিকে যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারবে।সে যদি পুর্ণ সম্পত্তি কাউকে দিয়ে দিতে চায় সেটাও সে পারবে।পরিভাষায় একে হেবাহ বলে।
আপনার দাদা উনি উনার সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপের পূর্ণ মালিক ও সত্ত্বাধিকারী। (কিতাবুল-ফাতাওয়া-৬/৩১৭)
উনার মৃত্যুর পর তখন শরীয়তের ফায়সালা অনুযায়ী বন্টিত হবে।যাকে পরিভাষায় ফারাঈয বলা হয়।
যেহেতু আপনার দাদা উনি উনার জীবদ্দশায় উনার সম্পত্তিকে ছেলে সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে গেছেন।এবং তখন সবার সম্মতি ছিলো,(যদিও সম্মতির প্রয়োজন নেই)তাই এ ভাগ কার্যকর হয়ে গিয়েছে।সুতরাং এখন আর কারো আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।
যেহেতু আপনার দাদা সবাইকে সমান ভাগ করে দিয়েছেন,তাই এক্ষেত্রে উনার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
মেয়েদেরকে উনি বঞ্চিত করে গেছেন।তবে মেয়েরা বঞ্চিত হবে না।কেননা কোনো এক ওয়ারিছকে কিছু দিয়ে অন্য ওয়ারিছদেরকে বঞ্চিত করা যায়না।সুতরাং আপনার ফুফুরা আপনার বাবা এবং চাচাদের সম্পত্তিতে শরীয়তের ফয়সালা অনুযায়ী হিসসা পাবেন।তথা দুই মেয়ে এক ছেলের সমপরিমাণ হিসসা পেয়ে যাবেন,তাই আপনার দুই ফুফু মিলে এক চাচার সমপরিমাণ সম্পত্তি পাবেন।আপনার বাবা ও চাচা সবার সম্পত্তি থেকে তারা তাদের হিসসাকে বুঝে নিবেন।গ
যদি সবার হিসসাকে আবার একত্রিত করে বন্টন করা ব্যতীত ফুফুদের সম্পত্তিকে বন্টন করা না যায়,তাহলে আবার সবার হিসসাকে একত্রিত করে আবার নতুন করে বন্টন করতে হবে।ফুফুরা তাদের হিসসাকে স্বেচ্ছায় ছেড়ে গেলে, তখন আর পূর্ববার বন্টন করা লাগবে না।