আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
108 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম মুফতি সাহেব। আমার আব্বারা ৫ ভাই এবং ৪ বোন। আমার মরহুম দাদাজান জীবদ্দশায় শক্তপোক্ত থাকতে আমার আব্বাকে বসতভিটার একটি পূর্ণ খণ্ড লিখে দেন এবং ইন্তিকালের কিছু পূর্বে তাঁর অর্থাৎ দাদুর অন্য পুত্রদের মূল দালানসহ অবশিষ্ট ভিটা ভাগ করে দিয়ে যান। ভিটার পরিমাণ (৪২ কড়া) আব্বাসহ প্রত্যেক ভাইয়েরা সমান পেয়েছেন। আব্বার জন্য দালানে প্রাপ্য অংশ আব্বা ছেড়ে দিয়েছেন, যেহেতু আমরা গ্রামে থাকতাম না এবং আমার চাচারা সেখানে বসবাস করেন, তাই আব্বা দাবি করলে তাঁদের অসুবিধায় পড়ে যেতে হবে। আমার প্রশ্ন ও সংশয় দুটো জায়গায়।

১। আমার ফুপুরা বসতভিটার কোন অংশ পান নি। এটায় তাঁদের অধিকার আছে কিনা?

২। আমার আব্বা পূর্ণ খণ্ড ভিটার অংশ পেয়েছেন। বাকি চাচারা তাঁদের বসতের দালান এবং কমন উঠান বাদ দিয়ে ৪২ কড়া পূর্ণ করতে যতটুকু দরকার হয় সেটা ভিটার বিভিন্ন অংশে পেয়েছেন। আমাদের মত একসাথে পান নি  বা পাওয়া সম্ভবও নয়। এর মধ্যে আমার এক চাচা দুটো ছোট খণ্ড মিলিয়ে তাঁর অংশ পূর্ণ করেছেন, যা মানতে তিনি এখন অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন এবং আমাদের জায়গা তাঁর জায়গার সংলগ্ন হওয়ায় আমাদের জায়গা থেকে তিনি পুরো ভাগ মিলিয়ে দিতে দাবি করছেন। আমরা সেটা অন্য অংশে পূরণ করে নিব, এরকম। অথচ এই ভাগ বছর ৫-৬ আগেই মীমাংসিত। তখন কারো আপত্তি ছিল না। আমাদের বিদ্যমান সীমানা অনুযায়ী আমরা ঘরও করেছি এবং আমার চাচার প্রস্তাব যদি আমরা মেনে নেই, তাহলে আমাদের বহুল অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে।

এই অবস্থায় করণীয় কী? আমরা যদি ছাড় দিতে রাজি না হই, তা কি আমাদের জন্য বৈধ হবে? জানিয়ে বাধিত করবেন। ওয়াসসালাম।

1 Answer

0 votes
by (571,380 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
মানুষ মৃত্যুর পূর্বে তার পূর্ণ সম্পত্তিতে সে একচ্ছত্র মালিক।সে তার পূর্ণ সম্পত্তিকে যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারবে।সে যদি পুর্ণ সম্পত্তি কাউকে দিয়ে দিতে চায় সেটাও সে পারবে।পরিভাষায় একে হেবাহ বলে।
আপনার দাদা উনি উনার সম্পত্তিতে হস্তক্ষেপের পূর্ণ মালিক ও সত্ত্বাধিকারী। (কিতাবুল-ফাতাওয়া-৬/৩১৭)

উনার মৃত্যুর পর তখন শরীয়তের ফায়সালা অনুযায়ী বন্টিত হবে।যাকে পরিভাষায় ফারাঈয বলা হয়।

যেহেতু আপনার দাদা উনি উনার জীবদ্দশায় উনার  সম্পত্তিকে ছেলে সন্তানদের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে গেছেন।এবং তখন সবার সম্মতি ছিলো,(যদিও সম্মতির প্রয়োজন নেই)তাই এ ভাগ কার্যকর হয়ে গিয়েছে।সুতরাং এখন আর কারো আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না।

যেহেতু আপনার দাদা সবাইকে সমান ভাগ করে দিয়েছেন,তাই এক্ষেত্রে উনার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।

মেয়েদেরকে উনি বঞ্চিত করে গেছেন।তবে মেয়েরা বঞ্চিত হবে না।কেননা কোনো এক ওয়ারিছকে কিছু দিয়ে অন্য ওয়ারিছদেরকে বঞ্চিত করা যায়না।সুতরাং আপনার ফুফুরা আপনার বাবা এবং চাচাদের সম্পত্তিতে শরীয়তের ফয়সালা অনুযায়ী হিসসা পাবেন।তথা দুই মেয়ে এক ছেলের সমপরিমাণ হিসসা পেয়ে যাবেন,তাই আপনার দুই ফুফু মিলে এক চাচার সমপরিমাণ সম্পত্তি পাবেন।আপনার বাবা ও চাচা সবার সম্পত্তি থেকে তারা তাদের হিসসাকে বুঝে নিবেন।গ

যদি সবার হিসসাকে আবার একত্রিত করে বন্টন করা ব্যতীত ফুফুদের সম্পত্তিকে বন্টন করা না যায়,তাহলে আবার সবার হিসসাকে একত্রিত করে আবার নতুন করে বন্টন করতে হবে।ফুফুরা তাদের হিসসাকে স্বেচ্ছায় ছেড়ে গেলে, তখন আর পূর্ববার বন্টন করা লাগবে না।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...