বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(৬)মাসআলাঃ
কোন মেয়েলোকের নিয়ম ছিল, প্রসবান্তে ত্রিশ দিন রক্তস্রাব হওয়ার, কিন্তু একবার ত্রিশ দিন চলিয়া যাওয়ার পরও রক্ত বন্ধ হইল না; তাহা হইলে এই মেয়েলোক এখন গোছল করিবে না, অপেক্ষা করিবে। যদি পূর্ণ চল্লিশ দিনের শেষে বা চল্লিশ দিনের ভিতর রক্ত বন্ধ হয়, তবে সব কয়দিনই নেফাসের মধ্যে গণ্য হইবে। আর যদি চল্লিশ দিনের বেশী রক্তস্রাব জারী থাকে, তবে ত্রিশ দিন নেফাসের মধ্যে গণ্য হইবে; অবশিষ্ট কয় দিন ইস্তেহাযা। চল্লিশ দিনের পর গোছল করিবে এবং নামায পড়িবে। ত্রিশ দিনের পরের দশ দিনের নামায কাযা পড়িবে।
(৭)মাসআলাঃ
যদি চল্লিশ দিনের পূর্বেই নেফাসের রক্তস্রাব বন্ধ হয়, তবে স্রাব বন্ধ হওয়া মাত্রই গোছল করিয়া নামায পড়িতে হইবে। গোছল করিলে যদি স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রবল হয়, তবে তায়াম্মুম করিয়া নামায পড়িবে। খবরদার! এক ওয়াক্ত নামাযও কাযা হইতে দিবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নেফাসের 22 তম দিন রক্তস্রাব বন্ধ হওয়ার পর ২ দিন পর যদি আবার রক্তস্রাব শুরু হয়ে যায়, তাহলে দেখতে হবে ৪০ দিন অতিক্রম করছে কি না?
যদি ৪০ দিন অতিক্রম না করে, তাহলে সবগুলো দিনই নেফাস বলে গণ্য হবে।যদি ৪০ দিন অতিক্রম করে, এবং ঐ মহিলার পূর্বের কোনো আদত না থাকে,তাহলে ৪০ দিন পর্যন্ত নেফাস এবং অতিরিক্ত দিন ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।আর পূর্বের কোনো আদত থাকলে সেই আদতের সমপরিমাণ দিন নেফাস এবং অতিরিক্ত দিন ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য হবে।
حاشية رد المحتار على الدر المختار - (1 / 299):
"لأن من أصل الإمام أن الدم إذا كان في الأربعين فالطهر المتخلل لايفصل طال أو قصر حتى لو رأت ساعةً دماً وأربعين إلا ساعتين طهراً ثم ساعةً دماً كان الأربعون كلها نفاساً، وعليه الفتوى".
الفتاوى الهندية - (2 / 31):
"الطُّهْرُ الْمُتَخَلِّلُ فِي الْأَرْبَعِينَ بَيْنَ الدَّمَيْنِ نِفَاسٌ عِنْدَ أَبِي حَنِيفَةَ رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَإِنْ كَانَ خَمْسَةَ عَشَرَ يَوْمًا فَصَاعِدًا، وَ عَلَيْهِ الْفَتْوَى."
বিন্নুরী টাউন দারুল ইফতার ফাতাওয়া নং
فتوی نمبر : 144109200802