আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম মুহতারম, পূর্বের প্রশ্নের কমেন্টের জবাব না পেয়ে নতুন করে প্রশ্ন করছি। আমার পূর্বের প্রশ্নটি ছিল এটি https://ifatwa.info/80596/
জবাবে আমার নতুন প্রশ্ন হলো ফেইসবুকে কিংবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সোসিয়াল মিডিয়াতে যে প্রোফাইল পিকচার দিই যেখানে চোখ, নাক, মুখ স্পষ্ট, সেই ছবি ব্যবহার করাও হারাম হবে? কিংবা ইউটিউবে বিভিন্ন শায়েখদের ভিডিও থামনেইল যে ছবি ব্যবহার করা হয়, তার ব্যাপারে বিধান কি হবে? একইভাবে ওয়েব ডিজাইনে কিছু কাষ্টমার ফিডবেক/কমেন্ট এই ধরনের কিছু সেকশন থাকে যেখানে, কাষ্টমারদের ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন পরে সত্যতা বুঝানোর জন্য, ঠিক কোনো সোসিয়্যাল মিডিয়াতে ব্যবহৃত প্রোফাইল পিকচারের মত। তা ব্যবহার করাও কি হারাম হবে? বুঝার সুবিধার্থে নিচের লিংকে ছবি এড করলাম। জাযাকাল্লাহ খাইরান
https://share.cleanshot.com/PFcCMmjp
https://share.cleanshot.com/S5PMn1Rl

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


ইসলামের মৌলিক বিধান হচ্ছে, জড়বস্তুর ছবি তোলা ও আঁকায় শরয়ী কোন বিধিনিষেধ নেই। আর প্রাণীর ছবি প্রয়োজন ছাড়া তোলা, সংরক্ষণ করা, প্রকাশ করা, ব্যবহার করা হারাম।  

তবে শরীয়তে ছবি বলতে কী বোঝায়, এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিশ্লেষণ রয়েছে। 

আরো জানুনঃ  

অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ডিজিটাল ক্যামেরায় ছবি তোলা, কম্পিউটার ও মোবাইলে সংরক্ষিত ছবিও ‘নিষিদ্ধ ছবি’র অন্তর্ভুক্ত বিধায় এটিও হারাম। 

সহিহ হাদিসে এসেছে,
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسٌ فَيُعَذِِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ
প্রত্যেক ছবিনির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে। (বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, মুসলিম ৫৬৬২)

হাদিস শরীফে এসেছে,
قال حدثنا الاعمش عن مسلم قال كنا مع مسروق فى دار يسار بن نمير فراى فى صفته تماثيل فقال سمعت عبد الله قال سمعت النبى ﷺ يقول ان اشد الناس عذابا عند الله المصورون

আ’মাশ তিনি  মুসলিম হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি মাসরুকের  সঙ্গে ইয়াসার ইবনে নুমাইরের ঘরে ছিলাম, তিন ঘরের মধ্যে প্রাণীর ছবি দেখতে পেলেন, অতঃপর বললেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ্  রাযি.-এর নিকট শুনেছি, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘নিশ্চয় মানুষের মধ্যে ঐ ব্যক্তিকে আল্লাহ্ তাআলা কঠিন শাস্তি দেবেন, যে ব্যক্তি প্রাণীর ছবি তোলে বা আঁকে।’ (বুখারী ২/৮৮০)

আরো জানুনঃ

তবে কিছু কিছু বিশেষজ্ঞের মতে তা জায়েয। 
তাদের বক্তব্য হলো কম্পিউটার ও মোবাইল স্ক্রীনে থাকা প্রাণীর (অশ্লীল ও নারীর ছবি ছাড়া) ছবি প্রিন্ট করার আগ পর্যন্ত জায়েজ বলেছেন জামিয়া বিন্নুরিয়া পাকিস্তানের ফাতওয়া বিভাগ।

কম্পিউটার স্ক্রীনে বা মোবাইল স্ক্রীনে ছবি না রাখাটাও তাক্বওয়ার দাবী। 
 
আরো জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
ফেইসবুকে কিংবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়াতে যে প্রোফাইল পিকচার দেয়া হয়, যেখানে চোখ, নাক, মুখ স্পষ্ট, কিংবা ইউটিউবে বিভিন্ন শায়েখদের ভিডিও থামনেইল যে ছবি ব্যবহার করা হয়,একইভাবে ওয়েব ডিজাইনে কিছু কাষ্টমার ফিডবেক/কমেন্ট এই ধরনের কিছু সেকশন থাকে যেখানে, কাষ্টমারদের ছবি ব্যবহারের প্রয়োজন পরে সত্যতা বুঝানোর জন্য, এসব ক্ষেত্রে ছবি দিলে যেহেতু তাহা প্রিন্ট করা হয়না,তাই সেটি অনেক ইসলামী স্কলারদের মতে জায়েজ।
যদিও অনেকের মতে নাজায়েজ। 
,
(তাই বিনা প্রয়োজনে এক্ষেত্র গুলোতেও ছবি না দেয়াই সতর্কতা।) 

তবে মেয়েদের ছবি বা অশ্লীল কোনো ছবি দেয়া কোনোভাবেই জায়েজ নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...