জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
মৃত ব্যক্তির সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা জরুরি।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ عَائِشَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللّهِ ﷺ قَالَ: كَسْرُ عَظْمِ الْمَيِّتِ كَكَسْرِه حَيًّا
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মৃত ব্যক্তির হাড় ভাঙ্গা, জীবিতকালে তার হাড় ভাঙারই মতো।
(আবূ দাঊদ ৩২০৭, ইবনু মাজাহ্ ১৬১৬, সহীহ আত্ তারগীব ৩৫৬৭, সহীহ আল জামি‘ আস্ সগীর ৪৪৭৮, ইরওয়া ৩/৭৬৩, ইবনু হিব্বান ৩১৬৭।)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেছেন, কোনো মুমিন ব্যক্তিকে তাঁর মৃত্যুর পর কষ্ট দেওয়া তেমনই যেমন জীবিত অবস্থায় তাকে কষ্ট দেওয়া।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ১১৯৯০
এ সংক্রান্ত হাদীস ও আছারের ব্যাখ্যায় আল্লামা ইবনে হাজার রাহ. বলেছেন, জীবিত ব্যক্তি যে সকল বস্ত্ত দ্বারা আরাম বোধ করে মৃত ব্যক্তি তা দ্বারা আরাম বোধ করে। ইবনুল মালাক রাহ. বলেছেন, মৃত ব্যক্তি কষ্টদায়ক বস্ত্ত দ্বারা কষ্ট পায়। (মিরকাতুল মাফাতীহ ৪/১৭০)
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মেডিকেল শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার কাজে মানব কঙ্কাল ব্যবহার করে,এটি নাজায়েজ।
এতে মৃত দেহকে কষ্ট দেওয়া হয়,তার অবমাননা করা হয়।
,
তারা বিকল্প পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে।
যেমন ছবির মাধ্যমে শিখতে পারে,বা অন্য কিছু দিয়ে সেইরকম কোনো কংকালের মতো কিছু তৈরী করে সেটা ব্যবহার করতে পারে।
,
★মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের অন্য কোনো অংশ ক্রয়-বিক্রয় করা ইসলামী শরিয়তে হারাম ও নিষিদ্ধ।
আরব-অনারবের কোনো আলেম এ মাসআলার ক্ষেত্রে দ্বিমত পোষণ করেননি। সবার ঐকমত্যে মানব অঙ্গ বেচাকেনা করা হারাম।
কারণঃ
★বেচাকেনা বৈধ হওয়ার জন্য বস্তুর মালিকানা স্বত্বের অধিকারী হওয়া অপরিহার্য। ইসলামী শরিয়ত মতে মানুষ তার দেহের মালিক নয়। বরং এটি আল্লাহর পবিত্র আমানত। তার মালিকানা বহির্ভূত বস্তু ক্রয়-বিক্রয় করা ও দান করা হারাম।
★মানুষ 'আশরাফুল মাখলুকাত'। তাই তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও অত্যন্ত সম্মানিত বস্তু। কাজেই সাধারণ খেলনা ও পণ্য সামগ্রীর মতো মানব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্রয়-বিক্রয় করা নিষিদ্ধ।
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মানব কংকাল বিক্রয় নাজায়েজ।