আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
620 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (-1 points)
আসসালামু আলাইকুম,

বর্তমানে ব্রন্ডব্যান্ডের/ওয়াইফাইয়ের ব্যবসা বেড়েই চলেছে।
যারা ব্রডব্যান্ড/ওয়াইফাইয়ের লাইন নেয় তাদের  ৯০% মানুষ গান,নাটক,সিনেমা,ফেসবুক ও ইউটিউবের জন্য নেয়।

বাকি ১০% মানুষ হয়ত নিজেদের কাজের জন্য নিজ বাসায় ব্রডব্যান্ড/ওয়াইফাইয়ের লাইন নেয়।

এসব ব্যবসা কতটুকু বৈধ?

তাকওয়া কী বলে আর শরীয়ত কী বলে?

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ব্রডব্যান্ড/ওয়াইফাইয়ের ব্যবসার ক্ষেত্রে শরীয়তের মূলনীতি ফলো করতে হবে।

এসব ক্ষেত্রে শরীয়তের মূলনীতি হলো, যে বস্তুটি দ্বারা হারাম ও হালাল উভয় কাজ করারই সুযোগ রয়েছে, তা কাউকে প্রদান করা, বিক্রি করা সবই জায়েজ। সেই হিসেবে যেহেতু ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ভাল ও মন্দ উভয় কাজই করা যায়। তাই এর ব্যবসা জায়েজ আছে। 
,
এরপর যদি ক্রেতা গোনাহের কাজ করে, তাহলে এর জন্য দায়ী হবে গোনাহকারী ব্যক্তি।
তবে যদি নিশ্চিত জানা থাকে যে, লোকটি শুধু গোনাহের কাজই করবে, তাহলে তার কাছে বিক্রয় করা জায়েজ হবে না।
,
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ  
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

أن كل ما فيه منفعة تحل شرعاً، فإن بيعه يجوز، لأن الأعيان خلقت لمنفعة الإنسان بدليل قوله تعالى: {خلق لكم ما في الأرض جميعاً} [البقرة:29/ 2] (الفقه الاسلامى وادلته، معالم النظام الاقتصادى فى الاسلام، القسم الثالث العقود، المبحث الرابع-البيع الباطل والبيع الفاسد، المطلب الاول-انواع البيع الباطل، بيع النجس والمتنجس-4/217)
প্রত্যেক ঐ বিষয় যেখানে লাভ আছে,বা যেখান লাভ অর্জন করা যায়,সেটা হালাল।
তাহলে সেটার ব্যবসা করা জায়েজ আছে। 
    
وَمَا كَانَ الْغَالِبُ عَلَيْهِ الْحَرَامُ وَلَمْ يَجُزْ بَيْعُهُ وَلَا هِبَتُهُ (الفتاوى الهندية، كتاب البيوع، الْبَابُ التَّاسِعُ فِيمَا يَجُوزُ بَيْعُهُ وَمَا لَا يَجُوزُ وَفِيهِ عَشَرَةُ فُصُولٍ، الْفَصْلُ الْخَامِسُ فِي بَيْعِ الْمُحْرِمِ الصَّيْدَ وَفِي بَيْعِ الْمُحَرَّمَاتِ،-3/116)
যেটার মাধ্যমে অধিকাংশ কাজই হারাম হয়,তার ব্যবসা,তা বিক্রয়, দান করা জায়েজ নয়। 
,

 ★কিন্তু তাকওয়া হলো, এ ক্ষেত্রে যথাসম্ভব নিজেকে বিরত রাখার জন্য চেষ্টা করা। কারণ, আপনি তো সবার সম্পর্কে জানেন না। যদি এ ধরনের বিষয় হয়ে থাকে যে আপনি নিশ্চিত হতে পারছেন না ওয়াইফাই কোনো হারাম বা নিষিদ্ধ কাজে ব্যবহার করা হবে কি না, তাহলে উত্তম হচ্ছে এ ধরনের ব্যবসায় নিজেকে লিপ্ত না করা।   

★★সুতরাং ব্রডব্যান্ড/ওয়াইফাইয়ের ব্যবসা সাধারণ বিবেচনায় জায়েজ। কারণ এটি একটি সেবা। কিনে বিক্রি করতে হয়। 
 তাকওয়ার বিচারে কেউ এটিকে এড়িয়ে চলতেই পারে। সব ব্যবসা মূলত মুবাহ। যদি এতে হারামের স্পষ্ট উপাদান না থাকে। এ হিসাবে ব্রন্ডব্যান্ড/ওয়াইফাই এর ব্যবসা জায়েজ।
,
তবে যদি নিশ্চিত জানা থাকে যে, লোকটি শুধু গোনাহের কাজই করবে, তাহলে তার কাছে বিক্রয় করা জায়েজ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...