জবাবঃ-
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
পুরুষদের সতর হলো নাভির নিচ থেকে নিয়ে হাটুর নিচ পর্যন্ত।
কোনো পুরুষের জন্য অন্য পুরুষের উক্ত স্থান দেখা,দেখানো বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া জায়েজ নেই।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ يَعْقُوبَ بْنِ إِسْحَاقَ بْنِ بُهْلُولٍ ، نَا جَدِّي ، نَا أَبِي ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ رَاشِدٍ ، عَنْ عَبَّادِ بْنِ كَثِيرٍ ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ ، قَالَ : سَمِعْتُ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَقُولُ : " مَا فَوْقَ الرُّكْبَتَيْنِ مِنَ الْعَوْرَةِ ، وَمَا أَسْفَلَ مِنَ السُّرَّةِ مِنَ الْعَوْرَةِ
ইউসুফ ইবনে ইয়াকূব ইবনে ইসহাক ইবনে বাহলুল (রহঃ) ... আবু আইউব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ হাঁটুদ্বয়ের উপর থেকে নাভির নিচ পর্যন্ত লজ্জাস্থানের অংশ (সতর)।
(সুনানে দারা কুতনি ৮৬৬)
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ زَاجٌ ، نَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ ، أَنَا أَبُو حَمْزَةَ الصَّيْرَفِيُّ وَهُوَ سَوَّارُ بْنُ دَاوُدَ ، نَا عَمْرُو بْنُ شُعَيْبٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ جَدِّهِ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " مُرُوا صِبْيَانَكُمْ بِالصَّلَاةِ لِسَبْعٍ ، وَاضْرِبُوهُمْ عَلَيْهَا لِعَشْرٍ ، وَفَرِّقُوا بَيْنَهُمْ فِي الْمَضَاجِعِ ، وَإِذَا زَوَّجَ أَحَدُكُمْ عَبْدَهُ أَمَتَهُ أَوْ أَجِيرَهُ ، فَلَا يَنْظُرُ إِلَى مَا دُونَ السُّرَّةِ وَفَوْقَ الرُّكْبَةِ ، فَإِنَّ مَا تَحْتَ السُّرَّةِ إِلَى الرُّكْبَةِ مِنَ الْعَوْرَةِ
মুহাম্মাদ ইবনে মাখলাদ (রহঃ) ... আমর ইবনে শুআইব (রহঃ) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা তোমাদের শিশুদের সাত বছর বয়সে নামাযের (পড়ার) নির্দেশ দাও। তারা দশ বছর বয়সে পদার্পণ করলে নামাযের জন্য (তা না পড়লে) তাদের দৈহিক শাস্তি দাও এবং তাদের বিছানা পথক করে দাও। আর তোমাদের কেউ নিজের দাসকে বা নিজের শ্রমিককে তার দাসীর সঙ্গে বিবাহ দিলে সে যেন তার নাভির নিচ থেকে হাঁটুর উপর পর্যন্ত অঙ্গের প্রতি না তাকায়। কারণ নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত সতর (অবশ্য আবরণীর অঙ্গ)।
(সুনানে দারা কুতনি ৮৬৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
সতরকে ঢেকে রাখা সর্বাবস্থায় ফরয।শুধুমাত্র বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে সতর খুলার অনুমোদন রয়েছে।যেমন,প্রস্রাব-পায়খানা,স্ত্রী সহবাস,চিকিৎসার জন্য। তবে এ সময়েও যথাসম্ভব সতর ঢেকে রাখা মুস্তাহাব।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে কয়েকজনকে একসঙ্গে রুমে নিয়ে আন্ডারওয়ার বা হাফ প্যান্ট ছাড়া সব কাপড় খুলিয়ে মেডিকেল চেকাপ করানোর ক্ষেত্রে অনেক মানুষের সামনে যেহেতু সতরের অংশ অনাবৃত হচ্ছে,তাই এভাবে চেকাপ শরীয়ত অনুমোদন করেনা।
এক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক হলে যার চেকাপ করানো হচ্ছে,তার গুনাহ না হলেও চেকাপ যারা করাচ্ছে,তাদের গুনাহ হবে।