আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
443 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
১) আমার হায়েয ১০দিনের মধ্যেই হয়। ১০দিন ক্রস করেনা।

কিন্তু হায়েয থেমে থেমে প্রবাহিত হয়।

৫ম দিন হয়ে, ৬ষ্ঠ দিন হয়ত সারাদিনই অফ থাকে বা ৫-৬ঘন্টা একদম অফ থাকে। আবার ৭ম দিন থেকে হায়েয শুরু হয়। এরকম হয়ত অনেকবার হয়। ৭-৮দিনেই সাদাস্রাবের দেখা পেয়ে যাই ও ফরজ গোসল করি এরপর। নিচের মাসআলাগুলো নতুন শিখেছি, কিন্তু আমি শিওর যে আমার বোঝায় কোথাও ভুল হয়েছে। একটার সাথে একটা মিলছে না। এতদিনের জানা ফিকহে প্যাচ লেগে গেছে। একটু শিওর হতে চাই তাই শায়খ।
মাসআলাগুলোঃ

ক. ৫ দিন হায়েয হয়ে যদি মাঝে ১দিন অফ থেকে আবার ৭ম দিন থেকে হায়েয শুরু হয় তাহলে দেখতে হবে এমন কি সারাবছর (সবসময়ই) হচ্ছে? যদি হয় তবে এটা ইস্তিহাজা (!) (কিন্তু হায়েযের সর্বোচ্চ মেয়াদ ১০দিন জেনে এতদিন আমি ৮ম দিনে ফরজ গোসল করে এসেছি)

খ. আর যদি এরকম থেমে থেমে হায়েয হয়, আর এটা মাঝেমাঝে হয়, সারাবছর না তাহলে এটা হায়েয।  (কত মাস এমন হতে পারবে বড়জোড় তাও বুঝা গেল না?)

গ. হায়েয এর পর সাদাস্রাব দেখা গেল, তারপর আবার হায়েয আসলে তা ইস্তিহাজা। (এখানে এটা ১০দিনের মধ্যে যদি হয়? তাহলে??)

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিহি তা'আলা

জবাবঃ-
(وأما) صاحبة العادة في الحيض إذا كانت عادتها عشرة فزاد الدم عليها فالزيادة استحاضة، وإن كانت عادتها خمسة فالزيادة عليها حيض معها إلى تمام العشرة لما ذكرنافي المبتدأة بالحيض، وإن جاوز العشرة فعادتها حيض، وما زاد عليها استحاضة
সাহেবে আদত তথা যার হায়েয সারা বৎসর একি নিয়মে হয়।

কোনো সাহেবে আদত মহিলার যদি ১০দিন হায়েয হওয়ার আদত থাকে।কিন্তু এখন যদি দশকে ছাড়িয়ে যায়,তাহলে ১০ এর অতিরিক্ত দিনগুলোকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।

আর যদি কোনো সাহেবে আদত মহিলার ৫দিন হায়েয হওয়ার আদত থাকে।কিন্তু এখন ৫দিন কে ছাড়িয়ে যায়,তাহলে হায়েযের সর্বোচ্ছ মেয়াদ ১০দিন পর্যন্ত হায়েযই গণ্য হবে।তবে যদি ১০কেও ছাড়িয়ে যায়,তাহলে ৫দিন পর্যন্তই হায়েয হবে।এবং পাঁচের অতিরিক্ত দিনগুলোকে ইস্তেহাযা হিসেবে গণ্য করা হবে।(বাদায়ে সানায়ে-১/৪১)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝে নিতে পারেন।

আর হ্যা আপনি কোথায় থেকে জেনেছেন?
এবং কি জেনেছেন?পরিস্কার করে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।
জাযাকুমুল্লাহ।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।

উত্তর লিখনে
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ, Iom.


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 145 views
...