আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
425 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
হুজুর,
এক দেড় মাস হতে পারে, আমি একটি স্বপ্ন দেখেছিলাম। যতটুকু মনে আছে বলছি।

একদিন কোনো একটা স্কুলে গিয়েছিলাম, আর সেখানের শিক্ষক না হওয়া সত্ত্বেও আমি ক্লাস করিয়েছিলাম। স্কুল কৃর্তপক্ষ আমার পড়ানোর মান ভাল দেখে আমাকেই স্কুলের শিক্ষকতার প্রস্তাব দিয়ে দিলেন আর আগের জনকে হয়ত না করে দিলেন। কোনো এক সময় বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় পথে ফেলে রাখা কোনো কিছু অথবা চিকন লাঠি থেকে একটি বাঘ হলো। আর বাঘটি আমাকে ধাওয়া করে আসছিল আর আমার প্রবলভাবে মনে হচ্ছিল যে, কোনো তাবিজ এর প্রভাব থেকেই এই বাঘটা হয়েছে।

বাঘটি আমাকে ধরার জন্য পিছনে পিছনে ছুটতে লাগল। এক সময় আমি ভাবলাম বাঘের সাথে তো আর বেশিক্ষণ দৌড়ে পারব না, কি করা যায়। তাই একটি অল্প পানিযুক্ত জায়গায় নেমে গেলাম আর ভাবলাম এখানে তো পানি কম কাজেই বাঘটি চলে আস্তে পারবে তারাতারি, আর তাহলে তো বিপদ। পরে বুদ্ধি করে পাশের বেশি পানিযুক্ত নালা তে লাফ দিয়ে সাতার কেটে বাঘ থেকে বাঁচার সিদ্ধান্ত নিলাম। কারণ পানি বেশি থাকলে বাঘ সাতার কেটে আসতে সময় বেশি লাগবে আর এর গতি ও কমে যাবে, ফলে আমি রেহাই পাব। তারপর সেটা ই করলাম। ফলে বাঘটির থেকে বেঁচে গেলাম।

 আর স্বপ্নের মধ্যে আমার মনে হচ্ছিল যে, এই বাঘটি, কারও করা ব্লাক মেজিক থেকে ই হয়েছে। নইলে লাঠি থেকে বাঘ হয় কীভাবে!
আর মনে হচ্ছিল যার চাকুরী কেনসেল করে স্কুলে আমাকে চাকুরী দেয়া হয়েছে, হয়ত সে ই এমনটা করেছে।

জাজাক আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার। 
,
১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
,
 ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়। 

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়। 
,
হাদীস শরীফে এসেছে  

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না। 

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭] 

ইবনে সিরীন [রহ] বলেন- যদি কেউ স্বপ্নে হিংস্র প্রাণী দেখে, তবে মনে করতে হবে, তা শয়তান এবং তাকে প্ররোচিত করতে উদ্যত হয়ে আছে। এজন্য তাকে দীনি কাজে মনোনিবেশ করতে হবে। 
সূত্র : আর-রুইয়াতু ওয়াত-তাবীর, লি ইবনে সিরীন।

ইবনে সিরিন রহঃ বলেন
يقول ابن سيرين، أنه إذا رأى الشخص في منامه الأسد، دل ذلك على وجود عدو أو شخص خائن في حياة هذا الشخص، وعليه توخي الحذر وأن يكون أكثر يقظة في أيامه المُقبلة.
সারমর্মঃ  কেহ যদি স্বপ্নে সিংহ দেখে,তাহলে তার জীবনে সেটি কোনো শত্রু বা খিয়ানত কারীর উপর বুঝায়,,,,

يقول ابن سيرين أن رؤية الذئب في المنام قد تدل أن الرائي يتهم أحدهم بهتاناً وظلماً، وذلك لأن الذئب بريء من دم يوسف عليه السلام لكنه اتهم به زوراً، وربما دل الذئب على الخوف، وأما من رأى الذئب في الحلم يتحول إلى غيره من الحيوان أو الإنس فقد يدل على توبة سارق.
ইবনে সিরিন রহঃ বলেন কেহ যদি স্বপ্নে বাঘ দেখে,তাহলে সে অপবাদ বা জুলুমের শিকার হবে।,,,,,
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত স্বপ্নে যেহেতু আপনি তার হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন,তাই এটি ভালো স্বপ্ন।
আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হবে।    
,
শত্রুরা আপনার ক্ষতি করতে পারবেনা,ইনশাআল্লাহ।            


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...