জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
কারো মনে যদি এই নিয়্যত থাকে যে বেশিদিন সংসার করবে না। আলাদা হয়ে যাবে,তালাক দিয়ে দিবে।সেক্ষেত্রে বিবাহ সহিহ হবে।
তব যেহেতু এই জাতীয় বিবাহ নিকাহে মুয়াক্কাতের সাথে সাদৃশ্য রাখে,তাই এহেন বিবাহ থেকে বেঁচে থাকা উচিত।
(নাজমুল ফাতওয়া ৪/৩১৪)
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত শর্তে বিবাহ ছহীহ হবে।
۔
لمافی العنایۃ علی ھامش فتح القدیر (۲۵۰/۳): واستشکل ھذہ المسئلۃ بما اذا شرط وقت العقد ان یطلقھا بعد شھر فان النکاح صحیح والشرط باطل ولا فرق بینھا وبین مافیہ واجیب بان الفرق بینھما ظاھر لان الطلاق قاطع للنکاح فاشتراط بعد شھر لینقطع بہ دلیل علی وجود العقد مؤبدا ولھذا لومضی الشھر لم یبطل النکاح فکان النکاح صحیحا ۔۔۔ والشرط باطلا وأما صورۃ النزاع فالشرط انما ھو فی النکاح لافی قاطعہ
সারমর্মঃ কেহ যদি বিবাহের সময় এই শর্তে বিবাহ করে যে এক মাস পর স্ত্রীকে তালাক দিবে,তাহলে এই বিবাহ ছহীহ হব,শর্ত বাতিল হয়ে যাবে।
,
★★ইদ্দত শুরু হয়, তালাক সম্পন্ন হওয়ার পরবর্তী সময় থেকে তিন হায়েয পরিমাণ।
তিন হায়েয শেষ হওয়ার আগে অন্য কারো সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয হবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَالْمُطَلَّقَاتُ يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ ثَلَاثَةَ قُرُوءٍ
আর তালাকপ্রাপ্তা নারী নিজেকে অপেক্ষায় রাখবে তিন হায়েয পর্যন্ত। (সূরা বাকারা-২২৮)
وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ۖ فَإِذَا بَلَغْنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا فَعَلْنَ فِي أَنفُسِهِنَّ بِالْمَعْرُوفِ ۗ وَاللَّهُ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ [٢:٢٣٤]
আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে, তখন সে স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। তারপর যখন ইদ্দত পূর্ণ করে নেবে, তখন নিজের ব্যাপারে নীতি সঙ্গত ব্যবস্থা নিলে কোন পাপ নেই। আর তোমাদের যাবতীয় কাজের ব্যাপারেই আল্লাহর অবগতি রয়েছে।
আরো জানুনঃ
,
আপনি যেহেতু তালাকের পর ইদ্দত পালন করেননি,তাই আপনার বিবাহ ছহীহ হয়নি।
,
আপনাকে এখনই বিবাহ পড়ে নিতে হবে।
,
আপনার ইদ্দত সেই ১ম স্বামীর তালাক প্রদানের পর থেকেই শুরু হয়ছিলো,তাই আপনাকে আজই বিবাহ করতে হবে।
আপনার ইদ্দতকাল অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে।