মুফতি ওলি উল্লাহ হজরতের কাছে জানতে চাই
আসসালামু আলাইকুম ।
সপ্ন দেখেছে আমার আহলিয়া ফজরের আগে/ফজরের পরে এশরাকের সময়। ৬/৮ মাস আগে দেখেছে।
সে দেখেছে আমি, সে এবং আমাদের ছেলে এক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছি। যেখানে অনেক সুন্দর জমি, গাছপালা, ঘাস আর প্রশান্তিদায়ক বাতাস বইছিলো। সে তখন আমাকে প্রস্তাব দিল যে আমরা কি এখানে একটা জমি কিনতে পারি।
তখন আমি জমি কেনার উদ্দেশ্যে কোথাও গেলাম এবং কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে হাসোজ্জল ভাবে তাকে জানালাম এর চাইতে অনেক ভালো জমির ব্যাবস্থা হয়ে গেছে। একটা তৈরি বাড়ি, পুকুর অনেক খোলামেলা জায়গা সহ একটা জমি আমাদের ব্যাবস্থা হয়ে গেছে। চলো তোমাদের সেখানে নিয়ে যাই।
আমার স্ত্রী অবাক হয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করল কিভাবে সমভব? আমাদের কাছে তো এত টাকা জমানো নাই। আমি বললাম তুমি জানো জায়গাটি কার। মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ সাহেবের। তিনি আমাদের জন্য সহজ করে দিয়েছেন।
এরপর আমরা মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ সাহেব দাঃবাঃ এর ওই বাড়িতে গেলাম। । আমি বাড়ির বাহিরে উঠানে ছিলাম। আমার স্ত্রী একটা টিনশেড বাড়ির ভিতরে আমার ছোট ছেলে সহ গেলো। সে বাড়ির ভিতরে গিয়ে বোরকা পরা দুটি ছোট মেয়ে দেখতে পেলো।
বড় মেয়েটি ছোট মেয়েটিকে বলছিল তুমি না কোরআনে হাফেজা হবা তাহলে এত দুস্টুমি করে সময় নষ্ট করো না। এমন সময় আমার স্ত্রী জানালার কাছে দাড়াল। সে বাহিরে দেখতে পেলো আমি আর মাওলানা আবু তাহের মেসবাহ সাহেব দা:বা: কথা বলছি।
আমি জমি কিস্তি পরিশোধের ব্যাপারে কথা বলছিলাম। আর হজরত মাওলানা সাহেব দা:বা: এমনিতেই বিনামূল্যে জমি দিয়ে দিতে চাচ্ছিলেন। আমি নিতে দিধা করছিলাম।তখন হজরত মাওলানা সাহেব দা:বা: অত্যন্ত জোর দিয়ে বলছিলেন, আরে আপনার সাথে এত হিসাব কিসের। আপানাকে না দিলে কাকে দিবো।
আপনি তো রশিদ আহমেদ গাংগুহি রহ এর উত্তরসুরি (সাথে আরো অনেক বুজুর্গ এর নাম নিয়েছিলেন যা আমার স্ত্রী সঠিক মনে নেই। তবে গাংগুহি রহ এর নাম স্পষ্ট মনে আছে। এরপর তার ঘুম ভেংগে যায়।
সপ্নটি এভাবে আমার আহলিয়া আমাকে বলেছে।
আমি তাবলিগ এর মেহনতের সাথে জড়িত। এছাড়া আকাবিরে উলামায়ে দেওবন্দের জীবনী, তাজকেরাতুল আউলিয়া, তাসাউফের কিতাব বেশি বেশি পড়া হয়।